ইতিহাসের আয়নাঘর : আবরার ; তুমি কার, কে তোমার?

আব্দুর রহমান বারি

 

ভূমিকা: বাঙালাহর ইতিহাসে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর ঔপনিবেশিক শক্তির প্রণোদনায় স্থানীয় অভিজাত ভদ্রলোক সম্প্রদায়ের শ্রমে ইতিহাস কারখানায় উৎপাদিত লম্পট, মদ্যপ, অত্যাচারী, জালিম, অসুর সিরাজ হাজির হয়। ঔপনিবেশের শেষ শতাব্দীর মধ্যখানে ইতিহাস কারখানায় সেই লম্পট, অত্যাচারী, জালিম অসুর সিরাজের রুপ বদলে দেওয়া হয় জাতীয় বীর, দেশপ্রেমিক সহ নানা অভিধায়৷ অসুর সিরাজ থেকে নানা উপন্যাসে, নাটকে, গীতি কবিতায় তথা সাহিত্যের নানা ছকে ও ভাষায় জাতীয়তাবাদী বয়ানে হাজির হয় সিরাজ। শ্রেণী বিচারে ইতিহাস কারখানার শ্রমিকেরা একই বর্গের। শহুরে অভিজাত বা মধ্যবিত্ত শ্রেণী যারা ক্ষমতার অংশীদার। কলিকাতার মধ্যবিত্ত সমাজে সিরাজের চরিত্র ও তাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা বয়ানের বিবর্তনের সাথে মিলিয়ে আবরার ফাহাদ ও তাকে নিয়ে গড়ে উঠা চলমান বয়ানের অলিগলির সুলুকসন্ধান করতে পারি৷

১. যীশুখ্রিস্ট : লাঠিয়াল ছাত্রলীগ, ক্যাম্প ও প্রাতিষ্ঠানিক রাজনৈতিক সহিংসতা

দেশীয় ক্ষমতার রাজনীতির বাজারে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাঠিয়াল হিসাবে ছাত্র — ছাত্রীদের চাহিদা যথেষ্ট যার শুরুওয়াত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মেরও আগে ঔপনিবেশিক সময়ে৷ ৩০ এর দশকের কট্টর বামপন্থী ছাত্র সংগঠন থেকে হাল জমানার প্রগতিশীল সেক্যুলার ছাত্রলীগ প্রাতিষ্ঠানিক রাজনৈতিক সহিংসতার সাথে যুক্ত। বাঙালাহর ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসের কুলুজি হদিশ করলেই সহজে ধরা দিবে ক্ষমতার সাপেক্ষে লাঠিয়াল সংগঠনের হুকুম তামিলের ফিরিস্তি। পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ রাষ্ট্রে যার নজির যথেষ্ট রয়েছে৷ যেহেতু বাঙলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠে নাই, তাই ঔপনিবেশিক সিলসিলা জারি রাখতে তত্ত্বীয়-ব্যবহারিক কাঠামো, প্রযুক্তিগত পুনঃউৎপাদন বহাল আছে৷ বাঙলাদেশ রাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সিলাসিলাগত আলাপ বিশেষ নজরের দাবী রাখে৷ ৭১-উত্তর বাঙলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কট্টর বামপন্থী মিলিট্যান্ট ছাত্র সংগঠন জাসদ, প্রগতিশীল সেক্যুলার ছাত্রলীগ হইতে ছাত্রদল, ছাত্র শিবিরের প্রাতিষ্ঠানিক রাজনৈতিক সহিংসতা আমলে নিলে আমরা বলতে পারি ক্ষমতার রাজনীতিতে লাঠিয়াল সংস্কৃতি আমাদের ছাত্র সংগঠনগুলোর মজ্জাগত। ছাত্র সংগঠন গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ক্ষমতার চর্চা করে, হলের রুপ  ক্যাম্পে বদলে দেয়।  বিশেষ করে, শাহবাগ আন্দোলনের পরে যার চুড়ান্ত নগ্ন রুপ আমরা দেখতে পাই ক্ষমতাসীন সেক্যুলার ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের মাধ্যমে। বুয়েট ছাত্র আবরারকে লাঠিয়াল ছাত্রলীগ যখন ক্যাম্পে নিয়ে মেরে হত্যা করলো তার পর পরই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের সাপেক্ষে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলো৷ তারপর থেকেই বয়ানের অলিগলির সন্ধান পাওয়া শুরু হলো৷  যার শুরুওয়াত হয়েছিল সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ব্যানারে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের বয়ানে আবরার ফাহাদ ধরা পড়ে যীশু হিসাবে৷ খ্রিস্টীয় থিওলজিতে যীশু যেমন সকলের পাপের প্রায়শ্চিত্ত ক্রুশবিদ্ধ হয়ে করেছে তদ্রুপ আবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের এতো দিনকার অধিকার বঞ্চিত, জুলুম, অত্যচার ও সহিংসতার শিকার হয়ে যীশুর মতোন অন্যদের মুক্তির পথ বাতলে দিয়েছে৷ আবরারকে শিবির সন্দেহে হত্যা করা হয় যার আলাপ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা নিদিষ্ট ব্যানারে  আন্দোলনের সময় ইতিহাসের আয়নাঘরে গুম করে দেয়৷ বুয়েটে আবরারের বন্ধুমহলের একাংশ আবরার কে নিয়ে আর্কাইভ করে। সেখানেও এই তথ্য গুমের আলামত মিলে৷ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর কাছে শিবির, জঙ্গী ট্যাগ পাওয়া যেকোন সহপাঠী যেন ভিন্নগ্রহের কেউ। সাধারণ ছাত্র – ছাত্রীর বয়ানে যীশুখিস্ট হিসাবে যে আবরার ধরা পড়ে তা অরাজনৈতিক। বলা বাহুল্য যে উক্ত অরাজনৈতিক সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর নীরবতা, সফট ট্যাগিং কালচার ও সামাজিক অপরায়ন জুলুমের সম্মতি দান করে৷ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের অরাজনৈতিক ভাষায় রাজনৈতিক অবস্থান জুলুমি কাঠামোর সাথে যুক্ত৷ অরাজনৈতিক যীশু আবরার বয়ানের ভিত শক্ত হবার মাটি প্রস্তুত করলো যে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা তার সাথে শাহবাগের রিশতা প্রকট৷ “আই হেইট পলিটিক্স” প্রজন্ম তো সাংস্কৃতিক রাজনীতির বিচারে শাহবাগের ফসল।

