ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল শায়খে চরমোনাই বলেছেন, দেশে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে মানুষ তাদের হারানো সবধরনের অধিকার ফিরে পাবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে অন্যায়, অবিচার, জুলুম-নির্যাতন থাকবে না। দুর্নীতি-দু:শাসন থাকবে না। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করারসুযোগ থাকবে না। সবধরনের অধিকার ফিরে পাবে। নাগরিক ও ভোটাধিকার সবচেয়ে বড় অধিকার, সেই অধিকার দেশে নেই। মানুষের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। মানুষ সুশিক্ষা থেকে বঞ্চিত। চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। ইসলামের আলোক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে মানুষ ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবে। মানুষ তখন ইসলাম থেকে আর ফিরে যাবে না। এজন্য বিরানব্বই ভাগ মুসলমানেরে দেশে ইসলাম আজ পরাজিত। এই জন্য ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ফিরে আসতে হবে।
আজ (সোমবার) বগুড়া জেলার শেরপুর পৌরসভাস্থ মহিপুর বাজার ঈদগাহ মাঠে শেরপুর উপজেলা মুজাহিদ কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিশাল ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বগুড়া জামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা আব্দুল হক আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ইসলামী সম্মেলনে এলাকার বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম ও মসজিদের ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে শেরপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়রের আপন ছোট ভাই এবং কুসুম্বি ইউনিয়নের পাঁচবারের নির্বাচিত বর্তমান সফল চেয়ারম্যান জনাব শাহ আলম পান্না এবং শেরপুরের সাবেক এমপি জনাব গোলাম মো. সিরাজুল ইসলামের পিএস পৌরসভা বিএনপির সহ-সভাপতি জনাব আজিজুর রহমানও সদস্য ফরম পুরণের মাধ্যমে নায়েবে আমীর শায়খে চরমোনাইর হাতে হাত রেখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ যোগদান করেন। উভয়ই বাকি জীবন ইসলামের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, মানবতার মুক্তির গ্যারান্টি একমাত্র ইসলাম। ইসলামের সৌন্দর্য এবং মানবতার মুক্তি ফিরে পেতে সকলকে ইসলামের সুমহান ছায়াতলে ফিরে আসতে হবে। তিনি বলেন, চলমান প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে একদল অন্য দলের কাছে নিরাপদ নয়। কিন্তু ইসলামে দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকলেই নিরাপদ। এজন্য উচিত রাজনীতিতে গুণগত ও আদর্শিক পরিবর্তন ফিরিয়ে আনতে ইসলামের পথে ফিরে আসা।