আব্দুল্লাহ আল মুনীর:
মাওলানা আশরাফ আলী থানবি রহ. বহুমাত্রিক জ্ঞানসাম্রাজ্যে বিচরণকারী আলেম ও পুরোদস্তুর খানকাহকেন্দ্রিক বুযুর্গ ছিলেন। তাঁর আত্মশুদ্ধিতে নবপ্রাণ পেতো পদস্খলিত শাগরিদরা। হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কীর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি হয়ে তিনি বসতেন থানাভবনের খানকাহ এমদাদিয়া আশরাফিয়ায়। ছিলেন অতিমানবিক লেখকও। এত লিখেছেন যে, গ্রন্থনাগুলোর তুলনায় তাঁর জীবনের ব্যপ্তিকে বড্ড সংক্ষিপ্ত মনে হয়। আধ্যাত্মিকতায় ছিলেন পরমসত্ত্বার প্রেমী। নিজেকে প্রভুর তরে বিলিয়ে দিতেন আর পৃথিবী তাঁর পদতলে দলিত হতো। নিরবমুখর থানাভবন মহল্লা থেকে যে তাসাউফের শুভ্রতা তিনি ছড়িয়েছেন, তার আভা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে গেছে মহাকলরবে। মুসলিম সমাজের জন্য নিজেকে মেলে ধরেছেন আদর্শরূপে। সুন্নাহের কালি লেপ্টে ছিলো যে আদর্শের আষ্টেপৃষ্ঠে। ছিলেন শান্তমূর্তি, তবে তাঁর ব্যক্তিত্ব ছিলো প্রখর। তিনি নিমজ্জিত হতেন খানকাহে এমদাদিয়ার আঁধারঘেরা কুঠুরিতে, আর প্রজ্ঞার আলোর ঝলকানিতে মেতে উঠতো পুরো হিন্দুস্তান।
মাওলানা থানবি রহ. ছিলেন সহস্র গুণাগুণে পূর্ণ। তিনি মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে দু’হাতভরে লিখতেন ও নিজের যাপিত জীবনে ঘটতো এর প্রয়োগ। যেন মূর্খ ছাত্রদের হাতেকলমে সবক শেখাচ্ছেন। পারিবারিক জীবন ছিলো এমনই। মাওলানা থানবি রহ.-এর খানকাহ ও মাদরাসার সুসজ্জিত এক জীবনের সামনে ঘর-সংসার নিতান্তই আটপৌড়ে। তিনি দূরে থাকতে চাইতেন অস্থায়ী ভোগ-বিলাস, ঘর-সংসারের মত্ততা থেকে। কিছুটা প্রয়োজনে ও পরিজনের হক আদায়ের স্বার্থে ঘরের সাথে যতটুকুন সম্পর্ক রেখেছেন, তা ছিলো ন্যায়-সমতা ও তাকওয়া-যুহদে পরিপূর্ণ। আমরা মাওলানা থানবি রহ.-এর কর্মব্যস্ত জীবন থেকে ফিরে তাঁর পারিবারিক জীবনের খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করবো।
বিয়ে ও পরিবার
১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে মাওলানা থানবি রহ. প্রথম বিবাহে আবদ্ধ হন। গাঙ্গুহে বিয়ে পড়িয়েছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী রহ.। বড়বিবি মুহতারামাও ছিলেন হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ.-এর বাইয়াতপ্রাপ্তা। মুত্তাকী ও পরগেজগার ছিলেন। দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন ভাতিজা মাওলানা সাঈদ আহমাদ থানবি রহ.-এর বিধবাপত্নী। ভাতিজার মৃত্যুর একবছর পর ১৩৩৪ হিজরী রমজানুল মোবারাকের মাঝামাঝি সময়ে মাওলানা থানবি রহ. বিধবাপত্নীকে বিয়ে করেন। উভয় স্ত্রী ছিলেন নিঃসন্তান। দ্বিতীয় বিয়ের সময় তাদের সহযাত্রী হয় মাওলানা সাঈদ মরহুমের এক মেয়ে। থানবি রহ. যার লালনপালন করেছেন ও পরবর্তীতে মাওলানা জামিল আহমাদ থানবির সাথে বিবাহ দিয়েছেন। মাওলানা থানবি রহ. যখন দ্বিতীয় বিয়ে করেন, প্রথমা বলেছিলেন, ‘আপনি তো শাগরিদদের জন্য মাসনার পথ সুগম করলেন। এখন তারা আপনাকে অনুসরণ করে দ্বিতীয় বিয়ে করতে উদ্বুদ্ধ হবে।’ হজরত উত্তরে বলেছিলেন, ‘আমি পথ সুগম করিনি, বরং বন্ধ করেছি। ওরা যখন দেখবে উভয় স্ত্রীর মাঝে সমানাধিকরণ কতটা কষ্টসাধ্য, তখন এ সিদ্ধান্তে আগ্রহী হবে না।’
