বর্তমান শিক্ষানীত ও পাঠ্যক্রম নিয়ে পুরা জাতি উদ্বিগ্ন : ড. আহমদ আবদুল কাদের

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, বর্তমান শিক্ষানীত ও পাঠ্যক্রম নিয়ে পুরা জাতি আজ উদ্বিগ্ন। নতুন পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতাকে বিসর্জন দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নৈতিকভাবে দুর্বল কারর জন্যে পাঠ্যক্রমে শরীফার গল্প ঢুকানো হয়েছে। শিক্ষায় নৈতিকতার সংকটের ফল হচ্ছে সম্প্রতি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের দ্বারা স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীর উপর পৈশাচিতকতার ঘটনা।

৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এ ধরণের বিবর্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে পারে না। এ অনৈতিক শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা প্রতিরোধে বর্তমান সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ভারত সীমান্তে বাংলাদেশ নাগরিকদের হত্যাকান্ড থামছে না। এখন মিয়ানমার সীমান্তেও বাংলাদেশী নাগরিকরা হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে। বর্তমান সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির করণে দেশের সার্বভৌত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরার অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনে এ কথা বলেন।

আজ সকাল ৮ টায় বিজয়নগরস্থ মজলিস মিলনায়তনে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল। বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী সহসভাপতি হাফেজ মাওলানা নূরুল হক, মাওলানা ফারুক আহমদ ভুঁইয়া, আলহাজ¦ মো: আবদুল রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক মুফতী সাইফুল হক, বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাঃ সেলিম হোসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা সরদার নেয়ামত উল্লাহ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাস্টার কেতাব আলী মল্লিক , সহ বায়তুলমাল সম্পাদক আব্দুল হান্নান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবিএম শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য মাওলানা অলিউল্লাহ, নজরুল ইসলাম ভূইয়া, হাফেজ শফিকুল ইসলাম, মাওলানা ফরিদ আহমদ হেলালী, মাওলানা শরিফ উদ্দিন প্রমুখ।

ড. আহমদ আবদুল কাদের আরো বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলী গণহত্যা ইতিহাসের সমস্ত গণহত্যার নজির ছাড়িয়ে গেছে। ফিলিস্তীনি নাগরিকদের উপর এ জঘন্য গণহত্যা পরিচালনায় সম্রাজ্যবাদি শক্তিগুলো অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে ইসরাইলী বাহিনীকে সাহায্য করে যাচ্ছে। এ জঘন্য গণহত্যার জন্য ইতিহাস এদের ক্ষমা করবে না। ইসরাইলী গণহত্যা বন্ধে বিশ^ মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।

কেএল/

আগের সংবাদসম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদের বিক্ষোভ শুক্রবার
পরবর্তি সংবাদ‘২০০ আসনের ফলে’ এগিয়ে ইমরানের সমর্থিতরা