এক তরুণ শিক্ষকের ডায়েরি

ওলিউর রহমান:

১.
এক, লাব্বাইক। দুই, লাব্বাইক। তিন, লাব্বাইক। গুণে গুণে সবার নাম ডাকা শেষ হল। উনত্রিশ জোড়া কালো চোখের তৃষিত দৃষ্টি আড়াই হাত দৈর্ঘ্য-প্রস্থের ছোট ডেস্কটির উপর নিবদ্ধ। আমি প্রত্যেকের নামের পাশে ছোটকরে আরবি ‘হা’ বর্ণ লিখে তাদের উপস্থিতির সাক্ষর করছি। আড়চোখে দেখে নিচ্ছি সকলের মুখাবয়ব। চৌদ্দশত বছর আগে সুফফার যে কাফেলা নবীজির একটিমাত্র বাণী শুনার জন্যে ব্যাকুল চিত্তে উদগ্রীব অপেক্ষায় থাকত –আমার সামনে যে উনত্রিশজন বসে আছে– সুফফার সে কাফেলার তারা গর্বিত অনুসারী। আমার নিজেকে একজন কম বয়সী ‘ছোকরা মাওলানা’ মনে হলেও উপস্থিতির দৃষ্টি বলে দিচ্ছে, নতুন উস্তাযের যবান থেকে কিছু শুনার অপেক্ষায় তারা উৎকীর্ণ হয়ে আছে। সকলেই দুই হাঁটু মুড়িয়ে আদবের সাথে বসা। একটু আগেও যে দ্বিধা-সংকোচ, যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা গোপন করার চেষ্টা করছিলাম প্রাণপনে, তা এখন অভূতপূর্ব পুলকে বদলে গেছে। পরিচয়-পর্ব সম্পন্ন হলে আমি নতুন জার্নির এবতেদা করলাম। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

২.
সেপ্টেম্বর—২০২০

কাছাকাছি সময়ে একটা পরীক্ষা থাকায় তখন ইসলাম টাইমসে আর নিয়মিত কাজ করছি না। তবে করোনা পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য মাদরাসা ছাড়া সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পরীক্ষাটি শিগগিরই হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। তাই পারিবারিক পরামর্শে সাময়িক পেশা হিসেবে মাদরাসায় ‘তাদরিসে’র সিদ্ধান্ত হল। নতুবা আমার ইচ্ছে আছে, অ্যাকাডেমিক শিক্ষা সমাপনের পর শিক্ষকতাকে পূর্ণকালীন পেশা হিসেবে গ্রহণ করলে আগে কিছুদিন মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করব। কেননা একজন কোমলমতি শিক্ষার্থী তার শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠানের পারিপার্শিকতা দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়। তাই বয়সের পার্থক্য ভেদে শিক্ষার্থীদের মনস্তত্ত্ব বুঝা, পাঠদানের ভাষা-ভঙ্গী-ব্যবহার আত্মস্থ করার জন্য মনোবিজ্ঞানের সাথে নিবিড় কিছু সময় অতিবাহিত করার ইচ্ছে আমার দীর্ঘদিনের।

কেবল নামের আগে-পরে যুক্ত হওয়া কিছু উপাধি বা কতিপয় প্রাতিষ্ঠানিক সনদ লাভের ফলেই ‘কিতাবি শিক্ষক’ হয়ে যাওয়ার যে সচরাচর প্রবণতা, তা আমার কাছে কিছুটা ‘খতরনাক’ মনে হয়। একজন ছাত্রের মেজাজ গড়ার জন্য দরদী কোনো অভিভাবকের তত্ত্ববধানে প্রথমত যে মেহনত উস্তায হতে যাওয়া একজন আলেমের পেছনে আগে হওয়া প্রয়োজন, বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনায় তা পুরোপুরি পূরণ হয় না বলে আমার ধারণা।

৩.

