শিক্ষকতায় আগ্রহ হারাচ্ছে মাদরাসা ‘ফারেগীনরা’

রাকিবুল হাসান নাঈম:

বিভিন্ন কারণে কওমি মাদরাসায় শিক্ষকতার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে মাদারাসা পড়ুয়া ফারেগিনরা। বেতন-ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধার অভাবসহ নানা কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে দিন দিন অনাগ্রহী হয়ে উঠছে। কেউ পড়াশোনা শেষ করে, কেউ দু’এক বছর শিক্ষকতা করেই নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছে শিক্ষকতার মতো এই মহান পেশা থেকে। তরুণ আলেম এবং নবীন মাদরাসা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তারা বলছেন, বেতন-ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধার মানবিক সুরাহা না হলে তারা আর শিক্ষকতায় ফিরবেন না। সুরাহা হলে শিক্ষকতায় ফেরার ইচ্ছে তাদের আছে।

বেতন স্বল্পতার অভিযোগ

কথা হয় রাজধানী যাত্রবাড়ি এক মাদরাসার শিক্ষক মুফতি শোয়াইব মুমিনের সঙ্গে। তিনি ফাতেহকে নবীনদের অনাগ্রহী হয়ে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেন। এরমধ্যে প্রথমেই রয়েছে বেতন স্বল্পতা। তিনি বলেন, ‘মাদরাসায় বেতন একদম কম। অল্প সময়ের ভেতর বৃদ্ধির কোন সম্ভাবনাও থাকে না। এতটাই কম যে, নিজে চলাই কঠিন হয়ে যায়। ফ্যামেলি চালানোর কথা বাদই দিলাম। বেতন কম হলেও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ যদি শিক্ষকদেরকে অন্যান্য কাজ করার সুযোগ দিতেন, তাহলেও হতো। কিন্তু সে সুযোগও দেন না। মাদরাসার কাজই এত চাপিয়ে রাখেন, মনে হয়, বেতন দশ হাজার হলেও তার থেকে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ৫০ হাজার টাকার খেদমত আদায় করে নিতে চান। ফলে নবীনরা দিনদিন অনাগ্রহী হয়ে উঠছে মাদরাসায় শিক্ষকতার প্রতি।

কুমিল্লার এক মাদরাসার শিক্ষক আবু দারদা ফাতেহকে বলেন, সমস্যা দুদিকের আছে। এক. যারা চব্বিশ ঘন্টার রুটিনে অভ্যস্ত না, তাদের জন্য মাদরাসায় উস্তাদ হিসেবে ঢুকে ধরাবাঁধা এক জীবনযাত্রা য়চলাটা মুশকিল হয়ে যায়। ক্লাসের বাহিরে প্রাতিষ্ঠানিক দায়দায়িত্বকে চাপ মনে করতে থাকে৷ সেইসাথে মেহনত হিসেবে বেতন কম হয়। নবীন হিসেবে কাজের মূল্যায়ন সেভাবে কর্তৃপক্ষরা করতে চায় না। এতে করে একজন নতুন শিক্ষক তার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সে তখন স্বাধীন কাজ চায়। হয় নিজে প্রতিষ্ঠান দেয় নতুবা যেখানে তার পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে সেখানে চলে যায়৷

প্রায় অর্ধশত আলেম এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন এই বেতন স্বল্পতার সংকটের কথা। বর্তমান মূল্যস্ফীতির এই সময়ে এই বেতনে চলাটা একপ্রকার কঠিনই বলা চলে। ফাতেহের ২৮ অক্টোবরের এক প্রতিবেদনে হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী বলেছিলেন, যাদের সামর্থ্য আছে বেতন বাড়ানোর, তাদের বেতন বাড়ানো উচিত। বর্তমান যে বাজারের অবস্থা, তা কঠিন। মুহতামিমদের তা লক্ষ্য করা দরকার।

মুহতামিমকর্তৃক শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন

মুহতামিমকর্তৃক শিক্ষকদের অবমূল্যায়নের অভিযোগও করেছেন অনেকে। মাদরাসাশিক্ষক খালিদ সাইফুল্লাহ ফাতেহকে বলেন, আমার খেদমতের সূচনা কোন এক মাদ্রাসার কিতাব বিভাগে। বেশ কয়েকমাস ওই মাদ্রাসায় খেদমতে নিয়োজিত ছিলাম। তা’লীমী মুরব্বীর পরামর্শক্রমে অনেকগুলো কারণ সামনে আসায় মাদ্রাসায় ইস্তফা দিয়ে চলে আসি। এরমধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো, মুহতামিম সাহেবের কমিটি পুজা। নিজের অবস্থান ঠিক রাখার জন্য অন্যান্য উস্তাদদের সাথে অমানুষের মতো আচরণ করে। কমটি পুজা করতে গিয়ে নিজের অধিনস্ত উস্তাদদেরকে না চেনার মত আচরণ করে। মাস শেষে শিক্ষকদের বেতন না দিলেও নিজের বেতন প্রতি মাসে ঠিকই নিয়ে নিয়েছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ভরা বৈঠকে শিক্ষককে টুুপির জন্য অপমান করারও ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে। তিনি আরও বলেন, আমাকে ওই মাদ্রাসার হেদায়াতুন্নাহু জামাতের নেগরানীর জিম্মাদারি দেয়া হয়েছিলো। আমি প্রতিদিন ছাত্রদের কাছে যেতাম। তাদের হাল্পুরসি করতাম। কিতাবাদির পড়া-শোনার খোঁজ নিতাম। ছাত্ররাও তাদের না বুঝা জায়গাগুলো দেখিয়ে বুঝে নিতো। আমার কিতাব ছাড়াও অন্যান্য উস্তাদদের কিতাবগুলোও বুঝে নিতো। এটা মুহতামিম, নাজেমে তালিমাত, দারূল ইক্বামা সবাই এটাকে এতোটা অপছন্দ করতো যে, বলতো প্রতিদিন ছাত্রদের কাছে কি? ফলে ছাত্র গড়ার মানসিকতাই চলে যায়।

কুমিল্লা দারুত তাহজিব মাদরাসার শিক্ষাসচিব মাওলানা জহির তানভির বলেন, আগ্রহ হারানোর পেছনে কারণ হলো, মাসিক হাদিয়া, সম্মানি, বা বেতন পরিশ্রম অনুযায়ী কম হচ্ছে এই যুগে। তা ছাড়া সার্বক্ষণিক বাধ্যতামূলক দায়িত্ব চাপানো, অন্য কোন কাজের সুযোগ না দেওয়া। পাশাপাশি অনেক পরিচালকের অসৌজন্যমূলক আচরণ তো আছেই।

কথা হয় দাতব্য সংস্থা পিসব এবং আলোকিত মক্তবের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইমরান হুসাইন হাবিবির সঙ্গে। তিনি ফাতেহেক জানান, ‘পরিচালকদের অমানুষিক আচরণের কারণে অনেকেই মাদরাসায় শিক্ষকতা করতে চান না। তাদের আচরণের কারণে নিজেকে গোলাম মনে হয়, খাদেম না। পরিচালকরা মনে করেন, স্ত্রী-সন্তান কেবল তাদেরই আছে, আর কারও নেই। তাই স্ত্রী-সন্তানকে শিক্ষকরা একটু গুরুত্ব দিলে মুহতামিমরা শুরু করেন ভিন্ন আচরণ। এগুলো না কমালে অনাগ্রহ বাড়তেই থাকবে।

সাময়িক ছুটি কম

মাদরাসা শিক্ষকদের কমন অভিযোগ হলো, সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও ছুটি না পাওয়া। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন না শিক্ষকরা। মাদরাসায় শিক্ষকতার প্রতি অনাগ্রহের বাড় কারণ এটাও।

মুফতি জহির তানভির বলেন, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে বাধ্যতামূলক আবাসিক দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়া হয় শিক্ষকদের উপর। ঠিকমতো ছুটি পাওয়া যায় না। এমনকি বিভিন্ন সমস্যায়ও সুবিধা/ছুটি দেওয়া হয় না।

মুফতি শোয়াইব মুমিন বলেন, ছুটি কম মাদরাসাতে। এমনকি শুক্রবারও ছুটি নেই। শিক্ষকদের বাসা নিয়ে থাকতে দেয়া হয় না। অন্য কোন ইনকামে জড়িত হওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি ইমামতি করারও সুযোগ দেয় না। সাত আটটা করে ঘণ্টা দেওয়ার পরেও আবার সারাদিন এটা সেটা দায়িত্ব দিয়ে রাখে।

