হাসান রোবায়েতের দুটি সনেট

রাসুল, রাসুল

খুব সুরে নিভে গেছে পানির প্রহর
কাফের তাকায় যদি আঁচিলের দিকে
বেরহম ভান করো কী ছোবল-শিকে
অনায়াসে মিশে যাবে মীন, তারপর—
তোমার কোমর বেয়ে গোখরা-নজর
ছুড়ে দেয় লকলকে জিভ-পাখিটিকে
ভাষার ভেতরে নদী ঢেউয়ের অলিকে
চিতল নয়ানে করে অবাক সফর—

কোথাও কামের দিন পাকছে গোধূম
রোদের ভেড়ারা এসে ফেলে গেছে উল
গহনা খুলছে মেয়ে বাসর-উশুম
আগুন পোড়ায় লোহা নুনের ত্রিশুল
সোনার নদীর দূরে শাহ মাখদুম
জিকির করছে স্রোতে—রাসুল, রাসুল

বিরহ-দোসর

কোথাও যাওয়ার হলে ফিরিও না আর
ভিজলে ভিজুক ছায়া ধুধু জামগাছ
তখনও হয়তো কাজা যোহর নামাজ
কণ্ঠির সুদল ফুলে ঝরছে তুষার
অশ্রুত চোখের বনে বাল্যকাল এসে
কখনও টোকাতো ধান, বকুলের শিস
বেদেনীর খোঁপা ভরা কাঁটার নালিশ
ছড়িয়ে পড়তো মেঘে বিকালের শেষে—

মাটিতে বৃষ্টির শেষে কাঁপছে জোছনা
দুধের বলক পড়ে চুলার উঠান
গেছে ভিজে—দূরে একা ট্রানজিস্টরে গান
ঝরছে ঘ্রাণের সুরে: আসমাউল হুসনা—
কোথাও তখনো রোদে মুছছে নখর
মৃত্যুর সহসা পাখি, বিরহ-দোসর—

আগের সংবাদনাকবা-পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাস কেমন ছিল
পরবর্তি সংবাদসুলাইমান সাদির কয়েকটি কবিতা