প্রফেসর মাওলানা হামীদুর রহমান আর নেই

হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও মুহিউস সুন্নাহ মাওলানা শাহ আবরারুল হক ছাহেব রহ.-এর খলীফা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক সহকারী অধ্যাপক প্রফেসর হযরতখ্যাত মাওলানা প্রফেসর মুহাম্মাদ হামীদুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন।

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তার ছেলে মুহাম্মদ আরিফুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আজ দুপুর ৩টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো প্রায় ৮৬ বছর।

তিনি আরো জানান, ঢাকার ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে তিনি ভর্তি ছিলেন। ডা. রাশিদুল হাসানের অধীনে চিকিৎসা চলছিল। বুকে প্রচণ্ড কফ জমে ছিল। অক্সিজেন উঠানামা করছিলো।

এর আগে তার আরেক ছেলে মুহাম্মদ মাসিহুর রহমান জানান, এর আগে আব্বুর দুইবার করোনা হয়েছে। এছাড়া বার্ধক্যজনিত নানা রোগে তিনি ভোগছিলেন। আব্বুর মাগফেরাতের জন্য আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।

প্রফেসর হামীদুর রহমান ৯ জানুয়ারি ১৯৩৮ সালে মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইসলামিয়া হাইস্কুল থেকে ১৯৫৫ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৭ সালে ভর্তি হন আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমানে বুয়েট)। ১৯৬৫ সালে প্রশিক্ষণের জন্য ইংল্যান্ড যান।

১৯৬৯ সালে তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বুয়েটে যোগ দেন। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি বুয়েটে অধ্যাপনা করেছেন।

প্রফেসর হামীদুর রহমান ১৯৭৪ সালে যুগ শ্রেষ্ঠ বুজুর্গ হজরত মুহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ.-এর কাছে বায়াত হন। বায়াত হওয়ার পাঁচ বছর পর তিনি হজরত হাফেজ্জী হুজুর রহ.-এর তাঁকে খেলাফত দেন।

হজরত হাফেজ্জী হুজুর রহ.-এর ইন্তেকালের পর তিনি হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী রহ.-এর সর্বশেষ খলিফা মাওলানা আবরারুল হক রহ.-এর কাছে বায়াত হন এবং খেলাফত লাভ করেন।

প্রফেসর হামীদুর রহমান ১৯৬৭ সালে বিয়ে করেন। তিনি ৫ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক। ছেলেরা সবাই হাফেজ ও আলেম।

আগের সংবাদইসরাইল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করলো চিলি ও কলম্বিয়া
পরবর্তি সংবাদগাজায় নিহত ৯ হাজার ছাড়াল, আহত ৩২০০০