পাঠ্যবইয়ের ভুল সংশোধন : আলাদা দুই কমিটি গঠন

ফাতেহ ডেস্ক:

পাঠ্যবইয়ের ভুল ও দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে আলাদা সাত সদস্যবিশিষ্ট দুইটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রথমটি কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ কমিটি ও দ্বিতীয়টি তদন্ত কমিটি। বিশেষজ্ঞ কমিটির মেয়াদ ৩০ দিন ও তদন্ত কমিটির ২১ দিনের। এ সময়ের মধ্যে তাদের তদন্তকাজ শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুই কমিটি সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির প্রণীত পাঠ্যপুস্তকের অসংগতি/ভুল চিহ্নিতপূর্বক তা সংশোধনে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে।

এ কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল হালিমকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপপরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন সদস্য সচিব করা হয়েছে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওয়াহেদুজ্জামান চাঁন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) লুৎফর রহমান, কারিগরি মাদরাসা বিভাগের একজন উপসচিব, ইসলামি ফাউন্ডেশনের একজন পরিচালক ও মতিঝিল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল নাহার শাহীন।

কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির প্রণীত পাঠ্যপুস্তকের অসংগতি, ভুল-ত্রুটি চিহ্নিত করে তা সংশোধনে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান, সুপারিশ প্রণয়নে কমিটি প্রয়োজনে আরও ২-৩ জন বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

অপর কমিটির অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে অসংগতি/ভুল তথ্য-উপাত্ত সন্নিবেশ হয়ে থাকলে তা পর্যালোচনাপূর্বক সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে কারো গাফলতি/ইচ্ছেকৃত ভুল ছিল কি না, তা চিহ্নিতকরণপূর্বক সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষে আগামী তিন সপ্তাহ সময়ব্যাপী সাত সদস্যের কমিটিকে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তারকে আহ্বায়ক করে উপসচিব মিজানুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। সদস্য হিসেবে যুগ্ম সচিব মোল্লা মিজানুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন পরিচালক, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের একজন উপসচিব, মাউশির পরিচালক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম খান, বিএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আব্দুল মান্নান মিয়াকে রাখা হয়েছে।

আগের সংবাদতালাকের আবেদনে এগিয়ে নারীরা, পুরুষের আগ্রহ কম
পরবর্তি সংবাদপাঠ্যক্রমে ইতিহাস বিকৃতি: যেসব কারণে প্রতিবাদ করছেন ধর্মীয় নেতারা