ফাতেহ ডেস্ক:
পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর ৬ মাসের ব্যবধানে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের রুটগুলোতে চলা বেসরকারি লঞ্চের ট্রিপ সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। সরকারি হিসাবে এসব রুটে যাত্রী কমেছে ২৩-২৫ শতাংশ। আর মালিকদের ভাষ্যমতে, এ হার ৫০ ভাগ। যাত্রী সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি রুটের লঞ্চ। ওই লঞ্চগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বা অলস পড়ে আছে। অনেক লঞ্চ ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এমনকি সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশনের ঢাকা-বরিশাল-মোড়েলগঞ্জ রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ বন্ধ হয়ে গেছে। বেকার হয়ে পড়েছেন এসব নৌযানের বিপুলসংখ্যক কর্মী। অনিশ্চয়তায় দিনাতিপাত করছেন এসব শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা।
এছাড়া যেসব রুট সচল রয়েছে সেগুলোতেও যাত্রীর অভাবে রোটেশন পদ্ধতিতে লঞ্চ চলছে। এসব কারণে আয়ও কমেছে সরকার ও লঞ্চ মালিকদের। পদ্মা সেতু চালুর আগের ৬ মাসের তুলনায় পরের ৫ মাসে (জুলাই থেকে নভেম্বর) ঢাকা নদীবন্দর থেকেই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আয় কমেছে পৌনে এক কোটি টাকা।
বিআইডব্লিউটিএ ও মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ১০২৭টি লঞ্চ চলাচলের রুট পারমিট আছে। ঢাকা নদীবন্দর থেকে ৪২টি রুটে ২২৬টি লঞ্চের অনুমোদন রয়েছে। সবচেয়ে বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন ঢাকা-বরিশাল রুটে। গত বছরের (২০২১ সাল) ডিসেম্বরে এ রুটে ঢাকা থেকে বরিশাল ছেড়ে যাওয়া লঞ্চের ট্রিপ ছিল ২৯৪টি। ওই বছরের নভেম্বরে ট্রিপের সংখ্যা ছিল ২৬২টি।
এক বছরের ব্যবধানে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। ডিসেম্বরে (২০২২ সালে) লঞ্চের ট্রিপ সংখ্যা ছিল ১২৭টি ও নভেম্বরে ছিল ১১০টি। চলতি বছর পদ্মা সেতু চালুর আগের মাসে (মে মাসে) ঢাকা থেকে এ রুটের ট্রিপের সংখ্যা ছিল ২৫১টি। আর জুনে তা আরও কমে দাঁড়ায় ১৮৪টিতে।