বিশ্বব্যাপী কুরআনের খেদমত করতে চান বিশ্বজয়ী হাফেজ মোয়াজ

তুরস্কে অনুষ্ঠিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে দেশে ফিরেছেন হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অতরণের পর তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর ছাদখোলা বাসে তাকে সংবর্ধনা দেয় সাধারণ জনতা। ২০১৬ সালের পর তুরস্কের এ প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় জোহরের নামাজের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাত থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।

দেশে ফিরে বিশ্বজয়ী হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ বলেন, সবার কৃতজ্ঞতা আদায় করছি। এটা আমার মর্যাদা নয়, এটা মহান আল্লাহর কোরআনের মর্যাদা। মহান আল্লাহ আমাকে সাহায্য করেছেন বলে আমার জন্য সহজ হয়েছে। সবার কাছে দোয়া চাই, দুনিয়াতে যেভাবে প্রথম হয়েছি এভাবে জান্নাতুল ফিরদাউসে এক সঙ্গে থাকতে পারি।

তিনি জানান, তার স্বপ্ন ভবিষ্যতে আল্লাহর দীন শিখে যোগ্য আলেম হয়ে পবিত্র কোরআনের খেদমত করা। এ সময় নিজের পুরস্কার বাবা-মায়ের জন্য উৎসর্গ করেন হাফেজ মুয়াজ।

হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ রাজধানীর মিরপুর-১-এর মারকাজু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামীর কিতাব বিভাগের শিক্ষার্থী। এর আগে, গত ২১ আগস্ট সৌদি আরবের মক্কা নগরীর পবিত্র মসজিদুল হারামে অনুষ্ঠিত বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে তুরস্কে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বাছাই পর্ব হয়। ওই সময় হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ দেশের শতাধিক মেধাবী হাফেজের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।

আগের সংবাদসাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির ৫ দিনের রিমান্ডে
পরবর্তি সংবাদ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করার আহ্বান