চট্টগ্রাম কারাগারেই চলছে কোরআন, গীতা ও ত্রিপিটক শিক্ষা

ফাতেহ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বিভিন্ন অপরাধে বন্দিদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করতে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে উৎসাহ দিচ্ছে কারা কতৃপক্ষ। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি ধর্মী গ্রন্থ শিখার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে কারগারে বসেই কোরআর, গীতা এবং ত্রিপিটক শিক্ষা গ্রহণ করেছেন দেড় শতাধিক বন্দি। কারা কৃতপক্ষের দাবি- ধর্মী অনুশাসন মেনে চলার কারণে অপরাধ থেকে দূরে সরে আসবে ভয়ঙ্কর অপরাধীরা।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম কারাগারে ইসলাম, হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের জন্য ধর্মীগ্রন্থ শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শুরুতে অল্প সংখ্যক বন্দি ধর্মী শিক্ষা গ্রহণ করলেও দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে। ধর্মী শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি বর্তমানে দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বন্দি নামাজ এবং পূজা ও প্রার্থনা করছেন।’

জানা যায়, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পুরুষ ও নারী বন্দি রয়েছেন ৭ হাজার ৪০০ জন। তাদের মধ্যে নারী বন্দির সংখ্যা প্রায় চারশ জন। এসব বন্দিদের সিংহভাগই মাদক মামলার আসামি। করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম ঢেউ শুরু হলে বন্দিদের একটি অংশ ধর্মীয় অনুশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এটাকে কাজে লাগিয়ে কারা কতৃপক্ষ ধর্মীয় গ্রন্থ শিক্ষা গ্রহণ করতে উৎসাহ দেয়া শুরু করে। বন্দিদের ধর্মীয় গ্রন্থ পড়ানোর পর দায়িত্ব দেয়া হয় কারাবন্দি আলেম, পুরোহিত এবং ভান্তেদের। এরই মধ্যে কারাগারে বসেই ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন পড়া শিখেছেন ১৩০ জন। কোরআন ছাড়াও বর্তমানে গীতা পড়া শিখেছে ৩০ জন এবং ত্রিপিটক পড়া শিখেছে ২৩ জন। ধর্মীয় গ্রন্থ শিক্ষা ছাড়াও দৈনিক ধর্মীয় অনুশাসন পালন করছেন বন্দিদের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গত ২০ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন এমরান হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখন কারাগারের প্রতিটা ওয়ার্ডের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি ওয়াক্তেই কারাগারে জামায়াত সহকারে নামাজ আদায় করেন বন্দিরা। এছাড়া অন্য ধর্মালম্বীদের জন্যও প্রার্থনার ব্যবস্থা রয়েছে।’

আগের সংবাদফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলায় ভোট দিতে পারেননি তিন মেম্বার প্রার্থী!
পরবর্তি সংবাদশপিং মল-এয়ারপোর্টসহ কর্মস্থলে নামাজের জায়গা কেন নয়: হাইকোর্ট