পটিয়া মাদরাসার অস্থিরতা বাড়ছে, পক্ষে-বিপক্ষে আসছে ওয়াজাহাতনামা

|| তাসনিফ আবীদ ||

সম্প্রতি দেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া’র আভ্যন্তরীণ কিছু অস্থিরতার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা মহলে আলোচিত হচ্ছে। চলমান এই অস্থিরতার মাঝে গত সপ্তাহের শেষ দিকে জামিয়ার বর্তমান মুহতামিমের অবর্তমানে ডাকা হয় জরুরি শূরা বৈঠক। পরে অবশ্য বৈঠকটি স্থগিত করা হয় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পৃষ্ঠপোষকের নির্দেশে।

দেশের প্রাচীনতম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হঠাৎ এই অস্থিরতা কেন শুরু হলো? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে ফাতেহের কাছে বেশকিছু বিষয় উঠে আসে।

কেন এই অস্থিরতা-
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পটিয়া মাদরাসার এক দায়িত্বশীল জানান, প্রতিষ্ঠানটির একটি মহল মনে করেন, ‘মুফতি আব্দুল হালিম বুখারীর মৃত্যুর পর বর্তমান মুহতামিম মাওলানা উবায়দুল্লাহ হামজা শূরা বৈঠকের মাধ্যমে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও প্রক্রিয়াটি যথাযথ হয়নি।’ তাদের দাবি, ‘বর্তমান মুহতামিম ওই শূরা বৈঠকে নিজের প্রভাব বিস্তার করে মুহতামিমের দায়িত্ব নেন।’

তাই শুরু থেকেই যারা মাওলানা উবায়দুল্লাহ হামজাকে মুহতামিম হিসেবে মানতে পারছিলেন না। তারা এখন চাচ্ছেন, ‘আবার শূরা ডেকে যেন নতুনভাবে মুহতামিম নির্ধারণ করা হয়। সেই কারণেই গত বুধবার (১১ অক্টোবর) জামিয়া পটিয়ার শূরা বৈঠক ডাকা হয়। ওই শূরা বৈঠকের চিঠি ইস্যূ করা হয় প্রতিষ্ঠানটির সদরুল মুদাররিসিন হাফেজ মুফতি আহমাদুল্লাহ ও সহকারী মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের নদভীর স্বাক্ষরের মাধ্যমে।

এদিকে অপরপক্ষ বলছে, একটি মহল নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য প্রচীনতম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা হাফেজ আহমাদুল্লাহ ও মাওলানা নদভীকে ভুল বুঝিয়ে শূরা বৈঠক ডাকার কথা বলেছে। মাদরাসার পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক। কেউ এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না ছড়ানোর অনুরোধ করছি।

এই পক্ষটি আরো বলছে, যারা মাওলানা উবায়দুল্লাহ হামজাকে মুহতামিম মনোনীত করা শূরাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তারা অন্য শূরা বৈঠককে প্রশ্নবিদ্ধ করবে না সেটারও তো নিশ্চয়তা নেই।

যেকারণে ডাকা হলো শূরা বৈঠক-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাফেজ আহমাদুল্লাহ এবং মাওলানা আবু তাহের নদভী স্বাক্ষরিত আলাদা আরো দুটি চিঠি ছড়িয়ে পড়ে। যে চিঠি দুটি জামিয়া পটিয়ার নিজস্ব পেডে লেখা। যে চিঠির একটিতে শূরা বৈঠক ডাকার কারণ ও আরেকটিতে শূরা বৈঠক স্থগিতের কারণ জানানা হয়।

সহকারী মহাপরিচালক মাওলানা আবু তাহের নদভী স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে শূরা আহ্বানের কারণ সম্পর্কে বলা হয়, দুই দিন আগে জামিয়ার বর্তমান মুহতামিম মাওলানা উবায়দুল্লাহ হামযার পক্ষে-বিপক্ষে জামিয়ার উস্তাদগণের মধ্যে উদ্ভূত নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা বিষয়টির সমাধানের জন্য মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাকে মজলিসে শূরা আহ্বানের পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি হঠাৎ দেশের বাইরে চলে যান। তাই এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির বিষয়ে আমি আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ও জামিয়ার শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ আহমদুল্লাহ সাহেবের সাথে পরামর্শ করি। যেহেতু ইত্তেহাদ-এর প্রধান আল্লামা সুলতান যওক নদভী সাহেব জটিল শারীরিক অসুস্থতায় ভোগছেন, তাই আমরা উভয়ে পরামর্শক্রমে মজলিসে শূরা আহ্বান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি এবং যওক সাহেব হুজুরের সাথেও যোগাযোগ করি। তিনি আমাদের জন্য দোয়া করেন এবং আমাদেরকে সুচিন্তিতভাবে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার ফরমায়েশ দেন।

শূরা বৈঠক স্থগিত যেকারণে-
সদরুল মুদাররিস হাফেজ মুফতি আহমাদুল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠিতে শূরা বৈঠক স্থগিতের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়। চিঠিতে লেখা ছিল, আপনারা সবাই জানেন অত্র জামিয়ার মুহতামিম মাওলানা উবায়দুল্লাহ হামজার বিভিন্ন কার্যকলাপে ছাত্র এবং শিক্ষক উভয় মহলে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। এবং যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এহেন পরিস্থিতিতে অত্র মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষকগণ উনার ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় মাওলানা উবায়দুল্লাহ হামজা ওনার প্রতি আস্থা প্রকাশ করে একটি প্রস্তাবনায় মাদ্রাসার শিক্ষকদের থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করেন। যা একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর, লজ্জাজনক এবং সম্মানহানিকর। এহেন পরিস্থিতিতে ইত্তেহাদুল মাদারিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের সভাপতি আল্লামা সুলতান যওক নদভী অসুস্থ বিধায় আমি মজলিসে শূরার আহবান করি। এবং সবাই উপস্থিত থাকার জন্য শূরার সদস্যগণকে নিয়ম তান্ত্রিকভাবে অবগত করি। কিন্তু গত ১০ অক্টোবর উবায়দুল্লাহ হামজাকে শূরার বৈঠকে উপস্থিতির জন্য কল করলে মোবাইল বন্ধ পাই।

চিঠিতে আরো বলা হয়, পরবর্তীতে মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের নাদভী সাহেবকে আমি আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের সভাপতি আল্লামা সুলতান যওক নদভী সাহেবের কাছে বৈঠকের দাওয়াতনামা নিয়ে প্রেরণ করি। জনাব আবু তাহের নদভী সাহেব মাওলানা যওক সাহেবকে তার দাওয়াতনামা পেশ করেন এবং আমিও মোবাইলে ওনার সাথে সরাসরি কথা বলি । উনি অসুস্থতার কারণে আসার ক্ষেত্রে অপারগতা প্রকাশ করেন। এবং আমাকে সালামও পৌঁছান কিন্তু পরে হয়তো কারো প্ররোচনায় বাধ্য হয়ে এর কিছুক্ষণ পর অত্র মজলিসে শূরার বৈঠক মুলতবি করে একটি চিঠি লিখেন এবং চিঠিটি ফেসবুকে প্রচার করেন। যা প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্মানহানিকর।

চিঠিতে শেষে বলা হয়, এহেন পরিস্থিতিতে শূরার সদস্যগনের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ এবং আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের সভাপতি আল্লামা সুলতান যওক নদভীর বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এবং স্থানীয় অভিভাবক জনাব আলহাজ্ব সামসুল হক চৌধুরীর পরামর্শক্রমে আজকের শূরা মুলতবি করা হলো।’

পক্ষে-বিপক্ষে ওয়াজাহানামা-
এদিকে শূরা বেঠক স্থগিতের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভিন্ন বিষয়ে একটি ওয়াজাহাতনামা। এতে বলা হয়, জামিয়ার বর্তমান শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ আহমদ উল্লাহ সাহেব। তিনি সর্বশ্রদ্ধেয় বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। এছাড়া তিনি আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ-এর নায়েবে সদর। তিনি দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে জামিয়ায় হাদীস ও ফিকহের খেদমাত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তার বয়স ৮২ বছর । অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তিনি বোখারী শরীফের দরস প্রদান করে আসছেন। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি, আল্লাহ তাকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন এবং তার ছায়াকে আমাদের ওপর দীর্ঘায়িত করুন, আমীন।

বিগত মে মাসে (২০২৩ ইং) তিনি গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত অবস্থায় ব্রেইন স্ট্রোক করেন। তখন তাকে চট্টগ্রামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। অবস্থা বেগতিক হলে তৎক্ষণাৎ তাকে আইসিইউতে হস্তান্তার করা হয়। সকলের দোয়া এবং উন্নত চিকিৎসার সুবাধে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই তিনি সুস্থ হয়ে জামিয়ায় ফিরে আসেন। মহান আল্লাহ হযরতকে পূর্ণ সুস্থতার সাথে হায়াতে তাইয়িবা দান করুন, আমীন।

তখন তার চিকিৎসা বাবৎ প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিল পেমেন্ট করার সময় হযরতের পক্ষ থেকে ১লক্ষ টাকার ব্যবস্থা হলেও অবশিষ্ট ৩ লক্ষ টাকার কোন ব্যবস্থা হচ্ছিল না। তখন জামিয়া কর্তৃপক্ষ জামিয়ার ফাণ্ড থেকে ৩ লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করেন।

