করোনায় বিশ্বে রমজান যেমন যাচ্ছে

ফাতেহ ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে মুসলিমদের সবচেয়ে পবিত্র মাস রমজান। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এবারের রমজান মাস অন্য বছরগুলোর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন রকমের। বিভিন্ন দেশে কিভাবে পালিত হচ্ছে এ মাস চলুন দেখে নেয়া যাক।

পাকিস্তান
পাকিস্তান সরকার করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বাসায় নামাজ পড়ার আহ্বান জানালেও দেশটির বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ইমাম মুসল্লিদের মসজিদে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বেশকিছু এলাকায় মসজিদে যাওয়া নিয়ে মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ ২০টি নিয়ম মানার শর্তে মসজিদ খোলার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার।

ফিলিস্তিন
ফিলিস্তিনে পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। তবে জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উৎসাহিত করা হচ্ছে জনগণকে। এমনিতেই গাজা উপত্যকায় অর্থনীতি বেশ ভঙ্গুর। তার ওপর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অর্থনীতিকে আরো বিপর্যস্ত করে তুলেছে। গাজা উপত্যকাতেও ইফতার বা নামাজে বড় জমায়েত নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

আফগানিস্তান
আফগান সরকার দরিদ্রদের জন্য আটা সরবরাহ করছে। ত্রাণ নেয়ার জন্য দূরত্ব বজায় রেখে অপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে আফগানদের। আফগান সরকার করোনা ও রমজানের সময়ে তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও তা নাকচ করে দিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি।

ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়াতে রমজানে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি ঈদের ছুটিতেও শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

সাউথ আফ্রিকা
দেশটিতে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন চলছে৷ কিন্তু চাঁদ দেখার পর রমজান মাসের শুরুর দিনে অনেককেই নামাজ পড়তে একসঙ্গে জড়ো হতে দেখা গেছে৷

সোমালিয়া
দেশটিতে করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। রমজান মাসে মানুষের মেলামেশা বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণ আরো ছড়ানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বড় জমায়েত ঠেকাতে সন্ধ্যার পর থেকে কারফিউ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।

মিশর
রমজান উপলক্ষ্যে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথল করার ঘোষণা দিয়েছে মিশর সরকার। শপিং মল এবং দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিকেল ৫টার মধ্যে তা বন্ধ করে দিতে হবে। সন্ধ্যার কারফিউ শুরুর সময় ৮টা থেকে একঘণ্টা পিছিয়ে ৯টা করা হয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ঘটে মিশরেই।

আলজেরিয়া
আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়াতেও রমজান উপলক্ষ্যে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। বেশকিছু প্রদেশে কারফিউ শুরুর সময় বিকেল ৩টা থেকে পিছিয়ে বিকেল ৫টা করা হয়েছে। ব্লিদা প্রদেশে ২৪ ঘণ্টার কারফিউ কমিয়ে ১৭ ঘণ্টা করা হয়েছে। তবে বড় জমায়েত ও মসজিদে নামাজ আদায়ের নিষেধাজ্ঞা থাকছে আগের মতোই।

জার্মানি
জার্মানিতে রমজান মাসের জন্য আলাদা কোনো বিধিনিষেধ আরোপ বা শিথিল করা হয়নি। তবে অন্য সব ধর্মীয় স্থাপনার মতো মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ও বন্ধ রয়েছে। ছোট দোকানপাট এখনই খোলা রয়েছে। ৪ মে থেকে নিষেধাজ্ঞা আরো শিথিল করা হবে৷ তবে বড় কোনো জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে আগের মতোই। ডয়চে ভেলে।

-এ

আগের সংবাদতুরস্কে একদিনে ১০৬ জনের মৃত্যু
পরবর্তি সংবাদইসরায়েলে নতুন সরকার গঠনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