ইসরাইলের সাথে দীর্ঘ মেয়াদি যুদ্ধ করতে প্রস্তুত : হামাস

ইসরাইলের বিরুদ্ধে দীর্ঘ মেয়াদি শক্তিক্ষয়ের যুদ্ধ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেড। আনাদুলু অ্যাজেন্সি এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমাদের জনগণের ওপর আগ্রাসন থামাতে আমরা পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও আমরা শত্রুর বিরুদ্ধে শক্তিক্ষয়ের দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’

তিনি ঘোষণা করেন যে গত ১০ দিন ধরে আল-কাসসাম যোদ্ধারা গাজা উপত্যকাজুড়ে লড়াইয়ে ১০০ ইসরাইলি সামরিক যানকে টার্গেট করেছে।

তিনি আরো বলেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় তাদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়গুলো প্রকাশ করছে না।

আবু ওবায়দা দাবি করেন, ‘আল-কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা পূর্বাঞ্চলীয় রাফা নগরীতে শত্রুর (ইসরাইলি সেনাবাহিনী) ওপর ভয়াবহ আঘাত হেনেছে।’

ইসরাইলি সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে রাফায় হামলা শুরু করে। এখানে ১৫ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল। ইসরাইলি বাহিনী রাফা ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিনি অংশও দখল করে। এই ক্রসিং দিয়েই বেশিভাগ মানবিক সহায়তা প্রবেশ করে। তাছাড়া ইসরাইলকে এড়িয়ে বাইরের দুনিয়ার সাথে যোগাযোগের এটিই একমাত্র পথ।

ইসরাইল ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় নৃশংস হামলা শুরু করেছে।

ইসরাইল দাবি করছে যে ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভেতরে হামাসের হামলায় ১২ শ’ লোক নিহত হয়েছে। এর বদলায় তারা এই হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু ইসরাইলি পত্রিকা হারেৎসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওই দিন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ও ট্যাঙ্কের গুলিতে ১,১৩৯ সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিল। অথচ তারা হামাসের হাতে নিহত হয়েছে বলে ইসরাইল দাবি করছে।

গাজায় ইসরাইলের চলমান হামলায় ৩৫ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। তাদের বেশিভাগই নারী ও শিশু। আর আহত হয়েছে ৭৯ হাজারের বেশি। এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

গাজায় সাত মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি হামলায় উপত্যকার বেশিভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে খাদ্য, পানি ও ওষুধের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর

আগের সংবাদঅধরাই থেকে যাচ্ছে কওমি ছাত্রদের দেওবন্দে যাবার স্বপ্ন
পরবর্তি সংবাদসৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু