সুলাইমান সাদী’র কবিতা

হুঁশগ্রস্ত বণিকেরা

গুজবে কান দেবেন না
কানের ডগায় গুঁজে রাখুন ধুতুরা ফুল
চুলে চুলে ছড়িয়ে দিন জলজ হেমলক
হুঁশ ফেরার আগ মুহূর্তে একবার কথা বলে নিন আজরাইলের সাথে

দিঘীর মিতালি রঙ ভুলে যান
ঝিল ভেবে ঢুকে পড়ুন হা-কুমিরের থলেয়
একবার আকাশ দেখার ছলে একফোঁটা বৃষ্টি গিলুন
তবু যদি হুঁশ না ফেরে ডাকবেন
মহামতীরা আবুলের ডালা হাতে দাঁড়িয়ে যাবেন জান কবজে

বিশ্বাস করুন
বিষের প্রতিক্রিয়া কখনো হানে না আঘাত
চোট নিতে চাইলে ফিরে আসুন বল্লভের রঙ্গমঞ্চে
চেতনার বাঁধনে টান পড়ে যাবে হুঁশ ভেঙে
মখমলের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখবেন, এই তো দোজখ
হিম হাওয়া কাছেই বয়ে যাবে শুধু ইশারা করে
আরেকবার শুধু নির্বাচন কমিশন ঘুরে আসা লাগবে টিকিটের খোঁজে

 

আলো

অরিয়েন্টালজমের জানালা ডিঙায়া যেইটুক ছায়া আসছিল দুপুর হওয়ার আগে হারায়া গেল চকির চিপায়
নান্দনিক বলতে নন্দনতাত্ত্বিক ফরম্যাটে ঘুমায়া ওঠার পর একটা সন্ধিই বাকি থাকে
সামাজিক বিপ্লব সাধিত হৌক, হৌক রাষ্ট রাস্তা আর ভাঙাচোরা রাত্রীর সংস্কার
আত্মার ঢেকুর থিকা নাইমা আসুক জগতের আলো এলেম আর ব্যবসায়িক পুঁজিপাট্টা

লম্বা সিনেমার মতো একেকটা অরাজক সমাজ আর শহরে দীর্ঘশ্বাস নিয়া জাইগা আছে তারা
সমুদ্রের সমূহ সম্ভাবনার মতো রূপসী বাংলার এইখানে লুকায়া আছে প্রেম পরম আত্মার প্রসাধন
সকল সমাধানের আড়ালে বিপরীত প্রত্যাশায় নিভুনিভু জ্বলে কয়েকটা ম্রিয়মান স্বপ্ন
সমাধী! হায়, একটা আধভাঙা সিরামিকও জোটে নাই এই নরকদীর্ঘ ইতিহাসের নামে

আগের সংবাদহাসান রোবায়েতের কবিতা
পরবর্তি সংবাদমুইনুল ইসলামের একগুচ্ছ কবিতা