গত বছরের কুরবানী পরবর্তী সময়ে মিরপুরের একটি মাদরাসায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সেখানে হাজির হলাম। নানা বয়সের পঞ্চাশের বেশি অংশগ্রহণকারীর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ মার্কস পেয়ে ভাইভা বোর্ডে মৌখিক পরীক্ষা দিতে গেলাম। তবে শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার দোহাই দিয়ে কিছু প্রশ্ন না করেই আমাকে ফিরে যেতে বলা হল। ততক্ষণে লোক মারফত জানতে পেরেছি, মুহতামিমের পুত্র মহোদয় নিয়োগের জন্য আগে থেকেই সিলেক্ট হয়ে আছেন। ইন্টারভিউ আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। মৌখিক পরীক্ষায় কোনো কিছু জিজ্ঞেস না করেই উঠে যেতে বলায় চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করলাম। চলে আসার আগে নিজের ভয়াবহ ক্ষোভের জানান দিতে মুহতামিমকে বলে আসলাম, ‘মূর্খ ছেলের অভিজ্ঞতা ধুয়ে কি পানি খাবেন আপনি সারাবছর?’ সাথে সাথে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করে মাদরাসার কমিটি বরাবর করলাম অভিযোগ। পরে জানতে পেরেছিলাম, পুত্র মহোদয়ের নিয়োগ তো বাতিল হয়েছেই, পিতাজীকেও নাকি অনেক কাঠখর পোহাতে হয়েছে অন্যায় নিয়োগের জন্য । *১

ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে পরিচয় হয় পাশের আরেকটি মাদরাসার মুহতামিমের সাথে। বোর্ড পরীক্ষাগুলোতে আমার উজ্জ্বল ফলাফল এবং স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানের সনদপত্র দেখে সাথেসাথেই সম্মানজনক বেতন ধার্য করে তার মাদরাসায় নিয়োগ দিয়ে দিলেন। তবে আমি কিছুটা সময় নিলাম। সে মাদরাসার অন্য শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারলাম বেতন বাকী থাকে প্রায় সবারই। হাজির হলাম মুহতামিমের কাছে। শর্ত দিলাম, মাসের পাঁচ তারিখের মধ্যে ধার্যকৃত বেতনের পুরোটা পরিশোধ করতে হবে। নতুবা এখনই চুক্তি খতম। ভদ্রলোক পান চিবুতে চিবুতে ইনিয়ে বিনেয়ে কিছু বলতে চাইলেন। আমি চা খেয়ে বিদায় নিলাম। *২

( সংযুক্তি: ১— আমি এতটা বেতমিয লোক নই যে, দাওরায়ে হাদিস মাদরাসার মুহতামিম একজন সম্মানিত আলেমের বিরুদ্ধে কমিটির কাছে অভিযোগ জানিয়ে অযথা হেনস্থা করব। ছেলের নিয়োগকে বৈধতা প্রদানকল্পে ইন্টারভিউ এর নামে আমাদের এতজন লোককে হয়রানি না করলে আমরা তো জানতাম-ই-না ওখানে মুহতামিমের ছেলে নিযুক্ত হয়েছেন নাকি ছেলের মামা।

সংযুক্তি: ২— আবার এত ভদ্র মানুষও নই যে, মাসের পর মাস শ্রম দেওয়ার পরেও বেতনকে মুহতামিমের দাক্ষিণ্য মনে করে কোনো মাসে না পেলে সবর করব। খেদমত শব্দটি আমি সবসময় সযত্নে এড়িয়ে যাই। চাকরি করি। শ্রম দিই। বেতনের ন্যায্য পাওনার দাবিতে উচ্চকণ্ঠ থাকি।)

৪.

আমাদের উত্তরার মাদরাসাতুল মুত্তাকীন প্রতিষ্ঠানটি অনেকাংশে মাওলানা আবু তাহের মিছবাহ প্রণীত মাদানী নেসাবের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে। আমি এই নেসাবে পড়ুয়া না হলেও কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে আমি নিজেকে কোনো বিশেষ গণ্ডিতে আবদ্ধ করে ফেলা লোক নই। যখন যে জামাতে পড়েছি, বাংলাদেশে সমমানের পাঠ্যতালিকায় যত কিতাব আছে সবগুলোর সাথেই পরিচিত হতে চেষ্টা করেছি। নিছক পাঠ্যভুক্ত একটি কিতাব পড়ে ক্লাস পার করা আর সমপর্যায়ের প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ তালিকার বাইরের অন্য কিতাব পড়তে না পারা আমার কাছে ছোটকাল থেকেই ভয়াবহ অযোগ্যতা মনে হত। তাই মাদরাসা মাদানী নেসাব হলেও আমার ‘তাকসীমে’ আসা কিতাবগুলো পড়ানোর ক্ষেত্রে ‘ফন’ তথা শাস্ত্রকে প্রাধান্য দিয়েছি। মূল কিতাবের সাথে সহায়ক হিসেবে একই মানের আরও একাধিক কিতাবের সাথে ছাত্রদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। শাস্ত্র ভিত্তিক নতুন-পুরাতন দেশ বিদেশের কিছু মৌলিক কিতাব সংগ্রহ করতে ছাত্রদেরকে উৎসাহ যুগিয়েছি। সহযোগিতা করেছি। অবস্থা বিবেচনায় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে দুই জামাতের ছাত্রদের বেফাক বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছি। আশা এবং দোআ করি, ছাত্রদের ফলাফল ভাল হবে।

