জন্মনিয়ন্ত্রণ সেবা নেওয়া কমেছে ২৪ শতাংশ

ফাতেহ ডেস্ক:

সারা দেশে সরকারি জন্মনিয়ন্ত্রণ সেবা নেওয়ার হার কমছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে সাত ধরনের সেবা নেওয়ার হার কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ। আর ছয় বছরের হিসাব করলে এসব সেবা নেওয়ার হার কমে দাঁড়ায় প্রায় ৩৭ শতাংশ। সেবাগুলো হলো খাওয়ার বড়ি, কনডম, দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির ইনজেকশন, ইন্ট্রা–ইউটেরিন ডিভাইস (আইডি) বা কপার টি, ইমপ্ল্যান্ট, স্থায়ী পদ্ধতি ও জরুরি বড়ি।

করোনা সংক্রমণের সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ সেবা নেওয়ার হার আরও কমে যায়। আর এ পর্যন্ত তা করোনাকালের আগের অবস্থায় ফিরে যায়নি। তবে গত ছয় বছরে জরুরি বড়ি নেওয়ার হার ব্যাপকহারে বেড়েছে। অপরিকল্পিত যৌনমিলনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই বড়ি খেতে হয়। সরকারিভাবে ২০১৬–২০১৭ অর্থবছরে শুধু ঢাকায় জরুরি বড়ি দেওয়া শুরু হয়। সে সময় ১৫২টি বড়ি সরবরাহ করা হয়েছিল। ২০২১–২২ অর্থবছরে সারা দেশে জরুরি বড়ি সরবরাহ করা হয় পৌনে চার লাখের বেশি।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর অর্থবছর ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ সেবা দেওয়ার হিসাব করে। অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০১৭–১৮ অর্থবছরের তুলনায় ২০২১–২২ অর্থবছরে অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে খাওয়ার বড়ি নেওয়ার হার ৩৭ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে স্থায়ী পদ্ধতি নেওয়ার হার কমেছে ৩৩ শতাংশ। এ ছাড়া কপার টি প্রায় ২৯ শতাংশ, ইমপ্ল্যান্ট প্রায় ১৯ শতাংশ, ইনজেকশন ১৭ শতাংশ ও কনডম নেওয়ার হার কমেছে ১৪ শতাংশ। অবশ্য ইমপ্ল্যান্ট সেবা নেওয়ার হার ধারাবাহিকভাবে কমেনি; এর হারে ওঠা–নামা আছে।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের সঙ্গে তুলনা করলে সেবা নেওয়ার হারের পার্থক্য আরও বাড়ে। ওই অর্থবছরের তুলনায় ২০২১–২২ অর্থবছরে খাওয়ার বড়ি ৪৩ শতাংশ, কনডম ৩৪ শতাংশ, ইনজেকশন ২৭ শতাংশ, কপার টি ৩৭ শতাংশ ও স্থায়ী পদ্ধতি প্রায় ৩৬ শতাংশ কমেছে। শুধু ইমপ্ল্যান্টের পার্থক্য কম, ৯ শতাংশ।

আগের সংবাদপঞ্চগড়ে নৌকাডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮, এখনো নিখোঁজ ৬৫
পরবর্তি সংবাদশায়খ ইউসুফ আল কারজাভির ইন্তেকাল