শাহবাগ: শিবির সন্দেহ, ঊন(মানুষ) এবং জুলুম উদযাপনের সংস্কৃতি

বৈশ্বিক পটভূমির ইসলামোফোবিয়া ইন্ডাস্ট্রি, ওয়ার অন টেররের স্থানীয়  ও আঞ্চলিক বরকন্দাজের কেন্দ্র হলো শাহবাগ৷ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক ইসলামোফোবিয়া, কামালবাদ, বাঙালি জাতীয়তাবাদী পশ্চিমা-কোলকেতে মিশ্র সেক্যুলার ডিস্কোর্সের নগ্নরুপ আমরা শাহবাগে দেখতে পাই। শাহবাগের সময় থেকেই এই বয়ান প্রতিষ্ঠা হয় যে যেকোনো অশাহবাগি ই জামাত-শিবির-মৌলবাদের সাথে যুক্ত যার পরম্পরায় শিবির সন্দেহের উৎপাদন যেখানে শিবির না হয়েও শিবির হওয়া যায়। শাহবাগ ও শাহবাগ উত্তর বাংলাদেশে এই শিবির সন্দেহের সাপেক্ষে আগামবেন প্রদত্ত হোমো সেকার ধারণা যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে৷ যেকোনো অ-শাহবাগি ই যে শিবির এবং সে মানবিক অধিকারহীন এই বয়ান শাহবাগে উৎপাদিত যার মুলে রয়েছে মজ্জাগত ইসলামবিদ্বেষ। হোমো সেকার হইলো আধুনিক রাষ্ট্রের মানবিক অধিকারহীনতার একটা উপমা যা রোমান সাম্রাজ্যের দন্ডপ্রাপ্ত কাউকে  মানুষ-পশুর বাইনারির মাঝে ফেলে হত্যা করা যেত বলে বোঝায়৷ আগামবেন হোমো সেকার ও ক্যাম্প উপমা আধুনিক রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকের সম্পর্ক নিয়ে শুরু করে দেখিয়েছে যে জরুরি অবস্থার অজুহাতে এবং ব্যতিক্রমী পরিস্থিতির নাম দিয়ে যেকোনো নাগরিককেই হোমো সেকার গণ্য করা যেতে পারে। রিফিউজি ক্যাম্প নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ নয় তা এখান থেকে বলা যেতে পারে৷ পুরো রাষ্ট্র হয়ে উঠতে পারে ক্যাম্প৷ ঠিক একইভাবে শাহবাগের বয়ানে এই ক্যাম্প হাজির আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো জায়গায় শিবির সন্দেহ করা ছাত্রের জন্য ক্যাম্প হয়ে উঠে৷ উক্ত ক্যাম্পের নকশা আঁকে শাহবাগ আর শ্রমিক হিসাবে নকশার বাস্তবায়ন করে লাঠিয়াল প্রগতিশীল সেক্যুলার ছাত্রলীগ। শিবির হত্যা, শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা এই জুলুমি উদযাপনের সংস্কৃতি শাহবাগ থেকে শুরু যা এখনো চলমান। আবরারের যাপিত জীবনের সাথে ইসলাম থাকায় তাকে শিবির সন্দেহ করে পিটিয়ে মেরে সেইটা প্রকাশ্য দিবালোকে উদযাপনের ঢংয়ে বলে যে লাঠিয়াল ছাত্রলীগ তার বয়ান, সম্মতি শাহবাগে উৎপাদিত৷ শাহবাগের আয়নায় আবরার ধরা পড়ে অসুর হিসাবে যার বিনাশ ই কল্যাণ বয়ে আনে৷ আবরার হত্যার এতোদিন বাদেও সেই অসুর হত্যা এবং কল্যানকামীতা নিয়ে তারা উদযাপন করে।এখনো উদযাপনের সংস্কৃতি চলমান নতুন ঢং, সুর, ছক, ভাষায়৷ আবরারকে যে ঊনমানুষ করে দেওয়া হলো তার মুলে তার যাপিত জীবনে ইসলাম। জুলুম উদযাপনের সংস্কৃতি, ঊনমানুষ, শাহবাগকে ছকে না ফেলে আলোচনা করলে আবরারের ঊনমানুষ হয়ে উঠা বোঝা যাবে না৷

