ফাতেহ ডেস্ক
গত পাঁচদিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে অন্তত ৫৩ জনের। আহত হয়েছেন শতাধিক। ঈদে ঘরমুখি বিভিন্ন যানবাহনের বেপরোয়া গতি, ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং নিয়ম না মেনে গাড়ি চালানোই এসব দুর্ঘটনার কারণ, বলছে পুলিশ। আর ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, এবার ঈদে মহাসড়কগুলো তুলনামূলক ফাঁকা থাকায় এবং নজরদারির অভাবে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটেছে।
বুধবার ঈদের প্রথম প্রহরে ফরিদপুরের ধুলদীর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় নিহত হন ৬ জন। আহত হয় কমপক্ষে ২০ যাত্রী। উৎসবের দিনে চালকের বেপরোয়া গতি আনন্দের বদলে এনে দেয় কান্না। সুনামগঞ্জে ঈদযাত্রায় বাস লেগুনার সংঘর্ষে ৭ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো আঁকাবাকা এবং অপ্রশস্ত হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
চালকদের দক্ষতা বাড়ানো এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের দক্ষিণাঞ্চলের সভাপতি জুরায়ের জাকির বলেন,’শুধু চালক নয়, এর জন্য মহাসড়ক গুলো বেপরোয়া ভাবে মটর সাইকেল চালানো এবং জনসাধারণের অসেচতনতার কারনেই দুর্ঘটনা গুলো ঘটছে।’
আর ট্রাফিক পুলিশ বলছে ফিটনেস বিহীন যান বাহন মহাসড়কে চলাচলে ও অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চলানোর করানেই দুর্ঘটনা বেশী ঘটছে।
টাঙ্গাইল ট্রফিক বিভাগের সার্জন রাজন দত্ত বলেন, অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালনার কথা স্বীকার করছে চালকরাও। সেই সাথে, ঈদের সময় এবার বৃষ্টির কারণেও দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে বলে দাবি তাদের।
এদিকে, সিরাজগঞ্জ, টাংগাইল, শেরপুরসহ বিভিন্ন জেলায় সড়কে অবাধে অনুমোদনহীন মোটরযান নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলার কারণেও দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করেন অনেকেই।
গত ২-৬ জুন: সিরাজগঞ্জে ৯, সুনামগঞ্জে ৬ এবং বাগেরহাট ও নাটের মারা যান ২ জন। এরপরদিন ধামরাইয়ে ৪, কুমিল্লায় ৩ জন নিহত এবং সিরাজগঞ্জে ১৫ জন আহত হন। ঈদের আগের দিন সিরাজগঞ্জে ৪, নারায়নগঞ্জে ৩ এবং নাটোর ও মাদারীপুরে মারা যায় ২ জন। ঈদের দিন ফরিদপুরে ৬, লালমনিরহাটে ৩, নরসিংদীতে ৩, ঝিনাইদহে ২, টাঙ্গাইলে ২, বাগেরহাটে ২ এবং পিরোজপুরে ২ জন নিহত হয়।