ফাতেহ ডেস্ক:
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ইসলাম হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। তাই ইসলামী জলসা বা তাফসীর মাহফিলে রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজনীতি নিয়ে আলোচনা হবেই। তাহলে মাহফিলে আলেম-ওলামা রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন না কেন? মাহফিলে রাজনৈতিক অলোচনা হলেই একটি মহল মাহফিল বন্ধ করে দিতে চায় কেন? তারা মাহফিলে বাঁধা দেওয়ার কে? আসলে, একটি চক্র আলেম-ওলামাদের নাজেহাল করতে চায়।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে জাতীয় ওলামা পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, পাড়ায়-পাড়ায় মাফিয়াদের মত গ্রুপ তৈরি হয়েছে। তারা মাহফিলের ষ্টেজ ভেঙে দিতে চায়। মাহফিলে সত্যের পক্ষে কথা হলেই একটি মহল উত্তেজিত হয়ে পড়ে। আসলে তারা সত্যকে ভয় পায়, অন্ধকার ঘরে নিজেকেও ভয় পায় মহলটি।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টি ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক শক্তি। আমরা আল্লাহ্ ছাড়া কাউকে ভয় করে রাজনীতি করব না।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, এমন মনোবৃত্তি তৈরি করা হয়েছে, দাড়ি-টুপি দেখলেই যেন জঙ্গি বা সন্ত্রাসী। অথচ, আমাদের দেশের মানুষ দাড়ি-টুপি এবং পাগড়ী পরে অন্য ধর্মাবলম্বিদের বিপদে পাশে দাঁড়ায়। একই মাঠের দুই পাশে মসজিদ ও মন্দির আছে। সময় মতো যার যার উৎস ও ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করছেন, কোনো সমস্যা হচ্ছে না। অনেক দেশে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ আছে কিন্তু আমাদের দেশে কোনো সংঘাত নেই। এটাই অসাম্প্রদায়িকতা। ইসলাম সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিক্ষা দেয়।
কাদের বলেন, আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক জাতি। আমাদের জাতিগত ঐক্য আছে। কোনো ষড়যন্ত্রেই আমাদের ঐক্য নসাৎ করতে পারবে না।
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ইসলামের খেদমতে অসংখ্য কাজ করেছেন। তিনি ইসলামী মূল্যবোধ রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তাই পরবর্তীতে বিরোধীরাও তা পরিবর্তন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে মসজিদের ঈমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতনের ব্যবস্থা করব। এ সময় সকল ভেদাভেদ ভুলে আলেম ওলামাদের জাতীয় পার্টির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানান।
জাতীয় ওলামা পার্টির আহ্বায়ক ড. ইরফান বিন তোরাব আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এসএম আল জুবায়ের এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, ওলামা পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে মুফতি ফিরোজ শাহ, মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা মো. আব্দুর রব, ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা আব্দুর রহিম, মুফতি কামরুল হাসান, মাওলানা নাজমুল হুদা সারোয়ার, মাওলানা নাজমুল হাসান, এসএম আনিসুর রহমান, মাওলানা শফিকুর রহমান, ডা. মো. আব্দুস শুক্কুর, মাওলানা ঈদুল ইসলাম, মুফতি তাজুল ইসলাম, মুফতি ইমরান মাহমুদি।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, দফতর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় নেতা ও কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের আহ্বায়ক এয়ার আহমেদ সেলিম, মোনাজাত চোধুরী, ওলামা পার্টির মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা মো. খন্দকার শফিউদ্দিন, মুফতি রিদোয়ান।