ফাতেহ ডেস্ক:
আগামী সপ্তাহ থেকে ভার্চুয়াল ও শারীরিক উপস্থিতি- দুই মাধ্যমেই চলবে উচ্চ আদালতের কার্যক্রম। আজ বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) বিকেল ৩টা থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে এ ভার্চুয়াল ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান বিচারপতির সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভায় উভয় বিভাগের বিচারপতিরা ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। প্রায় ৪০ জন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শারীরিক উপস্থিতিতে আদালত পরিচালনার ইচ্ছা পোষণ করেন। যারা শারীরিক উপস্থিতিতে আদালত পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নয়, তাদেরকে ভার্চুয়াল বেঞ্চ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ফুলকোর্ট সভায়। এদিকে ২০২০ সালের অবকাশকালীন ছুটি বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছেন অধিকাংশ বিচারপতি। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি প্রধান বিচারপতি।
করোনার কারনে সুপ্রিম কোর্টে স্বাভাবিক বিচারকার্যক্রম চলবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা ডেকেছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অনুরোধের প্রেক্ষিতে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকার্য পরিচালনা এবং সুপ্রিম কোর্টে বার্ষিক অবকাশকালীন ছুটির বিষয়েও আলোচনা হবে ওই সভায়।
গত ৮ জুলাই প্রধান বিচারপতির কাছে সুপ্র্রি কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষে আবেদন জানান সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। সেখানে বেশকিছু প্রস্তাবনাও ছিল। এরপর গত ২৬ জুলাই প্রধান বিচারপতির কাছে ৮ জুলাই চিঠির বিষয়টি উল্লেখ করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আবারও প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানায় সমিতি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বুধবার থেকে বিচারিক আদালতে নিয়মিত বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।