হযরত সুস্থ হওয়ার পর ঋণের সেই ৩ লক্ষ টাকার ব্যপারে কথা হলে তিনি স্বেচ্ছায় ও স্বাগ্রহে তা বেতনের টাকা থেকে পরিশোধ করাকে উচিত মনে করেন। তাই বিগত কয়েক মাস যাবত তিনি জামিয়ার অর্থ দফতর থেকে বেতনভাতা গ্রহণ করেননি। কিন্তু যখনই জামিয়া কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন যে, তার অর্থনৈথিক সঙ্কট চলছে, তখনই কর্তৃপক্ষ তাকে বেতনভাতা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান। কিন্তু তিনি নিজ তাকওয়া ও খোদাভীতির কারণে জামিয়ার ঋণ পরিশোধের কথা বিবেচনা করে তখনও তা গ্রহণ করতে রাজি হননি। পরিশেষে জামিয়া কর্তৃপক্ষ তার ঋণগুলো পরিশোধের জন্য বিকল্প উদ্যোগ গ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি জামিয়ার অর্থ দফতর থেকে সকল বেতন ভাতা বুঝে নেন।

অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, এই বিষয়টি নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বরাবরের মতো অনলাইন/অফলাইনে অপপ্রচার চালিয়ে জামিয়ার সুনাম বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। জামিয়া কর্তৃপক্ষ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং জামিয়ার সকল হিতাকাঙ্খীকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহবান জানাচ্ছে।

অপরদিকে এই ওয়াজাহাতনামার বিপরীতে মুফতী আহমাদুল্লাহর পক্ষ থেকে আরেকটি ওয়াজাহাতনামা প্রকাশ হয়। যেখানে বলা হয়, ‘সম্প্রতি জানতে পারি যে, গত ১২ অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখে ‘আল জামেয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার অফিসিয়াল পেইজ’ থেকে আমাকে জড়িয়ে একটি পোস্ট করা করেছে। এটি দেখে আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি। এ বিষয়ে আমি ওয়াজাহাত পেশ করা জরুরি মনে করছি।

প্রকৃত ঘটনা হল, গত রমজানে আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। পরবর্তীতে চিকিৎসা বাবদ বেশ কিছু টাকা খরচ হয়। এর মধ্যে ৩ লাখ টাকা আমাকে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ধার হিসেবে দেয়। পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে মাদরাসায় পাঠদান কার্যক্রম পুনরায় শুরু করি। এরপর থেকে আমাকে মাদরাসা থেকে আর কোনো বেতন দেয়া হয়নি। উল্লেখিত তিন লাখ টাকা কর্জ শোধ বাবদ বেতনের টাকা থেকে মাসে মাসে কর্তন করতে থাকে।

এমতাবস্থায়, ১২ অক্টোবর ২০২৩ আমি আমার দরস থেকে নিজ বাসায় যাওয়ার পথে হঠাৎ জামিয়ার মুহতামিম উবাইদুল্লাহ হামযার দুজন প্রতিনিধি আমার সাথে আমার বাসায় আসে। সেখানেই আমাকে বিগত মাসের বেতনের টাকা জোর করে দিয়ে একটি কাগজে সই করিয়ে নেয়। পরবর্তীতে এ ঘটনাকে নিজের মত করে সাজিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে।

উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের মজলিসে শূরার বৈঠক মুলতবি করার পর থেকে উবায়দুল্লাহ হামযা আমাকে নানাভাবে বেতনের টাকা গ্রহন করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। আর বরাবরই আমি তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জীবনের এই শেষ প্রান্তে এসে জনসমক্ষে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উবায়দুল্লাহ হামযা এ ধরণের ছলনা এবং চাতুরীর আশ্রয় নেয়। এ ধরণের স্বার্থপরতা ও লোভী কার্যকলাপ উবায়দুল্লাহ হামযার হীন এবং কুরুচিপূর্ণ স্বভাবের প্রতিচ্ছবি। যা এই মহান জামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা মুফতি আজিজুল হক রহ. এর দেখানো এবং শিখানো জামিয়ার উসুলের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

পরিশেষে, আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আগামী মজলিসে শূরার গৃহীত সিদ্ধান্তের ওপর শ্রদ্ধাশীল থাকার বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।’

এদিকে বর্তমান মুহতামিম মাওলানা উবায়দুল্লাহ হামজাকে চলমান অস্থিরতা বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।

শূরা বৈঠক হতে পারে সমাধান-
এদিকে গত শূরা বৈঠক স্থগিত হওয়ার পর জামিয়া পটিয়া ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খুব শীঘ্রই আরেকটি শূরা বৈঠক ডাকা হবে বলে জানা যায় বিভিন্ন সূত্রে।

জামিয়া পটিয়ার এমন পরিস্থিতিতে দেশের প্রবীণ আলেম ও শিক্ষাবিদগণ মনে করছেন, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ’র সভাপতি, জামিয়া পটিয়ার পৃষ্ঠপোষক আল্লামা সুলতান যওক নদভী শীঘ্রই যদি শূরা বৈঠক ডেকে বিষয়টির সমাধান না করেন, তাহলে এই অস্থিরতা এমন পর্যায়ে যেতে পারে, যখন আর শামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। দেশের মানুষের কাছে ক্ষুণ্ন হবে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানের সম্মান।

আগের সংবাদআজান দিতে গিয়ে মারা গেলেন মুয়াজ্জিন
পরবর্তি সংবাদওমরা যাত্রী-এজেন্সিকে মানতে হবে যে ৫ নির্দেশনা