আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম : সিলেটে ইসলাম প্রচারের প্রধান কেন্দ্র

রাকিবুল হাসান নাঈম:

সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে মানবতার কল্যাণে, দ্বীন-ঈমানের লালন ও সংরক্ষণে এবং মানবিক মূল্যবোধের উজ্জীবনে কাজ করে যাচ্ছে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনের ৭৭বছর পূর্তি উপলক্ষে সিলেটে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ইজতেমা। হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে ইজতেমার ময়দানে। মানুষের আগ্রহ, উপস্থিতি এবং সরব প্রচারণা দেখেই বুঝা যায়, সিলেটে ইসলাম প্রচারের প্রধান কেন্দ্র এখন এটি। সংশ্লিষ্টগণ বলছেন, ভারত স্বাধীনতার আগ থেকেই দ্বীন-ঈমানের লালন ও সংরক্ষণে এবং মানবিক মূল্যবোধের উজ্জীবনে কাজ করছে এই সংগঠন। যুগে যুগে এই সংগঠনের কাজে যুক্ত হয়েছেন মহান ব্যক্তিরা।

ইতিহাস ঘেঁটে জানা গেছে, ১৯৪৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নীপুরুষ শায়খুল ইসলাম মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.-এর প্রিয় ছাত্র ও খলীফা হযরত শায়খ মাওলানা লুৎফুর রহমান বরুণী। তৎকালীন সমাজের মানুষকে অনৈক্য, অনৈতিকতা এবং ইসলামবিরোধী কাজ থেকে দূরে রাখার মানসেই তিনি এই সংগঠন তৈরী করেন। তবে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা আরম্ভ হয় ১৯৫৪ সালে। তখন সিলেট ও উত্তর বঙ্গের ৮টি জেলায় কাজ করার দায়িত্ব নেন শায়খ বর্ণভী রহ.। ঢাকা বিভাগে কাজ করার দায়িত্ব নেন হযরত শামসুল হক ফরিদপুরী রহ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে কাজ করার দায়িত্ব নেন ফখরে বাঙ্গাল তাজুল ইসলাম রহ.। তখন বিভাগ ছিল তিনটি। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী। শায়খ বর্ণভী ছিলেন মধ্যবয়সী তরুণ আলেম এবং ফখরে বাঙ্গাল ও ফরিদপুরী রহ. ছিলেন প্রবীণ আলেম। স্বাধীনতার আগে সংগঠনের নাম ছিল আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম পাকিস্তান। স্বাধীনতার পর নামকরণ করা হয় আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নামে।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ বর্ণভী রহ. ১৯৭৭ সালের ১৭ মে ইন্তেকাল করার পর তার বড় ছেলে আল্লামা শায়খ খলীলুর রহমান হামিদী বর্ণভীকে সংগঠনের আমীর নিযুক্ত করা হয়। তিনি দীর্ঘকাল আঞ্জুমানের হাল ধরে ছিলেন এবং এর সমস্ত কার্যক্রমের সামগ্রিক দেখভাল করেছিলেন। ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর তার ইন্তেকালের পর দায়িত্ব গ্রহণ করেন সংগঠনটির বর্তমান আমীর রশীদুর রহমান ফারুক বর্ণভী। সংগঠনের মূল কেন্দ্র জামিয়া লুৎফিয়া আনওয়ারুল উলুম হামিদনগর বরুণায় অবস্থিত।

প্রধান লক্ষ্য ইসলাহ ও হিদায়াতের বার্তা দেয়া

সাত দশকের বেশি সময় ধরে কোনো ইসলাহি সংগঠনের কাজ করে যাওয়ার নজির খুব বেশি নেই বাংলাদেশে। বর্ণভি সিলসিলা যেভাবে কাজ করছে দীর্ঘ সময় ধরে, তারা কখনও কালের প্রেক্ষাপট থেকে হারিয়ে যায়নি। জনমানুষের মাঝে তারা তাদের উপস্থিতি জানান দিয়েছে বিভিন্ন সময়। দীর্ঘসময়ের এই যাত্রাকে কিভাবে মূল্যায়ন করছেন, জানতে চাইলাম সংগঠনের বর্তমান আমির মুফতি মুহাম্মদ রশীদুর রহমান ফারুক বর্ণভীর কাছে। ফাতেহকে তিনি বলেন, এবার ৭৭বছর পূর্তি হলো সংগঠনের। আজ থেকে ৭৭ বছর পূর্বে আল্লামা লুৎফুর রহমান বর্ণভী রহ. তাঁর শায়খ ও মুরশিদ শায়খুল ইসলাম আল্লামা হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ.-এর নির্দেশনা, হাকীমুল উম্মত আল্লামা আশরাফ আলী থানভী রহ.-এর অনুমোদন এবং সমকালের বুযুর্গ উলামায়ে কেরামের সমর্থনের ভিত্তিতে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর কল্যাণে বহু মানুষ হিদায়াতের দিশা পেয়েছেন, বহু মানুষ ইসলাহ ও আত্মশুদ্ধির খোরাক গ্রহণ করেছেন, বহু মানুষ জরুরিয়াতে দ্বীন শিখেছেন। আল্লাহ তাআলার বিশেষ ফযল ও করম এবং বুযুর্গানে দ্বীনের দুআ ও কর্মতৎপরতার ফলেই আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম এ সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবৎকাল পর্যন্ত আঞ্জুমানের কর্মসূচি বাস্তবায়নে বহু বুযুর্গানে দ্বীন, আওলিয়ায়ে কেরাম ও মুখলিস ব্যক্তিবর্গ নিজেদের সময় ও শ্রমকে অকাতরে কুরবানী করে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, দ্বীনবিমুখ মানুষকে দ্বীনের ওপর তুলে আনা, সাধারণ মুসলিমদেরকে জরুরিয়াতে দ্বীন শিক্ষা দেওয়া এবং সামগ্রিকভাবে জনসাধারণের মধ্যে ইসলাহ ও হিদায়াতের বার্তা পৌঁছে দেওয়াই আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল। আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল—মতভেদ আর দলাদলি পায়ের নিচে ফেলে দিয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে দৃঢ় করে তোলা। আমার আব্বাজান আল্লামা লুৎফুর রহমান বর্ণভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি যখন আঞ্জুমানের কাজ শুরু করেন, সে-সময়ে আব্বাজানকে কারী তাইয়্যেব সাহেব ২২ পৃষ্ঠা কলেবরের একটি চিঠি লিখেছিলেন। দীর্ঘ চিঠির এক পর্যায়ে তিনি হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম ইয়ে এক ইলহামী প্রোগ্রাম হ্যায়।’

মাসিক হেফাজতে ইসলাম

আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মুখপত্র মাসিক হেফাজতে ইসলাম। এটি জামিয়া লুৎফিয়া আনওয়ারুল উলুম হামিদনগর বরুণা থেকে প্রকাশিত হয়। লুৎফুর রহমান বণর্ভী ১৯৭৩ সালে এই পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠা করেন। পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন আবদুর রহব ইসামতি, পরবর্তীতে আবদুল গফুর মোমেনশাহী। প্রথমে পত্রিকাটি হাতে লিখে প্রকাশ করা হত। এভাবে কিছুকাল চলার পর পাঠক ও গ্রাহকদের আগ্রহে হুসাইন আহমদ মাদানির নামানুসারে ‘মাদানি প্রেস’ নামে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ প্রেস থেকে পত্রিকাটি দীর্ঘদিন নিয়মিত চলার পর দিন দিন পাঠক চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। অতঃপর পত্রিকাটি ১৯৮৩ সালের জুন মাস থেকে আবদুস সালাম চৌধুরী ও পরবর্তীকালে আবদাল হোসেন খানের সম্পাদনায় সাপ্তাহিক পত্রিকায় রূপান্তরিত হয়। এভাবে দীর্ঘদিন চলার পর মাঝখানে অনিয়মিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের ভক্তদের বিশেষ সহযোগিতায় মার্চ ২০০৪ সাল থেকে এটি মাসিক হিসেবে প্রকাশ হতে শুরু করে।

