শুক্রবারের রোদেরা

মহিম মাহফুজ

গোল চত্বর থেকে আমরা ডান দিকে যাবো
যেখানে সন্ধার পর মৃদুমন্দ অন্ধকার নেমে আসে
এবং তলোয়ারের মতো চকচকে দুপুর;
যখন আজানের আওয়াজ পাখির মতো উড়তে উড়তে উজ্জ্বল রোদ হয়ে যায়
আমরা তখন রাস্তা পার হয়ে ডান দিকে যাই
পেছনে হাঁটতে হাঁটতে আমি দেখি
আমাকে সামনে নিয়ে যাচ্ছেন একজন শুভ্রদাঁড়ির ফেরেশতা
তার ধবধবে প্রবীণ আলখেল্লা নুরানী আগুনের মতো ধীরে ধীরে
আমাকে নিয়ে যান মারকাজ মসজিদের দিকে
প্রতিটি শুক্রবার আতরের গন্ধমাখা রুমালে মোড়ানো থাকে
প্রতিটি শুক্রবার পুরোনো মসজিদের মতো সুগভীর নিমগ্ন থাকে
আমরা রোদের ময়দান অতিক্রম করে শুক্রবারের বুকের ভেতরে ঢুকে পড়লে
প্রবীণ ফেরেশতা আমাকে নিয়ে বসান-
যেখানে অলৌকিক উচ্চতা নিয়ে মেহরাব অকম্পমান
দ্বিতীয় কাতারের নীরবতা আমাকে আচ্ছন্ন করে দিলে
স্বপ্নের ভেতর থেকে আমি দেখি
আলোর রেহাল হাতে প্রবীণ ফেরেশতা পাঠ করেন-
শাহরু রামাদান, আল্লাযি উনঝিলা ফিহিল কুরআন
জুমার তাজাল্লি ঠিকরে পড়ে দাঁড়ানো খুতবার উচ্চারণ থেকে
প্রতিটি রুকু নিমজ্জিত সিজদা এবং সুস্বাদু তাসবিহ আমি পান করি আকণ্ঠ
মুনাজাতের প্রতিটি উচ্চারিত ‘আমীন’ হাউসে কাউসারের মতো আমার ইফতারের তৃপ্তি
ডান হাতে আমি জুতা সোজা করে দিলে
প্রবীণ ফেরেশতা স্নীগ্ধ নেমে আসেন সিঁড়ি বেয়ে
গোল চত্বর অতিক্রম করে আমরা হাঁটি
শুক্রবারের পাখিরা আকাশে গান গায়
শুক্রবারের রোদেরা বাতাসে গন্ধ ছড়াতে থাকে
সেসব নেককার সময় শরীরে মেখে বিদায়ী সম্ভাষণ এলে
ধবধবে আলখেল্লা আমাকে বলেন, আসসালামু আলাইক

আগের সংবাদমুহাম্মাদ রাইহানের দুটি কবিতা
পরবর্তি সংবাদপাঁচদিনে বিভিন্ন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৩