আমাদের মিডিয়া, কয়েকটি খুচরো আলাপ

ওয়ালউর রহমান:

ঢাকার একটি শীর্ষ মাদরাসা থেকে দাওরা পড়ে বেরিয়েছি। প্রতিযোগিতার পড়াশোনায় পরীক্ষার ফলাফল তুলনামূলক ভালো হতো বিধায় উস্তাদদের আশা ছিল—অনেক দূর আগাবো। কিন্তু দাওরার পরে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা ক্ষান্ত দেওয়ায় আমার ‘মুহসিন’ কয়েকজন উস্তাদ আশাহত হলেন। পরে সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়েছি শুনে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে উঠলেন তাদের কেউ কেউ। এছাড়া মিডিয়ায় কাজ করছি দেখে আমার পরিচিত অনেকে বিস্ময়ও প্রকাশ করেন মাঝেমাঝে।

অনলাইন-ভিত্তিক ক্ষুদ্র একটি মিডিয়া হাউস ‘ইসলাম টাইমসে’ এক বছর অতিবাহিত হয়েছে আমার। মিডিয়া বিষয়ক একবছরের কিছু স্মৃতিগল্প এবং খুচরো কয়েকটা ঘটনা বলার জন্যই এ লেখা।

ইসলাম টাইমসের প্রাক্তন কর্মী বড় ভাই মাওলানা আতাউর রহমান খসরু। ভাইয়ের সাথে পরিচয়পর্বের এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করলেন—পড়াশোনায় তো আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যত ছিল, সাংবাদিকতায় আসলেন কেন? প্রশ্নটি প্রত্যাশিত ছিল। এই প্রশ্নের সাথে বোঝাপড়া করেই আমি সাংবাদিকতায় আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। স্বভাবজাত নির্লিপ্ততার সাথে উত্তর দিলাম—পড়াশোনায় ভালো করলে আমার ভবিষ্যত উজ্জ্বল হতো। কিন্তু মেধাবীরা সাংবাদিকতায় না আসলে সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ কীভাবে উজ্জ্বল হবে?

খসরু ভাই নিজে মেধাবী আলেম। সজ্জন মানুষ। আমার উত্তর শুনে তিনি খুব পুলক বোধ করলেন। পরে তার সাংবাদিকতায় আসা এবং এই অঙ্গনকে বেছে নেওয়ার গল্পও তিনি করেছিলেন।

সাধারণভাবে এই একটি ‘প্রশ্নোত্তর’ আসলে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। কিন্তু প্রশ্নোত্তরের প্রেক্ষাপটটি ব্যাখ্যার দাবি রাখে। বাংলাদেশের মাদরাসা পরিমণ্ডলে কোনো একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষা সমাপনের পরে সাংবাদিকতা ইত্যাদি পেশায় যুক্ত হওয়াকে এখনো গুরুতর হিসেবে দেখা হয়। মাদরাসা ফারেগ কিছু লোকের এ ময়দানে এসে আদর্শচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে সত্য, কিন্তু আদর্শবান মেধাবীদের সাংবাদিকতা বা এমন অপরাপর পেশায় আগমনের পথটি যদি সহজ-সুগম না হয় তাহলে তো আদর্শচ্যুতদেরই জয়জয়কার থাকবে ময়দানে।

বর্তমান বিশ্ব ও সমাজ ব্যবস্থায় সংবাদ এবং সাংবাদিকতা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিটা মানুষই সংবাদের মুখাপেক্ষী। তাছাড়া ইসলাম ও মুসলমান প্রশ্নে সাধারণ সংবাদমাধ্যমগুলোর অবস্থানও অস্পষ্ট নয়। তাহলে আদর্শচ্যুত এবং ইসলাম প্রশ্নের মোকাবেলা করার জন্যও তো অন্তত কিছু আদর্শবান মেধাবী আলেমের সাংবাদিকতায় আসা উচিত। বরং তাদেরকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্ববধানে রেখে উস্তাদদেরই পাঠানো উচিত।

