বইমেলা পেছানোর পক্ষে পরামর্শক কমিটি

ফাতেহ ডেস্ক:

ওমিক্রনের বিস্তারের কারণে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার তাগিদ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এ অবস্থায় বাণিজ্যমেলা আপাতত বন্ধ এবং একুশে গ্রন্থমেলা আরও কিছুদিন পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধ কঠোর করতে সরকারকে কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশের বাস্তবায়নও জরুরি।

শুধু নির্দেশনা দিলেই হবে না, এটার বাস্তব প্রয়োগও দরকার। অর্থাৎ গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী, সবাই মাস্ক পরবে, অফিস-আদালত অর্ধেক জনবল দিয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। এগুলো ভালোভাবে হচ্ছে। কিন্তু বাণিজ্যমেলা চলছে, যা খোলা রাখা উচিত না। এখন এইগুলোর যদি বাস্তব প্রয়োগ না হয়, তাহলে ভালো ফলাফল আসবে না। এজন্য আমরা বলেছি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

অধ্যাপক সহিদুল্লাহ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি সব সময়ই বড় ধরনের জনসমাগম বন্ধের পরামর্শ দিয়ে এসেছে। এর মধ্যে সবই পড়ে। আমরা যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, জনসমাগম বন্ধের সুপারিশ আগে থেকেই করে আসছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বাণিজ্যমেলা বন্ধ করে দেওয়া, গ্রন্থমেলাটা আরও কিছুদিন পিছিয়ে দেয়া উচিত।

লকডাউন দেওয়ার কোনো সুপারিশ করা হয়েছে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক সহিদুল্লাহ বলেন, লকডাউন এই মুহূর্তে দিয়ে খুব লাভ হবে না। লকডাউন দেওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা জরুরি। ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেছে। যখন দেখবো হাসপাতালগুলোয় রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছি না, তখন লকডাউন দেবো। লকডাউনে কিছু সুবিধা হবে, কিন্তু জীবিকার ওপর যে প্রভাব পড়বে, তাও কম না। এই বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।

আগের সংবাদঢাকায় ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন
পরবর্তি সংবাদমাসের শেষে আমিরাতে যাচ্ছেন ইজরাইলের প্রেসিডেন্ট