দেশপ্রেমিক আবরার: বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী বয়ানের ধ্রুবক সংকট

ইতিহাসের আলোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেনী নদী এবং মংলা বন্দর নিয়ে দেওয়া পোস্টের সাপেক্ষে আবরারকে লাঠিয়াল ছাত্রলীগের টর্চার সেলে যেতে হয়। যাপিত জীবনে ইসলাম থাকায় এবং উক্ত পোস্টের আলোকে তারা আবরারের রক্তকে হালাল করে নেয়৷ আবরার হত্যার পিছনে উক্ত ইতিহাস নির্ভর পোস্টকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী বয়ান উঠে যার মূলে রয়েছে ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধিতা। আবরার হত্যার তিন বছর পরে এই বয়ান পরম প্রতাপশালী বিশেষ করে এই ফ্যাসিবাদের সময়ে। আবরারের ফ্যাসিবাদ বিরোধী এবং ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী বয়ান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সাথে সংযুক্ত করে উপস্থাপিত করা হয়৷ কিন্তু বাংলাদেশে নানা দলের, মতের, ধর্মের  ফ্যাসিবাদ, ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী অবস্থান নিতে দেখা যায়৷ আবরার সেই নির্দিষ্ট ধারার সুরে, ভাষায় বিরোধিতা করেনি৷ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী বয়ান আবরার কে নিজের করে নিতে মরিয়া৷ একই ছক-ঢং-সুরে অনেকটা মিল হওয়াতে এরকম রাজনৈতিক পুঁজি নিয়ে আগ্রহী হবার যৌক্তিকতা আছে বৈকি এবং তা রাজনীতিরই মামলা। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী বয়ানের ধ্রুবক সংকট আছে, ফলে তা দিয়ে আবরারকে পুরো আটকানো যায় না৷ সন্দেহ নাই, আবরার ভারতীয় আধিপত্যবাদী বয়ান, চুক্তি ও স্থানীয় জমিদারের করা সমঝোতার বিরোধিতা করেছে এবং তার হত্যার পিছনে এটা স্লগ ওভার ভূমিকা পালন করেছে৷ কিন্তু হত্যার গৌণ কারণ এটা; মুখ্য নয়৷ ঔপনিবেশিক সিলসিলার অংশ বাঙালি জাতীয়তাবাদ থেকে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ভিন্ন হলেও এখনো ইসলাম প্রশ্নে ধ্রুবক-চলক দিয়ে সমীকরণ মিলিয়ে উঠতে পারে নাই।  যদিও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জনক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বোঝাপড়ায় আগ্রহী ছিলেন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছিলেন৷ কিন্তু উনার শাহাদাতের পর তা নিয়ে কেউ আগ্রহী হয়নি৷ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী বয়ানে আবরারকে দেশপ্রেমিক আকারে দেখানোর যে চেষ্টা তা অনেকটা সত্য হলেও পুরোটা না৷ খণ্ডিত আবরারকে রাজনৈতিক পুঁজি হিসাবে ব্যবহার করা যাইতে পারে কিন্তু আবরারকে আপন করে নেওয়া যায় না৷

ঈমানের নিশান: কর্তা, আবরার ও বাঙলাদেশ রাষ্ট্র

ইতিহাসে সিরাজউদ্দৌলার চরিত্র, বয়ানের বিবর্তনের ন্যায় আবরার ফাহাদের চরিত্র ও বয়ানের বিবর্তন আমাদের সামনে নানা জটিল প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়৷ আবরার একেক আয়নায় একেক রূপে ধরা পড়ে৷ কথিত সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে আবরার যীশুখ্রিস্ট। কখনো প্রগতিশীল নিরেট খাঁটি দেশপ্রেমিক। মুলধারা উদারনৈতিক প্রগতিশীলের আয়নায় আবরার দেখতে বড্ড কুৎসিত। তারা আয়নায় সুন্দর, শুভ এবং কল্যাণকর কিছু দেখতে চায় যেখানে এই কুৎসিত বাধা হয়ে থাকে৷ তাই সুন্দরের জন্য বিনাশ করাই তাদের মঞ্জিলে মকসুদ। কথিত বিপ্লবী, অনলাইন পলিটিক্যাল এক্টিভিস্ট, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বুদ্ধিজীবীদের আয়নায় আবরার স্থানীয় পরিসর থেকে আঞ্চলিক নানা জুলুমের প্রতিবাদী কন্ঠ হিসাবে দেখা যায়, যার ফলে ফ্যাসিবাদ বিরোধী এবং ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লকব জুটে আবরারের নামের আগে ৷ বিশেষণের রাজনীতি দিয়ে আবরারকে পুরো বুঝা যায় না। খন্ডিত আবরারকে রাজনৈতিক হাতিয়ার, আন্দোলন, তথাকথিত মুলধারা সহ নানা বক্তব্যে অবজেক্ট আকারে জায়গা করে দেওয়া যায় বৈকি। আবরারকে খুজতে হবে আবরারের ঈমানে। যে ঈমানের বুনিয়াদে ভর করে স্থানীয় এবং আঞ্চলিক ক্ষমতাকে প্রশ্ন করেছে৷ ক্ষমতাকে প্রশ্ন করার সাপেক্ষে আবরারের চৈতন্যে হাজির হয় কর্তারুপে৷ ক্ষমতাকে প্রশ্ন করার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বাহাদুর ও আঞ্চলিক প্রভূর কর্তাকে নাকচ করে দিয়ে আবরার নিজেই হয়ে উঠে কর্তা৷ ছোঁয়াচে এই বাসনা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তা নিয়ে আতঙ্কে পড়ে যায় স্থানীয় ও আঞ্চলিক প্রভূ। এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতেই লাঠিয়ালদের আগমন৷ আবরার যে নিজেকে কর্তার আসনে বসিয়ে নিজের বাসনার প্রস্তাব করেছে তা খুঁজতে হবে তার ঈমানে, তার যাপিত জীবন ইসলামে৷ এই জমিনে কর্তা হিসাবে আবরার ঈমানের যে নিশান উড়িয়ে গেছে তা বুলন্দ হউক। কর্তা আবরারের বাসনা পূর্ণ হউক৷

আগের সংবাদচাঞ্চল্যকর নথি প্রকাশ: মিয়ানমারে গণহত্যায় যেভাবে সমর্থন দিয়েছে ইজরাইল
পরবর্তি সংবাদআগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯.৫২%, ১৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