ফাতেহ ডেস্ক:
ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো হঠাৎ করে তারল্য–সংকটে পড়েছে। এসব ব্যাংক টাকা ধার করতে এখন প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর কাছে ছুটছে। প্রচলিত যেসব ব্যাংকের ইসলামি ব্যাংকিং সেবা রয়েছে, তাদের কাছেই ধারের জন্য ছুটছে। তবে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো এখনই ইসলামি ধারার সব ব্যাংককে টাকা ধার দিতে রাজি হচ্ছে না।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক গত সোমবার থেকে চালু করেছে ইসলামি ব্যাংকগুলোর জন্য তারল্য সুবিধা। এ সুবিধার আওতায় ইসলামি ব্যাংকগুলো সুকুক (শরিয়াভিত্তিক বিনিয়োগ বন্ড) জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিতে শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসলামি ধারার পাঁচ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা ধার করেছে। ব্যাংক পাঁচটি হলো ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
জানা গেছে, প্রচলিত ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেপো (টাকা ধারের ব্যবস্থা), স্পেশাল রেপো ও বিশেষ ব্যবস্থার আওতায় টাকা ধার করতে পারে। পাশাপাশি এক দিনের জন্য (কল মানি) ও বিভিন্ন মেয়াদে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংক টাকা ধার করতে পারে। আর ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর শুধু একে অপরের থেকে ও প্রচলিত ব্যাংকগুলোর ইসলামি ব্যাংকিং সেবা থেকে টাকা ধার করতে পারে।
বাংলাদেশে ১০টি ইসলামি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। সাম্প্রতিক অস্থিরতায় ব্যাংকটির আমানত প্রতিদিন কমছে। গত সোমবার ব্যাংকটির আমানত কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকায়। গত ৩১ অক্টোবর ব্যাংকটির আমানত ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। ইসলামি ধারার সব ব্যাংককে এত দিন টাকা ধার দিয়ে আসছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। তবে ইসলামী ব্যাংক এখন টাকার জন্য অন্য ব্যাংকের কাছে যাচ্ছে। ফলে ইসলামি ধারার অন্য ব্যাংকগুলোও হঠাৎ করে তারল্য–সংকটে পড়ে গেছে।