কথা হয় তরুণ আলেম মাওলানা আরিফ খান সাদের সঙ্গে। তিনি এখন দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকাতে সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ফাতেহকে বলেন, নববী জীবনধারায় যে প্রাণচাঞ্চল্য ছিল, বর্তমান আবাসিক মাদরাসায় সেটা অনুপস্থিত। এখানে ঘর-সংসার ছেড়ে ২৪ ঘন্টার বদ্ধ রুটিনে একটি স্থবির অবস্থায় বাধ্যশ্রম দিতে হয়। আগের যুগে যেমন ‘রিহলাহ’ ছিল, এখন সেটা নেই। মাসে বা সপ্তাহে একদিনের ছুটিতে কী হয়, জানজটপূর্ণ শহরে? আরেকটা কথা হচ্ছে, আগেকার জীবন যাপন অর্থের ওপর এতটা নির্ভরশীল ছিল না, বর্তমান পুঁজিবাদি সমাজে যার নির্ভরতা অনেক বেশি। এসব কারণে শিক্ষকতার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

শিক্ষকতার মানসিকতা গড়ে না ওঠা

ছাত্রকাল থেকেই শিক্ষকতার মানসিকতা গড়ে না ওঠাকেও কেউ কেউ দায়ি করছেন শিক্ষকতায় আগ্রহ কমার পেছনে। তারা বলছেন, শিক্ষকতা করার জন্য আলাদা যোগ্যতা এবং মানসিকতা লাগে। নয়ত কওমিধারায় শিক্ষক হিসেবে টিকে থাকা কঠিন।

এ প্রসঙ্গে ঢাকার মাদানি নেসাবের একজন শিক্ষক মাওলানা ওলিউর রহমান ফাতেহকে বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, পড়াশোনাকালীন সময়ে শিক্ষকতার মানসিকতা গড়ে না ওঠা। ফাস্ট্রেশন, হাহাকার গোটা সমাজেই এখন ছড়িয়ে পড়েছে। প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ নিত্যনতুন চাকচিক্যের খবর রাখে। আগের শিক্ষকরা শিক্ষকতাটাকে যেভাবে মহান পেশা হিসেবে ছাত্রদের সামনে পেশ করতেন নতুন শিক্ষকরা সেই কাজটা করেন না। নিজের কষ্টের জীবনের বর্ণনা বিভিষিকাময় আকারে পেশ করে ছাত্রদের অগ্রীম সতর্ক করে রাখেন। ফলে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। শিক্ষকতা কখনই বন্ধ থাকবে না। তবে এই যে শিক্ষকতার প্রতি সমাজে একটা অনীহা তৈরি হচ্ছে এটার একটা ভয়ঙ্কর রকম মন্দ দিক আছে। মেধাবী চঞ্চল যারা নিজ উদ্যোগে কিছু করে সফল হওয়ার সম্ভাবনা রাখে তারা শিক্ষকতা বাদ দিয়ে অন্য পেশায় ঝুঁকবে। ফলে একটা অযোগ্য শিক্ষকশ্রেণি তৈরি হবে। যার ফলাফল খুবই ভয়ঙ্কর।

মাওলানা সাদ মুশফিক ফাতেহকে বলেন, শিক্ষকতায় আগ্রহ হারানোর পেছনে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের যেমন দোষ আছে, তেমনি কমতি আছে ফারেগিনদেরও। যারা মাদরাসায় ভালো রেজাল্ট নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছে, তাদের সবাই ভালো শিক্ষক হবে, এমন কোনো কথা নেই। অনেকে ভালো ছাত্র ছিল, কিন্তু ছাত্র পড়ানো এবং ছাত্র গড়ায় সে অযোগ্য হতেও পারে। তখন কিন্তু তার শিক্ষকতায় মন বসবে না। সে শিক্ষকতা থেকে দূরে সরবেই।

আছে ইতিবাচক দিকও

কথা হয় মেরুল বাড্ডার এক মাদরাসার শিক্ষক মুফতি আবু সাঈদের সঙ্গে। তিনি বিষয়টিকে দেখছেন ইতিবাচকভাবেই। তিনি ফাতেহকে বলেন, শিক্ষকতায় আগ্রহ হারাচ্ছে, ব্যাপারটা এভাবে দেখা উচিৎ নয়। বরং বিষয়টা এভাবে ভাবা উচিৎ যে, মাদরাসা ফারেগীনরা এখন তাদের কর্মক্ষেত্রকে আরো বিস্তৃত দেখতে চায়। তারা মাদরাসার খেদমতের পাশাপাশি অন্য অঙ্গনেও যেতে চায়। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো মাদরাসার পাশাপাশি অন্য অঙ্গনে যাওয়ার মতো সুযোগ অবারিত হয়নি। সেজন্য ফারেগীনরা হতাশ হচ্ছেন।

