আব্দুল্লাহ আফফান।।
দেশের অন্যতম প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইআর) ছাত্রীদের নেকাব খুলে ভাইভা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ৩১ জুলাই ২০১৯-২০ সেশনের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা পরবর্তী ভাইভার সময় এ ঘটনা ঘটে। ভাইভা বোর্ডের প্রধান হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন। যারা পর্দা করে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে বাসায় থেকে পড়াশোনা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
অধ্যাপক ড. এম ওয়াহিদুজ্জামানের এমন মন্তব্যে ক্ষোভ জমেছে শিক্ষার্থীদের মনে। গতকাল ভাইবা বোর্ডে হিজাব পড়ায় হেনস্থার কারণে বিক্ষোভ সমাবেশ ও উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে ফাতেহ টোয়েন্টিফোর ডটকম কথা বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর ও জাতীয় মসজিদের বাইতুল মুকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমিনের সাথে।
মুফতি রুহুল আমিন বলেছেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ মুসলিম। তারা ধর্মীয় বিধি-বিধান মেনে চলে। আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময় কিছু ব্যক্তি ধর্মীয় বিধিনিষেধ নিয়ে আপত্তিজনক কথা বলে। আমি মনে করি, এমনটা কখনোই কাম্য নয়। কেউ যদি ধর্মীয় বিধান মানতে চায়, এটা তার সাংবিধানিক অধিকার। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীনতার অগ্রনায়ক। তিনি দেশ স্বাধীন করেছেন, মানুষের ধর্মীয় অধিকারসহ সকল অধিকার পেয়ে যেন জীবন-যাপন করতে পারে। ইউনিভার্সিটিসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষার্থী পর্দা করতে চায়, তাদের পর্দা করতে বাঁধা দেয়া, বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা, হেয় করা— এসব কর্মকাণ্ড অনুচিত।
‘বাংলাদেশের যেসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের উচিত সরকারের সাথে এসব বিষয়ে কথা বলা। সবাই যেন ধর্মীয় অনুশাসন পরিপূর্ণভাবে পালন করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’