১৪ দিনে হজযাত্রী নিবন্ধন হয়েছে মাত্র সাত শতাংশ!

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে এবার পূর্ণ কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। এ জন্য গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হজযাত্রীদের চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয়েছে। শেষ হবে আগামীকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু গত ১৪ দিনে মাত্র ৮ হাজার ৮২৭ জন নিবন্ধন করেছেন। অর্থাৎ মোট হজযাত্রীর মাত্র সাত শতাংশ নিবন্ধন হয়েছে।

এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে পারবেন ১৫ হাজার। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারবেন এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন। কোনো ব্যক্তিকে হজে যেতে এখন প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন দু’টি ধাপ পার হতে হয়। প্রাক-নিবন্ধন সারা বছরই চলে। ৩০ হাজার টাকা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করা যায়। হজের আগে প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিকে চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে হয়। এ বছর ইতোমধ্যে সৌদির সাথে বাংলাদেশের হজচুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। হজে সৌদি অংশে যে খরচ রয়েছে তাও জানিয়ে দিয়েছে সৌদি।

হজের পাঁচ দিনে মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় মোয়াল্লেমের সেবার ভিত্তিতে চারটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ডি ক্যাটাগরির জন্য পাঁচ দিনে খরচ ধরা হয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার ১৩০ টাকা, সি ক্যাটাগরির জন্য এক লাখ ৬০ হাজার ৬৩০ টাকা, বি ক্যাটাগরির জন্য খরচ হবে দুই লাখ ২৪ হাজার ৬২১ টাকা এবং এ ক্যাটাগরির জন্য খরচ ধরা হয়েছে দুই লাখ ৯০ হাজার ৯৩০ টাকা। এ বছর আগেভাগেই হজের কার্যক্রম শুরু করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে খরচের প্যাকেজ ঘোষণা করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে একটি মাত্র প্যাকেজে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। এর সাথে কোরবানির খরচ ২৮ হাজার ৩৯০ টাকা যুক্ত হবে। যাতে হজযাত্রীরা সি ক্যাটাগরির সুবিধা পাবেন। গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৭২ টাকা।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে সর্বনিম্ন খরচ ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা ঘোষণা করেছে বেসরকারি এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব। এ বছর চূড়ান্ত নিবন্ধনও শুরু হয়েছে আগেভাগেই। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হজের নিবন্ধন শুরু হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে আগামীকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ নিবন্ধন চলবে। কিন্তু গতকাল একুশে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত ১৪ দিনে মাত্র আট হাজার ৮২৭ জন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঁচ হাজার ছয় জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় করেছেন মাত্র তিন হাজার ৭২১ জন।

হজ এজেন্সি মালিকরা বলছেন, হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় মানুষের জন্য ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এজন্য যারা প্রাক-নিবন্ধন করেছেন তাদের অনেকেই এত টাকা খরচ করে হজে যেতে চাচ্ছেন না। তারা এখন ওমরাহ পালনে যেতে চাচ্ছেন। এ কারণে এখন ওমরাহ যাত্রী অনেক বেড়ে গেছে।

আগের সংবাদআমি মুখ খুললে সরকারের অসুবিধা হয়ে যাবে: নজিবুল বশর
পরবর্তি সংবাদচড়া হজের খরচ, নিবন্ধন করার সাহস করছে না হাজিরা