
কাজী ওয়ালিউল্লাহ
১.
তোমাকে বাঁচাতে গিয়ে
ভিজে গেল ‘ছামা’
তুমি কি এখন এসে
ছেড়েছ গো জামা?
এখনই কি গোসলে
মাত্র তো এলে
ফ্যান ছেড়ে বসে থাকো
ওগো মেয়েছেলে।
বিকালে বাগানে গিয়ে
তাগো দিয়ো পানি
পড়তে বসিয়ো আজ
বুখারিয়ে সানি।
চারাগুলো, কী কুশল
পুদিনা কি হলো?
ছবি তুলে পাঠিয়ো
ব্রণ ওঠা গালও।
এই তো আমার দিন
যায় হেলেদুলে
পুরোনো লুঙ্গি ছাড়ি
ক্লাসে যেতে হলে।
ধার নিতে হলো না
এই সপ্তাহে
লিখেছি কবিতা যেটা
লেখা ভালো নহে।
তোমার রুমাল দিয়ে
মুখ মুছি খালি
ভাত খেয়ে এসে দেখি
বিছানায় বালি।
ঘুম থেকে উঠে দেখি
বিছানায় জল
সিট মুড়ে স্নানে যাই
তোমার ‘পাগল’।
এমন লক্ষ্মীছাড়া
যত কারবার
বলব আগামী এই…
পরশু কী বার?
আজ আর কালই তো
অতঃপর সিধা
বাসায় উঠবে গিয়ে
তোমা কাজীদা।
সেইরাতে সারানিশি
সারাতিথিভর
আমাগো শুনবে কথা
চান্নিপহর।
আমাগো দেখবে ঝুলে
আকাশের দুধ
বিতিরে ভুলিয়া যাবে
দোয়ায়ে কুনুত
খোদার আশিক কোনো
ডাকবে পিতা
আমরা ঘুমায়ে যাব
পড়ে কবিতা।
ফজর হবে না পড়া
শয়তানে পেয়ে
দেখো কি স্বপ্ন তুমি
বিয়ে ভাঙা নিয়ে?
লেখি না লেখি না আমি
বিয়ে ভাঙা লেখা
তুমিও এরম কিছু
বাদ দিয়ো দেখা।
দেখা তো হবেই, না গো?
সেই পার্কে
তৃতদা পেছনে বসে
চৌকি দেবে।
হেরফের যত হোক
শ্রেণীভেদ নিয়ে
হঠাৎ পালিয়ে হবে
আমাদের বিয়ে।
২.
হঠাৎ কেমন যেন
আকাশের রঙ!
উটকো হিজড়া পথে
করে বসে ঢঙ।
কাঁচভাঙা জানালার
এই শীতকাল
ঘেঁষে বসে তার স্মৃতি
যেন–বা বিড়াল।
লাগাতেই ছিঁড়ে যায়
মশারির হুক
শিয়রে বিছিয়ে আছে
ছেঁড়া আউটবুক।
ঝুলে থাকা পাঞ্জাবি
নুয়ে থাকা দড়ি
স্বভাবত দেখে দেখে
ঘুমিয়ে পড়ি।
জানালার কার্নিশে
ছুড়ে ফেলি কফ
আমি খুব ভালো না গো
পারি না সরফ।
জং ধরা তালা ঝুলে;
আমার শেলেফ
ব্যবহৃত টিসু ভরা
রিপু করা জেব।
মোহ ঘেঁষে চলে যায়
কলেজের মেয়ে
আমাদের ড্যাবড্যাব
চেয়ে থাকা নিয়ে।
আমাদের শরীরে কি
গেঁয়ো গেঁয়ো ঘ্রাণ?
পান খেয়ে ওলামারা
ক্লাসে চলে যান।
কেলাশে দাঁড়িয়ে আছে
বাজে ছেলে কোন!
যেভাবে দাঁড়িয়ে থাকে
‘ক্বমা যায়েদুন‘।
শরাহ ও টীকায় ভরা
মাসালার চেও
ভালো লাগে তার বলা
‘সাবধানে যেয়ো‘।
লেখক : তরুণ কবি