প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা ভাল, কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা অর্জন না করেই গাইড বা নোটের সহায়তায় পরীক্ষা পাশের যে ব্যাধি বিগত বছরগুলোতে কওমি মাদরাসায়ও সংক্রমিত হতে দেখে এসেছি, মাদরাসা থেকে আমাকে ‘নাযেমে ইমতেহান’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সাথে সাথেই সকল ছাত্রকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছি। প্রতিযোগিতার পরীক্ষায় ভালো অবস্থান লাভ করতে পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা ছাড়া পরীক্ষা পাশ মূল্যহীন। কাগজের কিছু সনদ ছাড়া বাস্তব জীবনে এসবের কোনো কার্যকারিতা নেই।

৫.

একজন উস্তায দরসে পড়াশোনার পাশাপাশি প্রসঙ্গক্রমে দেশ-জাতি, ইতিহাস-সংস্কৃতি, মানবিক মূল্যবোধ, নাগরিক অধিকার, সামাজিক দায়িত্ব নিয়ে কথা বলে। ছাত্রদেরকে পাঠ্য বই এর বাইরেও বয়সোপযোগী এটা ওটা পড়তে বলে। অবসর সময়ে পড়ার কথা না বলে বরং খেলাধুলা করতে, বাইরে ঘুরতে যেতে উৎসাহিত করে। তদুপরি বয়সে তরুণ।

এসব কারণেই কি না ছাত্রদের কেউ কেউ আমার প্রতি কিছুটা মনযোগী হয়ে উঠল। তাদের দাবি, আমি তাদের আবেগকে স্পর্শ করতে পারি। আদতে সদ্য প্রাতিষ্ঠানিকতা শেষ করে আসায় না বললেও ছাত্রদের অভাব-অভিযোগ, প্রত্যাশা-শূণ্যতাগুলো আমি বুঝতে পারি। প্রতিকার কিছু করতে না পারলেও কিছুটা সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করি।

তাই নানান প্রশ্ন, কৌতূহল নিয়ে একজন, কয়েকজন মাঝেমাঝেই আমার ছোট্ট কামরাটিতে হাজির হয়। আমি সাধ্যমত তাদের কৌতূহল নিবারণ করতে বা প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করি। ইতিহাস, সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং রাজনীতির বিভিন্ন অধ্যায়-পরিক্রমা নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসা-কৌতুহল আমাকে প্রাণবন্ত এবং আশাবাদী করে তুলে।

ছাত্রদের উদ্দীপনা দেখে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে মাদরাসার পাঠাগারে পাঠচক্রের আয়োজন করেছি। বয়স এবং জামাত ভিত্তিক বিশেষ ‘মুহাযারা’ হয় সাপ্তাহের বিভিন্ন দিনে। দেশ-রাজনীতি, ইতিহাস-সংস্কৃতি নিয়ে যেমন আলোচনা হয়, ইলমি ফন্নি বিভিন্ন বিষয়েও প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করা হয়। মাদরাসার নিয়মিত উস্তাযগণ ছাড়াও অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ বৃদ্ধির জন্য মুহাযারায় মাঝেমাঝে শাস্ত্রীয় পণ্ডিত ব্যক্তিদের হাজির করার চেষ্টা করি। শোকরিয়া যে, আমার সহকর্মী অন্য শিক্ষকবৃন্দ এবং মেহতামিম সাহেব বিষয়টিকে খুবই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন।

৬.

গভীরভাবে অনুধাবন করা মাদরাসার অভ্যন্তরীণ একটা তিক্ত বাস্তবতার কথা বলি।

একবছরে এদিক-সেদিক খোঁজ নিয়ে দেখলাম, অধিকাংশ মুহতামিমের যেন ধারণা, মাদরাসায় ভর্তি হওয়া সকল ছাত্র একই সাথে ইমাম গাযালীর মতো ধীমান, মনযোগী এবং আবু যর গিফারীর মতো দুনিয়াবিমুখ, মুখলিস। তাদের আশা, ছাত্ররা আসরের পরেও বাইরে বের না হোক এবং কোনো ওয়াক্তের সুন্নত নামাযের পর জামাত শুরুর আগের মুহূর্তটুকুও কিতাব পড়ে কাটাক। তাই মুহতামিমগণ ছাত্রদের পড়াশোনা এবং আখলাকের কল্যাণ মনে করে ক’দিন পরপর যৌক্তিক, অযৌক্তিক নিয়ম জারি করতে থাকেন।

