
ফাতেহ ডেস্ক:
আজানের সময় পূজামণ্ডপে বাদ্যযন্ত্রের শব্দ সহনীয় রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজার নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৯টি নির্দেশনা প্রদান করেন। তারমধ্যে অন্যতম একটি ছিল, আজানের সময় পূজামণ্ডপে বাদ্যযন্ত্রের শব্দ সহনীয় রাখা।
এছাড়া বাকি নির্দেশনাগুলো হলো,পূজামণ্ডপে অন্য বাহিনীর ছাড়াও ২৪ ঘণ্টা আনসার বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে, গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা নজরদারি করবে, সব মণ্ডপে বাধ্যতামূলক সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে, এমন জায়গায় পূজামণ্ডপ করা যাবে না যেখানে গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না, পূজামণ্ডপের স্বেচ্ছাসেবকদের বাধ্যতামূলকভাবে হাতে আর্মব্যান্ড পরতে হবে, যেকোনো গুজবের ব্যাপারে সতর্ক নজর রাখা হবে, বিশেষ করে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করা হবে, কোনো ধরনের গুজব ছড়ানোকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপূজা ঘিরে মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে নির্দেশনা ছিল, তা বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে একটি প্রতিবেদনে। সম্প্রতি প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি নির্দেশনা থাকার পরও অনেক পূজা মণ্ডপেই এখন পর্যন্ত স্থাপন করা হয়নি সিসি ক্যামেরা, গঠন করা হয়নি স্বেচ্ছাসেবক দল এবং অনিরাপদ স্থানে স্থাপন করা হচ্ছে অস্থায়ী পূজামণ্ডপ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ না করে মণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিঘ্নিত করলে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনার দায়ভার সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিকেই নিতে হবে, যে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রেস ব্রিফিংয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনের শেষের অংশে বলা হয়েছে, পূজা শুরু হওয়ার আগেই কমিটি বিষয়ক দ্বন্দ্ব সমাধান করে দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করা প্রয়োজন। নানা সময় ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নিজেদের মধ্যকার কিংবা স্থানীয় মুসলমানদের সাথে দ্বন্দ্বের বিষয়গুলোকে সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রচার করা হয়। যেকোন সাম্প্রদায়িক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বার্তা প্রদান করা হয়েছে।’