কুকুর
কুকুরের ঘেউ ঘেউ স্বভাবতই ভয় জাগায় মনে ৷
কুকুরের কামড় বিপজ্জনকও বটে ৷
ভাদ্রমাসে কুত্তাকুত্তির খোলামাঠে বেলেল্লা মিলন
সবাইকে বিব্রত করে বৈকি ৷
শিশুরা মক্তব থেকে ফিরতে পারে না
নেড়িকুত্তার ডরে ৷
পাড়ায় পাড়ায় কতো কুকুর আমরা তাড়িয়ে বেড়াই
মেরেও ফেলি কয়েক ডজন কুকুর
গর্তে চাপা দিই দারুণ উল্লাসে
মনে মনে স্বস্তি নিই—
আপাতত কুকুরীয় উৎপাত থেকে রেহাই মিললো ৷
কিন্তু না,
আসল কুকুরগুলো ফুলেফেঁপে উঠছে
মানুষের বসবাস হারাম করে দিতে ৷
ওইসব বেজন্মার কোনো বিহিত কেউ করে না ।
ক্যান্টিন ও কোয়ারেন্টিন
আমার মা থাকেন গ্রামে ৷
গেরস্ত তদারকির জীবন তার ৷
ন্যূনতম শিক্ষাও যদি পেতেন সেই কালে ৷
আমি শহরের কপিলবর্ণের ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকি
পড়ি ইউনিভার্সিটিতে
খাই-দাই ভার্সিটি লাগোয়া হলুদবর্ণের ক্যান্টিনে ৷
একদিন মা জানতে চাইলেন—
কী খাস? কোথায় খাস?
বললাম— ভাত-রুটি, চা বিস্কিট সবই
ক্যান্টিনে যখন যা পাই তাই খেয়ে নিই
আঁৎকে উঠলেন মা
হাউমাউ কান্না জুড়ে দিলেন
তুই ‘কেন্টিনে’ আছত?
করোনা অইছে তর? আমি জানি না!
কবে থেইকারে বাবা?
তর গুলশানের মামারও ত করোনা
এহন ‘কেন্টিনে’ আছে ৷
আরে মা!
আমার করোনা হয়নি
আমি ক্যান্টিনেও নই
আমি বাসায় সুস্থ আছি ৷
শোনো,
করোনা-রোগীর জন্য হলো ‘কোয়ারেন্টিন’
আমাদের খাবারের দোকানের নাম ‘ক্যান্টিন’
তুমি ‘কোয়ারেন্টিনকে’ ‘কেন্টিন’ বলো কেনো?
গেরামের সবাই ত কয়
হেরে বাবা!
মুরুক্ষ অইয়া তোগো কত কষ্ট দেই ৷
সাবধানে থাকিস বাবা ৷
করোনা অইলে কিন্তু ‘কেন্টিনে’ যাইতে অইব ৷