
ফাতেহ ডেস্ক:
আফগানিস্তানের দীর্ঘ ১৯ বছরের যুদ্ধের অবসানে আফগান সরকার এবং তালেবান প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য লিখিত চুক্তি হয়েছে।
শান্তি আলোচনা অব্যাহত রাখতে উভয়পক্ষ প্রাথমিকভাবে এই প্রথম একটি লিখিত চুক্তিতে পৌঁছেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তালেবান এবং আফগান সরকার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রায় দুই দশক ধরে চলা সংঘাত বন্ধে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া হবে, তা লিখিত চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আফগান সরকারের প্রতিনিধি বার্তাসংস্থা রয়র্টাসকে বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা লিপিবদ্ধ করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হবে।’
তালেবানের মুখপাত্রও দুপক্ষের মধ্যে আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করে টুইট করেছেন।
শান্তি আলোচনায় প্রথম থেকে বিশেষ ভূমিকা রাখা যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি জালমাই খলিলজাদ জানান, ‘তিন পৃষ্ঠার একটি চুক্তিতে দুপক্ষ সম্মত দিয়েছে। লিখিত চুক্তি অনুযায়ী রাজনৈতিক রোডম্যাপ এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে কীভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।’
এর আগে কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আফগান সরকার এবং তালেবান প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি আলোচনা হয়। কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিমতের কারণে পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি শান্তিচুক্তি। চুক্তিতে তালেবান আফগানিস্তানের মাটিকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ব্যবহার করবে না। পাশাপাশি অস্ত্র রেখে দেওয়ারও শর্ত ছিল পূর্বের চুক্তিতে। বিনিময়ে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার এবং বন্দি তালেবান সদস্যদের মুক্তি দেওয়ার শর্ত ছিল। শর্ত অনুযায়ী অনেক তালেবান বন্দিকে মুক্তি দেয় আফগানিস্তানের আশরাফ ঘানি সরকার। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আফগানিস্তান থেকে অর্ধেক সেনা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
কিন্তু আলোচনা অব্যাহত থাকা অবস্থায় আফগানিস্তানে সম্প্রতি হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আফগান সরকার এবং তালেবান প্রতিনিধিদের মধ্যে লিখিত চুক্তির খবর এল। একে শান্তি আলোচনার ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত দোবোরাহ লায়নস।