সীমান্তে দুই দেশের একটি মসজিদ!

ফাতেহ ডেস্ক:

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের বাঁশজানি সীমান্তে রয়েছে দুই দেশের একটি মসজিদ। বাংলাদেশ আর ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মানুষের মসজিদ এটি। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা এই মসজিদটি দুই দেশের মানুষকে এক সেতুবন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে। কিন্তু মসজিটির জরাজীর্ণ অবস্থা। দুই সীমান্তের মানুষের একই দাবি, আইনি জটিলতা কাটিয়ে ঐতিহাসিক এই মসজিদটির একটি স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ হোক।

দুই দেশের মুসলমানরা একই মসজিদে নামাজ পড়ছেন। বাংলাদেশ ও ভারত সীমানার আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৭৮ এর সাব পিলার ৯ এসের পাশে এই মসজিদটি অবস্থিত। উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার ঝাকুয়াটারী গ্রাম, দক্ষিণে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের বাঁশজানি গ্রাম।

মসজিদটি দুই সীমান্তের শূন্য রেখায় বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নির্মিত। এ মসজিদের নাম ‘ঝাকুয়াটারী সীমান্ত জামে মসজিদ’। মসজিদটির বয়স প্রায় দুই শত বছর হবে বলে দুই দেশের অধিবাসীরা জানিয়ছেন। বৃটিশ আমল থেকেই মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে মুসলিম সম্প্রীতির প্রতীক হয়ে। দেশভাগের আগে আত্মীয়-স্বজন নিয়ে এখানকার সমাজ গড়ে উঠেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হলে গ্রামটির উত্তর অংশ ভারতের এবং দক্ষিণ অংশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকে যায়।

ভারতীয় অংশের নাম হয় ঝাকুয়াটারী, আর বাংলাদেশের অংশ নামকরণ হয় বাঁশজানি গ্রাম। পরবর্তীতে ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করলে ভারতের অংশটি বেড়ার বাইরে পড়ে যায়। গ্রামটি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার দিয়ে দুটি দেশে বিভক্ত হলেও ভাগ হয়নি তাদের সামাজিক বন্ধন। প্রতিবেশীর মতোই তাদের বসবাস। ভিন্ন সংস্কৃতি ভিন্ন দেশ হওয়া সত্ত্বেও তারা একই সমাজের বাসিন্দা, একই মসজিদের মুসল্লি।

মসজিদের ইমাম বাঁশজানি গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক (৪৩) বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজে সীমান্তের এই মসজিদ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মুসুল্লীিদের ভিড়ে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ ও ভারতের মুসল্লিরা নামাজ শেষে তবারক বিতরণ করেন।

আগের সংবাদদিনাজপুরে দেয়ালচাপায় একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু
পরবর্তি সংবাদকলকাতা-মদিনা-কুয়েতসহ বিমানের ৬ রুটের ফ্লাইট বাতিল