দিঘি খনন করতে ৪৫ কোটি টাকা চায় পানি উন্নয়ন বোর্ড

ফাতেহ ডেস্ক:

‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন’ নামে চলমান প্রকল্পের আওতায় নতুন করে সাতটি খাল/পুকুর/জলাশয় সংরক্ষণ, সৌন্দর্য বর্ধন ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের প্রস্তাব করা হয়। এ কাজের জন্য চাওয়া হয় ৫৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। তবে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সেই প্রস্তাব ‘না’ করে দেয় কমিশন।

এবার নতুন করে ‘খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য দিঘি খনন’ প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ২১টি দিঘি খনন বাবদ মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৫ কোটি ৮০ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এগুলোর মধ্যে ৭টি দিঘির জন্য ১২ কোটি এক লাখ ১৯ হাজার, ১৩টির জন্য ১৯ কোটি ৯৮ লাখ ২২ হাজার এবং একটি দিঘির জন্য চাওয়া হয়েছে ১৩ কোটি ৮১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

মোট খননের পরিমাণ ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯৯৭ ঘনমিটার। প্রতি ঘনমিটার খননে খরচ পড়বে ৬৯৮ টাকা। এই ব্যয়ের প্রয়োজন ও ভিত্তি সম্পর্কে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে কমিশন।

আগস্ট ২০২২ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি খুলনার দাকোপ, পাইকগাছা, বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলা; সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, তালা ও আশাশুনি উপজেলা এবং বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে।

রোববার (২০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় এসব ব্যয় প্রস্তাবসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে যাচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। পিইসি সভায় সভাপতিত্ব করবেন কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) একেএম ফজলুল হক।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দিঘি খনন প্রসঙ্গে একেএম ফজলুল হক বলেন, বর্তমান বিশ্ব একটা সংকটময় সময় পার করছে। সুতরাং এ ধরনের প্রকল্প অনুমোদনের সময় আমরা আরও সতর্কতা অবলম্বন করবো। আমরা খুবই নিবিড়ভাবে বিষয়গুলো দেখবো।

আগের সংবাদশ্যামপুরে আইনজীবী তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পরবর্তি সংবাদমুফতি রফি উসমানীর দৃষ্টিতে দেওবন্দি সিলসিলা