আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এ মাসের প্রথম সপ্তাহে রুশ তেলের দাম নির্ধারণ করার ঘোষণা দেয় পশ্চিমা দেশগুলো। জি-৭, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো রাশিয়ার তেলের জন্য ব্যারেল প্রতি সর্বোচ্চ ৬০ ডলার মূল্য নির্ধারণ করে। অবশেষে তেলের দাম নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর নেয়া সিদ্ধান্তের জবাব দিয়েছে মস্কো। যেসব দেশ রুশ তেলের দাম নির্ধারণের পক্ষে ছিল, সেসব দেশে আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে অপরিশোধিত তেল ও তেলজাতীয় পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে মস্কো। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে জানানো হয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলোতে তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে মঙ্গলবার একটি ডিক্রি জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এতে বলা হয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এরপর এটি পর্যালোচনা করা হবে। এই সময়ের মধ্যে পশ্চিমা দেশগুলোতে তেল রপ্তানি করতে হলে পুতিনের বিশেষ অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে।
রাশিয়ার উপরে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। উদ্দেশ্য ছিল, রাশিয়ার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়া। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার প্রায় ১০ মাস হয়ে গেলেও রুশ অর্থনীতিতে তেমন কোনো সংকট দেখা যাচ্ছে না।
ফলে নতুন পরিকল্পনা করতে থাকে পশ্চিমা দেশগুলো। তারই অংশ হিসেবে জি-৭, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়া চলতি মাসে রাশিয়ার সাগরবাহিত অপরিশোধিত তেলের দাম বেঁধে দেয় ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার। পশ্চিমাদের বিশ্বাস, এভাবে দাম বেঁধে দেয়ার কারণে রাশিয়া আর উচ্চমূল্যে তেল বিক্রি করতে পারবে না এবং তাদের আয়ও কমে যাবে।
যদিও রাশিয়া প্রথম থেকেই বলে আসছিল, তারা এসব দাম বেঁধে দেয়ার ঘোষণা পরোয়া করে না। কেউ যদি তাদের তেলের দাম নির্ধারণ করতে চায় তাহলে তাদের কাছে তেল বিক্রি করবে না মস্কো। তারা নতুন ক্রেতা খুঁজে নিতে পারবে এবং মূল্য বেঁধে দেয়ার কোনো প্রভাবই অর্থনীতিতে পড়বে না। ফলে পুতিনের এই ডিক্রি জারি অপ্রত্যাশিত কিছু ছিল না।