সমতার ঘর
সত্যিই মাওলানা থানবি রহ. দেখিয়েছিলেন কীভাবে একাধিক স্ত্রীর অধিকার রক্ষা করতে হয়। দুই স্ত্রীর মাঝে কিছু বন্টন করতে হলে সমানভাগে করতেন। এর আঞ্জাম দিতে খানকাহে এমদাদিয়ার সামনে একটা সুক্ষ্ম পরিমাপযন্ত্র রাখা হতো, যাকে মজা করে হজরত বলতেন ‘মিজানে আদলে’র ন্যায়ের পাল্লা। খাবারের পালায় একদিন করে ভাগ করা ছিলো দু’ঘর। রমজানুল মোবারাকে বড়বিবির ঘরে ইফতার ও ছোটবিবির ঘরে সাহরী করতেন। দু’জনের ঘরে কখনও সামান্য সময় কমবেশি করতেন না। তিনি বলতেন, ‘আমি তো একজনের পালায় অন্যজনের কথা স্বরণ করাকেও অন্যায় মনে করি। এতে তার প্রতি মনোযোগ কমে যায়। তার হক নষ্ট করা হয়।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি আমার কাপড়ও খানকায় রাখি, কেননা একজনের ঘরে রাখলে অন্যজনের মনে এই সন্দেহের উদ্রেক হতে পারে, বোধহয় আমার কাছে তার কোন বিশেষত্ব নেই।’
মাওলানা থানবি রহ. খুব সতর্কতার সাথে আচার-ব্যবহারের মাধ্যমে উভয় স্ত্রীকে সন্তুষ্ট রাখতেন। কখনও উভয়পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ সৃষ্টি হয়নি।
ঘরে তাঁর আচরণ
নানামাত্রিক দ্বীনি কাজে ব্যস্ততার কারণে মাওলানা থানবি রহ. ঘরে কমই সময় দিতেন। সাধারণত এমন হতো, মাগরিবের সামান্য আগে ঘরে গিয়ে কিছু আলাপ সেরে নামাজের জন্য চলে আসতেন। ঘরে অল্প সময় দেয়াতে অসন্তুষ্ট ছিলো না সহধর্মীনীদ্বয়। থানবি রহ. প্রায়ই বলতেন, ‘আমি স্বাধীনভাবেই নিজের কাজে মশগুল থাকতে পারি।’ ঘরে প্রবেশকালে শুরুতে দরজায় আওয়াজ দিতেন, এরপর কারো নাম ধরে ডাকতেন। ভেতর থেকে যতক্ষণ কোন প্রতিশব্দ না আসতো, তিনি অপেক্ষা করতেন। কোন বাচ্চার প্রতিউত্তরে তিনি প্রবেশ করতেন না, বড়দের কারো সাড়া পাবার অপেক্ষা করতেন। প্রতিবেশি বা অন্য কারো ঘরে প্রবেশের সময়ও পর্দার প্রতি খেয়াল করে যথেষ্ট সময় অপেক্ষা করতেন। পূর্ণ নিশ্চয়তা না পাওয়া অবধি ঘরে প্রবেশ করতেন না। ঘরে খাবার খেয়ে কখনও স্ত্রীকে দস্তরখান উঠাতে নির্দেশ দিতেন না। প্রয়োজনে এমন শব্দ ব্যবহার করতেন, যাতে তা নির্দেশসূচক না হয়। ঘরের চাকরাণীকেও সরাসরি নির্দেশ করতেন না, কোন আদেশ থাকলে স্ত্রীর মাধ্যমে করতেন। থানবির ঘরে চাকর-চাকরাণীকে একসাথে একাধিক কাজ দেয়া হতো না। অতিরিক্ত কষ্টদায়ক কাজ হলে তিনি নিজে শরিক হতেন। কখনও নিজ থেকে খাবারের তালিকা দিতেন না। স্ত্রীদের থেকে শুনতেন, এরপর কোন একটা পছন্দ করে দিতেন। সফরের সময় নিয়মিত ডাকযোগে ঘরে পত্র প্রেরণ করতেন। এভাবেই তার ঘরে সাম্য-শান্তির মহরা চলতো।
তাঁর ভাবনায় সহধর্মীনীরা
মাওলানা থানবি রহ. সবসময় শাগরিদদের নসীহত করতেন, স্ত্রীদের সাথে উত্তম আচরণ করার। পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে তিনি লিখেছেন বহুগ্রন্থ। নিজের পরিবারেও ছিলো তার নমুনা। লক্ষ মানুষের আধ্যাত্মিক প্রাণপুরুষ থানবি রহ.-এর ঘরে প্রবেশের পর ভুলে যেতেন সব, তখন তিনি কোমলচিত্তের এক সংসারী। তার উপস্থিতিতে স্ত্রী মুহতারামা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে তিনি নরমস্বরে বলতেন, ‘আমি তো দিনভর ব্যস্ততার পর ক্লান্ত বদনে তোমার কাছে আসি, যাতে আমার অন্তরে প্রশান্তি মিলে, অথচ তুমি এখনও কাজ নিয়েই পড়ে রইলে!’ ঘরে নীচুস্বরে কথা বলা তাঁর অভ্যাস ছিলো। মেহমান এলে তাদের বাচ্চাদের সাথে দুষ্টুমি করতেন। একবার হজরতের বড়বিবি মুহতারামা দুর্ঘটনাবশত বাসার ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে ব্যথা পান। থানবি রহ. তখন খানকায় ফজরের সুন্নাত পড়ছিলেন। এমন সময় খবর এলে তিনি তৎক্ষণাত নামাজের নিয়ত ছেড়ে ঘরে চলে যান। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে আবার নামাজে দাঁড়ান।
মৃত্যুর পর স্ত্রীদের অবস্থা কী হবে! এ নিয়েও ভাবতেন মাওলানা থানবি রহ.। এই চিন্তা থেকে হজরত তার একান্ত শাগরিদদের এ ব্যপারে ওসিয়ত করে গিয়েছেন। তার একান্ত বন্ধুদের উদ্দেশ্যে আরজি জানিয়েছেন, মৃত্যুর পর যদি স্ত্রীদের অবস্থা নাজুক হয়ে যায় যাতে তারা বিশজন মিলে এক টাকা করে মোট বিশ টাকা তুলে হজরতের স্ত্রীর জন্য জমা করে। ওসিয়তনামায় এ ব্যপারটি সুস্পষ্টাকারে লিপিবদ্ধ রয়েছে। পরিবার নিয়ে এতটা পরিচ্ছন্ন ভাবনা ছিলো তার, অথচ এই ব্যক্তিই ঘর থেকে খানকায় প্রত্যাবর্তন করলে পুরো অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যেতো। মোদ্দাকথা, তিনি প্রতিটি স্থানের হক যথাযথ আদায় করতেন।
আতঙ্কের সম্পদ
মাওলানা থানবি রহ. যৎসামান্য যা আয় করতেন, তা তিনভাগে বন্টন হতো। দুই ভাগ স্ত্রীদের কাছে পাঠানো হতো। একভাগ নিজের কাছে রাখতেন। যখন নিজের কাছে অতিরিক্ত অর্থ জমে যেতো, তখন তা পুনরায় দুইভাগে ভাগ করে স্ত্রীদের দিয়ে দিতেন। উভয়ের ঘরে তাদের খরচের সাথে নিজের খরচ হিসেবে অতিরিক্ত অর্থও দিতেন। তিনি প্রায়শই বলতেন, ‘আমার হাতে অতিরিক্ত অর্থ এলে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।’ থানবি রহ. এর বড়বিবি মুহতারামা তার মোহরানা থেকে পাঁচ হাজার রূপি মাফ করে দিয়েছিলেন। এরপরও তিনি সে অর্থ আদায় করেছেন। এ ব্যপারে তিনি বলেছেন, ‘মহিলারা যদি মোহরানা মাফ করেও দেয়, তবুও পুরুষের ব্যক্তিত্ববোধের প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে মোহরানা আদায় করা উচিত।’
একটি ঘটনা
একবার থানবি রহ. শাগরিদদের চিঠির উত্তর লিখতে বসেছেন ফজরের পর (খানকায় মুরিদরা তাদের অবস্থা লিখে পত্রগুলো একটি বাক্সে জমা করতো, হজরত থানবি রহ. নিয়মিত পত্রগুলোর উত্তর লিখতেন)। একটি পত্রের জবাব লিখতে গিয়ে তিনি বেশ পেরেশান হলেন। মাথায় কোন উত্তর আসছে না। অথচ সাধারণত এমন হয় না। থানবি রহ. হয়রান হয়ে আল্লাহর নিকট দোয়া করতে থাকলেন। এমন সময় মনে হলো, ছোটবিবি মুহতারামার ঘরে খোয়ারবদ্ধ মুরগীরা ক্ষুধার্তাবস্থায় আছে। ছোটবিবি কিরানায় গিয়েছেন, ঘরে মুরগীকে খাবার দেয়ার মত কেউ ছিলো না। থানবি রহ. দ্রুত ঘরে গেলেন ও মুরগীগুলোকে খাবার দিয়ে মুক্ত করলেন। এরপর এসে পত্রটির উত্তর লিখতে বসলেন ও স্পষ্ট উত্তরটি লিখতে পারলেন। এই ঘটনা বলতে গিয়ে মাওলানা থানবি রহ. বলেন, ‘মুরগীগুলো ক্ষুধার্ত ছিলো বলে আমার মস্তিস্ককে আল্লাহ তাআলা থামিয়ে দিয়েছিলেন, না হয় এই ব্যপারটি আমার মনেই আসতো না ও আল্লাহর মাখলুক সারাদিন না খেয়ে ছটফট করতো।’
আমি যেমন রয়েছি তুমিও তেমন থাকো
মাওলানা থানবি রহ.-এর উভয় স্ত্রী ছিলেন নিঃসন্তান। তাঁর আধ্যাত্মিক মুর্শিদ হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কীর দোয়ায় তিনি নিঃসন্তান থেকেছেন বলে ধারণা করা হয়। এ ব্যাপারে একটি ঘটনা রয়েছে। তখন হাজী ইমদাদুল্লাহ রহ.-এর হজের কাফেলায় বড়বিবি মুহতারামা তার খালাসহ মাওলানা থানবির সাথে মক্কায় ছিলেন। থানবি রহ.-এর মারফতে খালা হাজী সাহেবের নিকট দোয়া চাইলেন, ‘থানবি রহ. ও বড়বিবির ঘরে যেন সন্তান জন্মগ্রহণ করে।’ হাজী সাহেব বললেন, ‘তোমার খালার ইচ্ছে অনুযায়ী দোয়া তো আমি করেছি, তবে আমার ইচ্ছে হয়, আমি যেমন রয়েছি তুমিও তেমন থাকো (হাজী সাহেবও নিঃসন্তান ছিলেন)। যে অবস্থা আমার, তোমারও হোক একই অবস্থা।’ এরপর থানবি রহ.-কে দীর্ঘক্ষণ ‘সেকালে সন্তানাদির যন্ত্রণা’ বোঝাতে থাকেন। মাওলানা থানবি বললেন, ‘যা আমার হযরতের পছন্দ, তা-ই আমার জন্য পছন্দ করে নিয়েছি।’ এরপর হাজী সাহেব প্রশান্তি লাভ করেন।
এই ঘটনার মাধ্যমে থানবি ও হাজী সাহেবের মধ্যকার হৃদ্যতা সহজেই অনুমেয় হয়। উল্লেখ্য, হাজী সাহেবের মত জগদ্বিখ্যাত বুজুর্গের এই দোয়া কোন বদদুআ ছিলো না। তিনি তাঁর প্রিয় শাগরিদ থানবিকে সবচেয়ে ভালো বুঝতেন ও জানতেন। হয়তো তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, থানবি রহ. সন্তানের পিতা হলে হাজার হাজার পৃষ্ঠা লিখতে পারবেন না, লক্ষ মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার মিশনে সফল হতে পারবেন না। থানবি রহ. অধিকাংশ সময় এমনই বলতেন, ‘সন্তান থাকা আল্লাহর নেয়ামত আর সন্তান না থাকাটাও অনেক বড় রহমত। যদি আমি সন্তানের পিতা হতাম, হয়তো এতটা একাগ্রতার সাথে কাজ করতে পারতাম না, যেমনটা এ অবস্থায় করছি।’ থানবি রহ. তাঁর ভাতিজা মৌলভী শাব্বীর আলী সাহেবকে নিজ সন্তানের মত দেখতেন ও তরবিয়ত করতেন। হজরতের মৃত্যুর পর তিনিই মাদরাসায়ে এমদাদিয়া ও খানকাহর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তথ্যসুত্র.
১. আশরাফুস সাওয়ানেখ (১ম, ২য় ও ৩য় খন্ড)Ñ খাজা আজিজুল হাসান মাযজুব, মাওলানা আবদুল হক, প্রকাশকাল রবিউল আউয়াল ১৪২৭ হিজরি, ইদারায়ে তালিফাতে আশরাফিয়া মুলতান
২. মাসিক আল হাসান (আশরাফ আলী থানুভী সংখ্যা)Ñ প্রকাশকাল ডিসেম্বর ১৯৮৭, জামিয়া আশরাফিয়া লাহোর
৩. সীরাতে আশরাফ, মুনশী আবদুর রহমান খান, ইদারায়ে তালিফাতে আশরাফিয়া মুলতান
৪. হায়াতে আশরাফÑ মাওলানা ডা. গোলাম মুহাম্মদ, মাকতাবায়ে থানুভী করাচী