আশ্চর্য ডাক

কাউসার মাহমুদ:

যখনই বৃষ্টি নামে, এ কী আশ্চর্য ডাক;
স্মৃতির কবর থেকে, স্থীর উঠে আসে।
মৃত হাত-পা নিয়ে বয়ে যায় ক্রমাগত ;
যেমন এখানে অঝরে ঝরছে জল—
সন্ধা সমাগত।

চারপাশে পাহাড় আর বাবলার ঝোপ
হাওয়ার আঘাতে তা কাঁপছে প্রকোপ
পাশে ওই জলা মাঝে ফুটেছে যে ফুল
আমি তারে মৃত দেখে- হয়েছি ব্যাকুল
চোখের কিণারে ছিলো আশ্চর্য বকুল।

দিনের অন্তভাগ গেছে—রাত্রি আগত
বর্ষার বেদনা দিয়ে সন্ধ্যা-ও তিরোহিত
রাত্রি গভীর কালো বেদনার ঢেউ এলো
আকাশে ঝুলছে মেঘ, হৃদয় এলোমেলো
যেন সারা ঘরে ছড়ানো উত্তপ্ত হাহাকার
ধীর পায়ে ফুটে আসা গভীর অন্ধকার

যখনই বৃষ্টি নামে, এ কী আশ্চর্য ডাক!
বিস্মৃতির আড়াল থেকে ধেয়ে আসে—
স্মৃতির শেকড় থেকে কেবলই লাগাতার
মা-মা বলে চিৎকার করে।

যেন বা অবোধ শিশু দিনভর কাঁদছে—
সেই স্বর; কান্নার ধ্বনিগত উচ্চারণ
পাখির উড়ে যাওয়া বিগত চিহ্ন হয়ে
বৃক্ষশাখায় অপার্থিব স্নেহে লেগে আছে।

যখনই বৃষ্টি নাম, এ কী আশ্চর্য ডাক!
আমার সমস্ত শরীরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে,
ঐশীবাণীর মতো এ কোনো বিস্ময় নাকি!
হারিয়ে যাওয়া কোনো অগম্য শিলালিপি!
বস্তুত বৃষ্টি এলে, কোথাও নিবিড়ভাবে—
আমি আমার মায়ের কাছেই ফিরে আসি।

আগের সংবাদশরীয়ত, তরিকত, মারেফত, হাকীকত
পরবর্তি সংবাদশানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম