কবর ও জরুরি পরিস্থিতি
আম কিংবা তার ছবি যেখানে যেতে চাও যেতে পারো
বাক্য এমনি স্বয়ম্ভু এখনকার দিনে। তবু তার একটা
কবর হতে পারে। দিন রাত্রির মতো। বস্তুর মতো।
কবর একটা গুপ্ত আধার। যেখান থেকে আবার জন্ম
নিতে পারে নতুন অসময়। তার অক্ষর ও অস্ত্রগুলো
তবে লুকানো থাক। সম্ভাবনাময় সমুদ্রের মতো।
যেন সর্বজনীন কবর নির্মাণের দিন আসিয়াছে। আগুনও
তবে একটা কবরের মতো। রক্তের মতো অপরিহার্য।
আগুন, কবর এবং খুনের সাথে এমন জরুরি পরিস্থিতি
বিরাজ করিতেছে বস্তুময়। হৃদয় ও বিশ্বময়।
চিৎকারসমূহের প্রার্থনা
খুব সহজ এবং জটিল জিনিসে আছে যেন অভাবনীয় শব্দ
এবং চিৎকারসমূহ। বস্তুবিশ্বের সমস্ত অত্যাচার রেকর্ড হয়ে
আছে ওখানে। যেখানে শব্দছাড়া কোনো বস্তু নাই। যা নাই
তারও এক শব্দ আছে বিকট। নীরবতার শব্দ।
ওটা আমাদের গোচরে ভূত করে দাও প্রভু।
তার সহ্যের কর্ণকূহর দাও। শ্রবণসূত্র দাও হে। যেখানে
অন্ধকার আচ্ছাদনের ফলে চিৎকার, আলো বিচ্ছুরণের শব্দ
সৃষ্টিসমস্তের পরষ্পের শক্তি ও নিপীড়ণ এবং বস্তুরাজির কান্না।
প্রতিটি বস্তুর চিৎকার লিপি কিলবিল করিতেছে।
তারে শুনিবার শক্তি কোথায় আছে। সময়ের সম্ভাবনা
ফুলের মতো নয়। পদার্থের কম্পনের মতো, রিদয়ের মতো
শব্দময়। ব্রহ্মাণ্ডের তৎপরতাগুলোর ধ্বনিময় উদযাপন।
তার মধ্যে ভালোবাসা খুঁজে কি হবে। ঔদাস্যে ঘিরে যাবে সব।
যেখানে আওয়াজমাত্রই অর্থময়। অর্থ যেন এক সন্তান
চিরদিনের, তার মায়া ও রহমত কোথায় লুপ্ত হইয়া আছে!