অঞ্জুমানের ইসলাহি কাজ কাগজের পাতায় মানুষের কাছে পৌঁছানোর অন্যতম মাধ্যম এই পত্রিকাটি। পত্রিকাটিতে কয়েক দশকজুড়ে কাজ করেছেন মাওলানা আবদাল হোসেন খান। কখনও সামলেছেন প্রেসের কাজ, কখনও সার্কুলেশনের কাজ, কখনও আবার সামলেছেন সম্পাদনার কাজ। বর্তমানে সম্পাদনা পরিষদের সদস্য হিসাবে পত্রিকাটির সঙ্গে যুক্ত আছেন। পরিচয় দিয়ে পত্রিকার প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি ফাতেহকে বলেন, তখন কাঠের ফর্মা দিয়ে প্রচ্ছদ বানানো হতো। প্রচ্ছদে গম্বুজ এবং মিনার থাকতো। ছাপা হতো লেটার হরফে। পত্রিকা প্রকাশ হলে শায়খ বর্ণভী রহ.-এর আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে ‍উঠতো। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে আমি পত্রিকাটি সম্পাদনার দায়িত্ব নেই। সম্পাদক হিসেবে সার্কের সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে ভারত-পাকিস্তান সফর করি। তখন পত্রিকায় আমি মুসলিম বিশ্বের সংবাদ ফলাও করে প্রচারের পাশাপাশি দেশের অনিয়মও দুর্নীতির কথা তুলে আনতে শুরু করি পত্রিকায়। এত অনেকবার প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়ি। তখন পত্রিকাটি সুশীলদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়। মাদানী প্রেসে তখন ডাকসাইটে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও আড্ডায় অংশ নিতো। ২০০৪ সালে যখন নতুন করে ছাপা শুরু হয় পত্রিকার, তখনও আমাকেই সম্পাদক রাখা হয়।

মাঝখানে গত দশকে কয়েক বছরের জন্য পত্রিকাটি অনিয়মিত হয়ে যায়। আঞ্জুমানের বর্তমান আমীর মুফতি মুহাম্মদ রশীদুর রহমান ফারুক বর্ণভী দায়িত্বপ্রাপ্তির পর মাসিক হেফাজতে ইসলামকে আবার নতুন করে নতুন আঙ্গিকে প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ২০২১-এর জানুয়ারি থেকে পত্রিকাটি আবারও নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে।

জনমানসে পত্রিকার প্রভাব কেমন এবং এর প্রকাশে সংগঠনের উদ্দেশ্য কী জানতে চাইলে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হামমাদ রাগিব বলেন, পত্রিকার মাধ্যমে জনমানুষের কাছাকাছি যাওয়া যায়। অঞ্জুমানের জন্মই হয়েছিল জনমানুষের কাছাকাছি গিয়ে তাদেরকে ইসলাহের বার্তা দেয়া। মাসিক হেফাজতে ইসলামের লক্ষ্যও এটাই। মানুষ পত্রিকাটি পড়ছে, সঠিক কিছু জানছে। ধরা যায়, আমাদের পাঠকদের কাছে প্রতি মাসে আমরা বার্তা নিয়ে হাজির হই। চলমান ইস্যুর ইসলামি সমাধান, বিশ্নেষণ, খানকার তরবিয়তি কথা, কুরআন-হাদিসের আলাপ, ধর্মীয় ফিকশন-উপন্যাস-সহ আরও বিভিন্ন কিছু থাকে এ পত্রিকায়। নারীদের জন্য আছে অন্দরমহল নামে স্বতন্ত্র বিভাগ, নবীন লেখকদের জন্য আছে ‘গুলমজলিশ’। বর্তমানে পত্রিকার কাটতি অনেক ভালো। আরও ভালো হবে আশা করি। আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ পত্রিকা করে মূলত সেবার অংশ হিসেবে।

