সৌদিতে ‘লকডাউন’ অমান্য করলে কঠোর শাস্তির ঘোষণা

Police officers stand guard near Paris prefecture de police (police headquarters) on October 3, 2019 after four officers were killed in a knife attack. - A man wielding a knife stabbed and killed four officers at the police headquarters in the heart of central Paris on Thursday, before being shot dead. (Photo by Bertrand GUAY / AFP)

ফাতেহ ডেস্ক

মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সৌদি আরবে আসন্ন ঈদুল ফিতরের পাঁচ দিনও ২৪ ঘণ্টা কারফিউ জারি রাখছে দেশটির সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমনটি বলা হয়।

সংবাদমাধ্যম আরব জানিয়েছে, ঈদের আগ পর্যন্ত সৌদিতে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখা যাবে। তবে পবিত্র মক্কা নগরী এবং এর আশপাশের এলাকাগুলোতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে।

এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভব ঠেকাতে নতুন কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নাগরিক ও প্রবাসীদের নিয়মগুলো গুরুত্বসহকারে মানতে বলা হয়েছে।

নিয়মগুলো হলো-

১. যে ব্যক্তি কোয়ারান্টিনে থাকা সংক্রান্ত নির্দেশাবলী অমান্য করবেন, তাকে ২ লাখ রিয়াল (৪৬ লাখ টাকা) জরিমানা করা হবে। অথবা তাকে কমপক্ষে দুই বছর জেল দেওয়া হবে। জেল ও জরিমানা উভয় শাস্তিও দেওয়া হতে পারে।

২. যে ব্যক্তি কারফিউ চলাকালীন সময় তার অনুমতি পত্র নির্দিষ্ট কাজ ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন, তাকে ১০ হাজার থেকে ১ লাখ রিয়াল (২ লাখ ৩০ হাজার থেকে ২৩ লাখ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। অথবা তাকে ১ মাস থেকে ১ বছরের জেল দেওয়া হবে। জেল ও জরিমানা উভয় শাস্তিও দেওয়া হতে পারে।

৩. যে ব্যক্তি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কোনো মিথ্যা সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করবে, যারা প্রপাগান্ডা ছড়াবে তাকে তাদের ১ লাখ থেকে ১০ লাখ রিয়াল (২ লাখ ৩০ হাজার থেকে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। তাদের এক বছর থেকে ৫ বছরের জেল দেওয়া হবে। জেল ও জরিমানা উভয় শাস্তিও দেওয়া হতে পারে।

৪. কারফিউ চলাকালীন সময়ে কেউ অনুমতি ছাড়পত্র বের করে দিয়ে অন্য কোনো ব্যক্তিকে দেয় বা কারও কাজে সহায়তা করে, সেক্ষেত্রে তার ১০ হাজার থেকে ১ লাখ রিয়াল (২ লাখ ৩০ হাজার থেকে ২৩ লাখ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। তাকে এক মাস থেকে ১ বছরের জেল দেওয়া হবে। জেল ও জরিমানা উভয় শাস্তিও দেওয়া হতে পারে।

৫. অতিসত্বর মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন গণজমায়েত ও জনসমাবেশ করার ওপর সীমাবদ্ধতার ব্যাপারে নানাবিধ নির্দেশনাবলী ঘোষণা করা হবে। যে ব্যক্তি তা অমান্য করবে, তিনি তার নির্দিষ্ট উপযুক্ত শাস্তির সম্মুখীন হবেন।

৬. সৌদি আরবে বসবাসকারী কোনো প্রবাসী যদি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনাবলী অমান্য করে, তাহলে তিনি তার প্রাপ্য শাস্তি ভোগ করবেন। তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং তিনি আর কখনোই সৌদি আরবে ঢুকতে পারবেন না।

সৌদি আরবে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৯২৫ জন। মারা গেছেন ২৬৪ জন।

-এ

আগের সংবাদ‘ইসলামি অঙ্গনে অপেশাদার রাজনীতির অবসান হোক’
পরবর্তি সংবাদকরোনা নিয়ে মুসলিমবিদ্বেষ, দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হুগলি