বিপরীতে ছাত্রদের একটা বড় অংশের মনোভাব থাকে, প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় নিয়ম তাদের প্রতি রেস্ট্রিকশন আরোপের জন্য। মাদরাসার সুবিধে অসুবিধে দেখার সুযোগ তাদের নেই। যত বুঝিয়েই বলা হোক, একটা নিয়ম করার পরে তার বিপরীত কিছু করতেই হবে। নতুবা নিজেদেরকে পরাজিত মনে হয় যেন তাদের।

সাধারণ শিক্ষক। যাদের এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাঝে সমন্বয়ের ভূমিকা পালন করার কথা, তারা হয় দ্বিমুখী। এরা ছাত্রদের কাছে এসে বলে মুহতামিম সেকেলে লোক। যাচ্ছে তাই নিয়ম করে। আর মুহতামিমের কাছে গিয়ে বলে, এই যামানার ছাত্ররা খুবই বেআদব। নিয়মতান্ত্রিকতার ধার ধারে না।

একদিকে ছাত্ররা হয় ক্ষুব্ধ। অপরদিকে ঘাম ঝরিয়ে মাদরাসা চালানো মুহতামিম সাহেব হতাশ হয়ে পড়েন। এর ফলে মুহতামিম, সাধারণ শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবার মাঝে দূরত্ব, সন্দেহ এবং অভিমান সৃষ্টি হয় কেবল।

এক্ষেত্রে মুহতামিম যদি একটি মাদরাসার প্রধান হতে পারাকে নিজের একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার মনে না করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সাধারণ শিক্ষকদের সাথে আন্তরিক পরামর্শ করেন আর সাধারণ শিক্ষকগণ ছাত্রদের উস্কে না দিয়ে বরং সহনশীলতার সবক দেন তাহলে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক থাকে। পারস্পরিক সন্দেহ এবং দূরত্ব সৃষ্টিরও আশঙ্কা থাকে না।

৭.

এখনও পর্যন্ত কওমি মাদরাসার ছাত্র-উস্তাযের সম্পর্কের রসায়নটা আজীব। এক বছরেরও কম সময় অভিজ্ঞতার তরুণ এক শিক্ষকের এই স্বীকৃতি হয়ত অতুক্তি মনে হতে পারে কারো কাছে। তবে এই স্বীকৃতির স্বপক্ষে শক্ত আবেগপ্রবণ দলিল আমি পেশ করতে পারি। দেড়মাস হল আমাদের মাদরাসা ছুটি হয়েছে। আমার কাছে কোনো কিতাব পড়েছে এমন প্রায় সবাই মাত্র চল্লিশদিন সময়ে কয়েকবার ফোন করে খোঁজ নিয়েছে। আমার কাছে নাতিদীর্ঘ জীবনের পরম প্রাপ্তিগুলোর অন্যতম হল ছাত্রদের অকৃত্রিম, অনিঃশেষ এই ভালবাসা। এখানে দেনা- পাওনার কোনো হিসেব নেই। আছে মায়ার আশ্চর্য ঐশী এক বন্ধন।

ব্যক্তি বিশেষ ছাড়া সকল উস্তাযের প্রতিই আমি সবসময় বিনয়াবনত অগাধ শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। তবে আমাদের প্রতি উস্তাযগণ কতটুকু স্নেহপরায়ন এবং দয়াপরবশ ছিলেন তা ছাত্র থাকাকালে কোনোদিন আন্দায করতে পারিনি। মাঝেমাঝে মনে হয় নিজের সমস্ত ক্ষুদ্রতা, তুচ্ছতা নিয়ে একদিন উস্তাযদের দরবারে হাযির হয়ে ঐতিহাসিক এই উক্তিটি পাঠ করে আসি- ‘আনা আবদু মান আল্লামানি হারফান।’

আল্লাহ, আমার জীবিত, মৃত সকল উস্তাযের প্রতি রহম করুন। ছাত্রদেরকে বাকা এবং ইস্তেকামাত দান করুন। আমাকে দ্বীনের পথে অবিচল রাখুন।

 

আগের সংবাদনিঃশব্দে ভালোবাসা যায় না : ভা লো বা স লে শ ব্দ হ য়
পরবর্তি সংবাদহৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাই