নাজাফ-কোম: দুই শিয়া কেন্দ্রের গোপন দ্বন্দ্ব

রাকিবুল হাসান নাঈম:

ইসনা আশারিয়া মতবাদ শিয়া ইসলামের বৃহত্তম শাখা। এটি গোটা শিয়া সম্প্রদায়ের ৮৫% এবং সংখ্যায় প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন। ইসনা আশারিয়ারা ইরান, ইরাক, আজারবাইজান, লেবানন ও বাহরাইনে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়। ইরান পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে ইসনা আশারিয়া শিয়া ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃত। ইসনা আশারিয়ারা শিয়া সংস্কৃতিতে হাওজা শব্দটি শিয়াদের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুঝায়। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুই ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহর হলো ইরাকের নাজাফ এবং ইরানের কোম।

ইসনা আশারিয়ারা শিয়া মতবাদের অনুসারীদেরকে একজন ধর্মীয় ইমামের অনুসারী হতে হয়। আরবিতে এ ধরনের পদ্ধতিকে বলা হয় ‘মারজা’। এই নিয়মেই শিয়াদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় পদ ‘আয়াতুল্লাহ’ নির্বাচন করা হয়ে থাকে। নাজাফের হাজার বছরের পুরোনো শিয়া ইমামতন্ত্রের প্রধান হিসেবে রয়েছেন সিস্তানি। সে হিসেবে ইরাকের সব শিয়াদের ধর্মীয় নেতা তিনি। অন্যদিকে হাজার বছরের পুরোনো শিয়া ইমামতন্ত্রের প্রধান হিসেবে রয়েছেন খোমেনি। সে হিসেবে ইরানের সব শিয়াদের ধর্মীয় নেতা তিনি। একই সঙ্গে তিনি রাষ্ট্রপ্রধানও।

নাজাফ ও কোমের মধ্যে সেই আদিকাল থেকেই প্রতিযোগিতা চলে এসেছে। ক্ষমতার সঙ্গে বারবার পরিবর্তন হয়েছে বিজয়ীর। কখনও নাজাফ, কখনও কোম এগিয়ে গেছে। এখনও চলছে সেই গোপন প্রতিযোগিতা।

হাওজার শিক্ষাব্যবস্থা

মিশরীয় লেখক ফাহমি হুওয়াইদি তার ‘ইরান মিনাদ দাখিল’ গ্রন্থে হাওজা শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হাওজায় শিক্ষাক্রম বেশ কয়েকটি পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যায়। একটি পর্যায়ে উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়া আরেকটি পর্যায়ে যাওয়া যায় না।

প্রাথমিক স্তর: এটি পাঁচ বছর মেয়াদী। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা পায়। এরমধ্যে রয়েছে ভাষা, অংকার, সাহিত্য, ফিকহ, উসুল, ইলমে কালাম এবং ফালসাফা। এই স্তরের শিক্ষার্থীদেরকে বলা হয় ‘তালিব’ এবং ‘মুবতাদি’।

মাধ্যমিক স্তর: এর মেয়াদ ৩ থেকে ৫ বছর। এখানে শিক্ষার্থীরা হাওজার বড় কোনো মারজা তথা ইমামের তত্ত্বাবধানে শিক্ষাগ্রহণ করে। এখানে শিক্ষার্থীরা ফিকহ, ফালসাফা অথবা ইতিহাসসে তাখাসসুস করে। এই স্তরের শিক্ষার্থীদের বলা হয় ‘সিকাতুল ইসলাম’।

স্নাতকোত্তর স্তর: এই স্তরের লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদেরকে এমনভাবে তৈরী করা, যেন তারা ইজতিহাদের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। এই স্তরের জন্য নির্ধারিত কোনো সময় নেই। কেউ কম সময়ে যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, কেউ বেশি সময়ে। এই স্তরে উত্তীর্ণ হলে তাকে বলা হয় ‘আয়াতুল্লাহ’। সে তখন মারজা হয়ে যায়। মানুষ তার অনুসরণ করতে পারে।

নাজাফের হাওজা

নাজাফ শহরটি মধ্য ইরাকের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। ইসনা আশারিয়ারা শিয়ারা এটিকে পবিত্র মনে করে। কারণ, এখানে হজরত আলী বিন আবি তালিবের সমাধি।

৪৪৮ হিজরিতে সেলজুক তুর্কিরা বাগদাদ শহরে প্রবেশ করে। এই সময়ের বিভিন্ন ঘটনায় শিয়াদের ইমাম শায়খ তুসি বাগদাদ থেকে ইরাকের নাজাফে চলে আসেন। তার সঙ্গে তার ভক্ত-অনুরাগীরাও চলে আসে। ফলে নাজাফ শিয়াদের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইলমি কেন্দ্র হয়ে উঠে খুব অল্প সময়েই।

অনেক পর্যটক নাজাফের ইলমি কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করেছেন। ইবনে বতুতা ৭২৬ হিজরিতে নাজাফ ভ্রমণ করেন। তিনি লিখেন, ‘নাজাফ শিয়া ছাত্র এবং সুফিদের দ্বারা অধ্যুষিত একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। যারা এখানে ভ্রমণ করতে আসে, দিনে তাদেরকে দুইবার রুটি, মাংস এবং খেজুর দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।’

নাজাফে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। এরমধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো: মাদরাসাতুস সাহান গারবি, মাদরাসাতুল মিকদাদ সিউরি, মাদরাসাতুস সদর, মাদরাসাতুল ফাজিল ইরওয়ানি, মাদরাসাতুল আখুন্দ কুবরা, মাদরাসাতুল কাজউইন, মাদরাসাতু মুহাম্মদ কাজেম এবং মাদরাসাতুল বুখারী।

আবদুর রাজ্জাক হারজুদ্দিন ‘তারিখুন নাজাফ আল আশরাফ’ গ্রন্থে লিখেন, ‘নাজাফ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আলেমদের কেন্দ্র ছিল। এখান থেকে হাজার হাজার ছাত্র শিক্ষা নিয়ে বেরিয়েছে। এখানে সবসময় ধ্বনিত হয়েছে ইলমি-ফিকহি আলোচনা। যারাই এসেছে, দেখেছে ইলমি ব্যস্ততা, ইলমি গুঞ্জরণ।’

কোমের হাওজা

কোম শহরটি ইরানের রাজধানী তেহরানের ১৫৭ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।শিয়ারা এই শহরটিকে সবচেয়ে পবিত্র ও সম্মানিত শহর হিসেবে দেখে। কারণ, এখানে ইমাম মুসা কাজিমের কন্যা ফাতেমাকে ২০১ হিজরিতে দাফন করা হয়।

তখন থেকেই কোমের মর্যাদা বেড়ে যায়। ফাতেমার সমাধিতে স্থাপত্য গড়ে তোলা হয়। সেখানে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিয়া পরিদর্শনে যায়। হিজরি চতুর্থ এবং পঞ্চম শতাব্দীতে কোম শিয়াদের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠে। এখানে যুক্ত হয় শিয়াদের বড় বড় আলেম লেখক। এরমধ্যে প্রসিদ্ধ কয়েকজন হলেন: মুহাম্মদ বিন আলী বিন বাবাওয়ায়েহ, কামিলুয যিয়ারতের লেখক ইবনে কুলউইয়াহ আল-কুম্মি, তাফসিরে কুম্মির লেখক আলী বিন ইব্রাহিম বিন হাশিম আল-কুম্মি।

সেলজুক যুগে কোমের ইলমি অবস্থানের অবনতি হয়। কিন্তু ষোড়শ শতাব্দীতে যখন সাফাভিরা ইরান জুড়ে শিয়া ধর্মকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করেছিল, তখন এটি আবার তার মর্যাদা পুনরুদ্ধার করে। আবার ইলমি ব্যক্তিত্বদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে কোম।

তবে কোমের আলেমরা কেবল ইলমি কাজেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না। তারা ইরানের সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতেও কথা বলেছেন। পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইরানে মোহাম্মদ রেজা পাহলভির পশ্চিমা অনুকরণে আধুনিকীকরণ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রথম স্ফুলিঙ্গটি কোম হাওজার ফায়দিয়া স্কুল থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। সেই স্কুলে ১৯৬৩ সালের ৩ জুন রুহুল্লাহ খোমেনি শাহের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেন। ১৫ জুন বিক্ষোভ হয়। খোমেনি আধুনিকীকরণ এবং পশ্চিমীকরণ-এর প্রকাশ্যে নিন্দা করেছিলেন এবং তার বক্তৃতায় তিনি উমাইয়া খলিফা ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়াকে শাহের সাথে তুলনা করেছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনী খোমেনিকে গ্রেপ্তার করার পর ইরানের সমস্ত শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

বর্তমানে কোমে প্রায় ২০০ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো: আল-জাহরা বিশ্ববিদ্যালয়, আল-সাদুক বিশ্ববিদ্যালয়, আল-মুফিদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আল-মুস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়।

নাজাফ এবং কোমের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা

নাজাফ এবং কোম দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। প্রতিটি হাওজা শিয়া বিশ্বে তাদের নেতৃত্ব ও গুরুত্ব প্রমাণের চেষ্টা করেছে। ইরাক ও ইরানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী উভয় পক্ষ শ্রেষ্ঠত্ব বিনিময় করেছে।

ইরানে শাহের শাসনামলে কোমের আলেমরা কোনঠাসা ছিলেন। তাদের অনেকেই নাজাফ গমন করে সেখানে বসতি স্থাপন করেন। ইরান থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর খোমেনি নিজেও নাজাফ ভ্রমণ করেন এবং এর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন। ফলে সেই সময়ে নাজাফি মাদ্রাসার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।

পরে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। তখন আবার ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলে কোনঠাসা হয়ে যায় নাজাফের আলেমরা। ১৯৮০ সালে মুহাম্মদ বাকির আল-সদরের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। মুহাম্মদ সাদিক আল-সদরকে ১৯৯৯ সালে একটি রহস্যজনক দুর্ঘটনায় নির্মূল করা হয়। ফলে নাজাফের আলেমরা তখন আবার কোমের দিকে যাত্রা করে। কোনো কোনো প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৬৭ সালে নাজাফের আলেম ও তালেবে ইলমেদের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার। ১৯৯১ সালে তা কমে হয়েছিল মাত্র ৫০০। মাত্র ২৪ বছরে নাজাফিয়ান কমেছিল ৯০ শতাংশ। এই সুযোগে কোমের জনপ্রিয়তা আবার বৃদ্ধি পায়।

তবে ২০০৩ সালে নাজাফ হাওজা তার শক্তি এবং প্রভাব পুনরুদ্ধার করতে শুরু করে। ১৯৯১ সালে যেখানে ছিল মাত্র ৫০০, সেখানে ২০২০ সালে সেটা বেড়ে হয় ১৫ হাজার।

বেলায়েতে ফকিহ নিয়ে দ্বন্দ্ব

নাজাফ এবং কোমের মধ্যে কেবল ইলমি প্রতিদ্বন্দ্বিতাই নয়, বরং রাজনৈতিক চিন্তাধারায়ও দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরমধ্যে বেলায়েতে ফকিহ ইস্যুটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বেলায়াতে ফকিহ মানে একজন ফকিহের নেতৃত্বক্ষমতা।

কোমের আলেমরা বলেন, একজন ফকিহের সর্ববিষয়ে নেতৃত্বের ক্ষমতা রয়েছে। তিনি ফতোয়া যেমন দিতে পারবেন, তেমনি সে রাষ্ট্রও পরিচালনা করতে পারবেন। এটাকে বলা হয় ‘বেলায়াতে আম’। অর্থাৎ, একজন ফকিহ দ্বীনি বিষয়ে যেমন ফতোয়া দিতে পারবেন, তেমনি দুনিয়াবি বিষয়েও কথা বলতে পারবেন। রুহুল্লাহ খোমেনি ছিলেন প্রথম শিয়া ফকিহ, যিনি আধুনিক যুগে এই মতকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। এবং ১৯৭৯ সালে রান বিপ্লবে বিজয়ের পর এটিকে বাস্তবায়িত করেছিলেন। তার ইন্তেকালের পর ১৯৮৯ সালে এই পদ গ্রহণ করেন আলী খামেনি। সেই সঙ্গে সারা বিশ্বের সমস্ত শিয়াদের আইনী অভিভাবক হিসাবে উন্নীত হন।

তবে নাজাফের আলেমরা ফকিহের ‘বেলায়াতে আম’ সমর্থন করেন না। তারা বলেন, একজন ফকিহের রয়েছে ‘বেলায়াতে খাস’। অর্থাৎ, একজন ফকিহ কেবল ধর্মীয় ‍ও দ্বীনি বিষয়েই কেবল ফতোয়া দিতে পারবেন। নাজাফী শিয়া আলেম আবু আল-কাসিম আল-খোই তানকিহ গ্রন্থে ফকিহের ‘বেলায়াতে আম’কে অস্বীকার করেছেন। বর্তমানে নাজাফের সর্বশ্রেষ্ঠ শিয়া আলেম আলী আল-সিস্তানিও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘একজন ফকিহ দ্বীনি বিষয়ে ফাতোয়া দিতে পারবেন। মানুষ তাকে দ্বীনি বিষয়ে অনুসরণ করবে। কিন্তু রাষ্ট্র-ক্ষমতার বিষয়টিতে যদি ফকিহকে অনুমতি দিতে হয়, তার জন্য আলাদা শর্ত লাগবে। শর্তটি হলো: সমস্ত মুমিনদের নিকট তার গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। এজন্য কোমের আলেমদেরা রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কখনও কথা বলেন না।

তবে ‘ফকিহের বেলায়াতে আম’ তত্ত্ব কোমের হাওজা কর্তৃপক্ষের পদোন্নতি ঘটায়। রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় উভয় বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করে। ফলে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি ইরাকের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রধান খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন। এই কারণে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন, বর্তমানে খোমেনি এবং সিস্তানির মধ্যে একটি ‘গোপন দ্বন্দ্ব’ চলছে। তাদের যেকোনো একজন মারা গেলে অপরজন ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা জোরদার করবে। যেমন সিস্তানি যদি মারা যান, তাহলে খোমেনি ইরাকেও তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করবেন।

তবে গত দশকে সিস্তানিকে রাজনেতিক বিষয়েও কথা বলতে দেখো গেছে। যেমন ২০১৪ সালের জুনে মসুলের পতনের তিন দিনের মাথায় জুমার নামাযের ভাষণে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরার আহ্বান জানান সিস্তানি। সিস্তানির নির্দেশ পেয়ে অনেক ইরাকিকে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে দেখা গেছে। বলা হয়, গত এক শতকের মধ্যে ইরাকের রাজনীতি নিয়ে দেশটির শিয়া ইমামতন্ত্রের এটাই প্রথম ফতোয়া। পাশাপাশি একই বছরের জুলাইয়ে নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট ও স্পিকার ঠিক করতে রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানান সিস্তানি। ২০১৯ সালে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদিকে নিয়ে যখন জনরোষ তুঙ্গে, তখনও সিস্তানি মাহদির সরকারের ব্যর্থতা উল্লেখ করে কারবালার একটি মসজিদে জুমার খুতবায় বলেন, যে পার্লামেন্ট থেকে বর্তমান সরকার হয়েছে, তাদের অবশ্যই বিকল্পের কথা ভাবা উচিত এবং ইরাকের স্বার্থ অনুযায়ী কাজ করা উচিত।

আগের সংবাদআওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যারা স্থান পেলেন
পরবর্তি সংবাদত্রিপক্ষীয় চুক্তি: মক্কা ও মদিনা হবে মুসলিম বিশ্বের বাণিজ্যকেন্দ্র