আঞ্জুমানের বর্তমান কার্যক্রম

কথা হয় আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের নায়বে নাযিমে আ’লা (যুগ্ম মহাসচিব) শেখ সা‘দ আহমদ আমীন বর্ণভীর সঙ্গে। তার কাছে জানতে চাই আঞ্জুমানের বর্তমান কর্যক্রম সম্পর্কে। ফাতেহকে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুসলিম জনসাধারণের ধর্মীয় জীবনের উন্নতির লক্ষ্যে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বিগত ৭৭ বছর যাবৎ অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে থেকে বহুমুখী তৎপরতা চালিয়ে আসছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো—পল্লি বাংলার গ্রামে-গ্রামে প্রয়োজনীয় দ্বীনী ইলম হাসিলের ব্যবস্থা করা। মসজিদভিত্তিক তালিমের ধারা চালু করা। এ ছাড়া আঞ্জুমানের রয়েছে স্বতন্ত্র প্রকাশনা বিভাগ। সাধারণ মানুষের উপকার বিবেচনায় নেসাবভিত্তিক গ্রন্থ প্রণয়ন-সহ আঞ্জুমান-কেন্দ্রিক বিভিন্ন প্রকাশনার কাজও চলমান। ইতিমধ্যে ‘নূরুল উলুম’ নামে সাধারণ মানুষের মশকের উপযোগী একটি রিসালাহ প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া আঞ্জুমান প্রকাশিত সবগুলো বইকেও নতুনরূপে সাজিয়ে-গুছিয়ে পুনঃপ্রকাশ করা হয়েছে।

শেখ সা‘দ আহমদ আমীন বর্ণভী মিশন সম্পর্কে আরও বলেন, আমাদের আরেকটি মিশন হলো তরবিয়ত ও তাযকিয়া। পরিশুদ্ধ জাতিগঠনে আত্মশুদ্ধির সহীহ তরীকা অবলম্বনে ইসলাহী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করা। এর অধীনে মৌলিক দুটি কর্মধারা রয়েছে—ক. ইউনিয়ন ভিত্তিক চিল্লা খ. মাসিক শবগুজারী। আমাদের আরেকটি মিশন হলো, খেদমতে খালক বা মানবসেবা। আঞ্জুমান আর্থিক সামর্থানুসারে আর্ত-মানবতার সেবা করে। পাশাপাশি আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকার তথা সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখাও আমাদের অন্যতম একটি মিশন। যেমন দ্বীন-ধর্ম পালনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা, ইসলামের অবমাননা ও প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শানে বেয়াদবি ও কটূক্তি তথা মুসলমানদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত এলে এর প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া এবং সময়োপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ করা, ইসলাম বিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা ইত্যাদি।

মাসিক পত্রিকা হেফাজতে ইসলামের নির্বাহী সম্পাদক পদেও আছেন শেখ সা‘দ আহমদ আমীন বর্ণভী। পত্রিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকাশনা বিভাগে আঞ্জুমানের সবচেয়ে বড় অর্জন ‘হেফাজতে ইসলাম পত্রিকা’। আজ থেকে ৪৮ বছর আগে স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে দেশে যখন হাতেগোনা কয়েকটি পত্রিকা ছাড়া সকল পত্রিকা বন্ধ ছিল, হেফাজতে ইসলাম পত্রিকা সেই সময়ে সরকারি অনুমোদন লাভ করেছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামে আমার আব্বাজান হযরত শায়খে বর্ণভী রহমতুল্লাহি আলাইহির ইতিবাচক ভূমিকা থাকার কারণে এবং তাঁর অরাজনৈতিক কর্মপ্রক্রিয়া ও আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার সম্যক ওয়াকিবহাল থাকার ফলে সেই সময়ে হেফাজতে ইসলাম পত্রিকা সরকারি অনুমোদন লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল। তার পর থেকে কয়েকবারের বিরতিসহ দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে পত্রিকাটি চালু আছে। আলহামদুলিল্লাহ, মানুষের ইসলাহ হিদায়াত ও আত্মশুদ্ধির পাথেয় হিসাবে পত্রিকাটি এখন মাসিক পত্রিকা আকারে নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে।’

আগের সংবাদআঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের দুই দিনব্যাপী ইজতেমা শুরু
পরবর্তি সংবাদমুনাজাতে হাজার হাজার মানুষের ‘আমিন’ ধ্বনি : সমাপ্ত হলো সিলেটের ঐতিহাসিক ইজতেমা