আমার দেখা মতে, যারা মাদরাসার বাইরে কাজ করছেন, তাদের হৃদয়েও মাদরাসায় খেদমত করার আগ্রহ আছে। তবে তারা অন্য কাজের পাশাপাশি মাদরাসায় পড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন না বিধায় পড়াতে পারছেন না।

সমাধান হিসেবে তার পরামর্শ হলো, সেজন্য এখন আমাদের অঙ্গনে ২৪ ঘণ্টা মাদরাসায় ধরে রাখার সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলে একদিকে বেতন কম হলেও যোগ্য কিছু শিক্ষাবিদ পাওয়া যাবে, পাশাপাশি অন্য অঙ্গনে আলেমদের পদচারণায় মাদরাসার সীমানার বাইরের মানুষজনও যোগ্য আলেমদের সাথে মেশার ও উপকৃত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। মেধাবী তরুণরা যেহেতু মাদরাসার পাশাপাশি অন্য অঙ্গনেও যেতে আগ্রহী, আমি মনে করি, তাদেরকে অন্য অঙ্গনে যাওয়ার সুযোগ দেয়া উচিৎ। এতে দেশ ও দশের কল্যাণ।

বেতন স্বল্পতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তরুণদের অনেকে বেতনের কমতি বা পরিচালকদের অসৌজন্যতাকে এর জন্য দায়ি করেন। তবে আমার অভিজ্ঞতা হলো, এ ধরনের অসৌজন্যতা অন্যান্য জায়গায়ও আছে। বলতে গেলে কোথাও কোথাও মাদরাসা মহলের চেয়েও বেশি। তবে আমাদের সমস্যা হলো, মাদরাসাকে আমরা কল্পনা করি, এখানে কোনো ধরনের অসঙ্গতিই উচিৎ নয়। আর অন্য অঙ্গনে গেলে মনে করি, না, এ ধরনের আচরণ কিছু হলে হতেও পারে।আমার মনে হয়, অন্য অঙ্গনে আমাদের তরুণরা যে মনোভাব নিয়ে ঢোকেন, সেটা যদি মাদরাসা অঙ্গনেও পোষণ করেন, তবে এ ধরনের অভিযোগ আর থাকবে না।

লেখক ও শিক্ষক হাসান আজিজ ফাতেহকে বলেন, আমার মুহতামিম ভাগ্য এখনও পর্যন্ত ভালোই বলতে হবে। শুরুদিকে ছিলাম ভাইয়ের মাদরাসায়। এখন অন্য প্রতিষ্ঠানে এলেও আলহামদুলিল্লাহ কখনও ইহতিমামের পক্ষ থেকে অযাচিত চাপ অনুভব করিনি। যদিও ছাত্রদের পেছনে বেশি বেশি সময় দেওয়া, তাদের আরও ভালো করে গড়ে তোলার জন্য উপদেশ-অনুরোধ থাকেই, এটা তো মুহতামিম-মাত্রই করবেন, স্বাভাবিক, কিন্তু আমার কাছে কখনও অযাচিত চাপ মনে হয়নি। তাই এ ব্যাপারে আমার কোনো অভিযোগ নেই।

বেতন নিয়ে আমার অতিরিক্ত কোনো চাওয়া নেই। যদি নির্ধারিত বেতন যথাসময়ে হাতে পেয়ে যাই আমি সম্ভবত নির্দ্বিধায় একটি শিক্ষক জীবন পাড় করে দিতে পারব। এখন শিক্ষকতার ছেড়ে যদি ভিন্ন কর্মক্ষেত্র খুঁজতে যাই তাহলে সেখানেও তো বেশি টাকা আয় করা যায় না। বিকল্প খুঁজতে গিয়ে আমি সফল হতে পারিনি। শিক্ষকতাই আমার কাছে উত্তম মনে হয়।

আগের সংবাদআরব শীর্ষ সম্মেলনে যাচ্ছেন না মরক্কোর বাদশাহ
পরবর্তি সংবাদএকদিনে রেকর্ড ১০৯৪ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে, চারজনের মৃত্যু