২ 

রাজধানীর বাইতুল উলূম ঢালকানগর মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস এবং নাযেমে তালিমাত মুফতি শাব্বীর আহমদ। মাস তিনেক আগে ইসলাম টাইমসের পক্ষ থেকে একটি সাক্ষাৎকার নিতে তার সাথে দেখা করতে গেলাম। এর একদিন আগে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ময়দানে ব্যাপক জনসমাগমের মাধ্যমে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ও মুরুব্বী মাওলানা আযহার আলী আনোয়ার শাহ রহ.-এর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু দেশের মূলধারার মিডিয়ায় মাওলানা আনোয়ার শাহ রহ.-এর মতো ধর্মীয় মহলের কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ইন্তেকাল এবং তাঁর জানাযায় ব্যাপক জন উপস্থিতির খবরের ‘প্রকাশভঙ্গি’ দেখে ঢালকানগর মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি শাব্বীর আহমদ আফসোস করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের আলেমদের ‘মিডিয়া সমঝ’ আর কবে হবে?

দেশের মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় ইসলাম, মুসলমান, ধর্ম এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বরাবরই অনাগ্রহ, উপেক্ষা এবং আক্রমণের বিষয়। ভোলার বুরহানুদ্দিনের হত্যাকাণ্ড, আল্লামা আনোয়ার শাহর জানাযা এবং সম্প্রতি মাওলানা আনসারীর জানাযা নিয়ে মূলধারার মিডিয়ার ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থেকেই তাদের আগ্রহ-অনাগ্রহ স্পষ্ট বুঝা যায়। কিছু ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়।

অবশ্য সাম্প্রতিককালে ব্যবসায়ীক স্বার্থেই বা অন্য কোনো কারণে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার অনলাইন ভার্সনে ধর্ম বিষয়ক খবর তুলনামূলক গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করতে দেখা যায়। এটাকে সীমিত পরিসরে হলেও অনলাইনে আলেম ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতির প্রভাব বলে মনে করেন অনেকে। গত অক্টোবরে ইসলাম টাইমসের একবছরপূর্তির আয়োজনে অনেক মিডিয়া ব্যক্তিত্বের অভিব্যক্তিতে এ তথ্যটি প্রকাশ পেয়েছে।

 ৩ 

এ পর্যায়ে দুইটা প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করি। প্রেক্ষাপট দুটি লেখার উপসংহারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেক্ষাপট-১: রাজধানীর আল্লাহ করিম মসজিদের সামনে সংক্ষিপ্ত মানববন্ধনের পর মাওলানা মামুনুল হক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছেন- এ দেশের কিংবদন্তীতুল্য ব্যক্তিত্ব শায়খুল হাদিস আল্লামা আযিযুল হককে নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভির প্রচারিত উদ্দেশ্যমূলক নিউজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরিয়ে কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে। ঘটনাটি মাস পাঁচেক আগের। সেবার যমুনা টিভির পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে শায়খুল হাদিস পরিবারের সাথে আপোস রফা করা হয়েছিল।

প্রেক্ষাপট-২: সম্প্রতি মাওলানা মামুনুল হক এক ফেসবুক লাইভে হুঁশিয়ারি দিলেন—‘বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভি কর্তৃপক্ষকে মাওলানা মাহফুজুল হকের ব্যাপারে প্রচার করা উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যাচারের কারণে অতিদ্রুত নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নতুবা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’ সময় টিভির পরবর্তী পদক্ষেপ মোটামুটি সবার জানা। পেশাগত অনৈতিকতার কারণে ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে ঘটনা অস্বীকার করে আরও একবারের মিথ্যাচার করে মামলার নাটক সাজাল তারা।

এদেশের জাতীয় এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতিতে শায়খুল হাদিস আল্লামা আযিযুল হক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নব্বইয়ের দশকের কয়েকটি সফল আন্দোলনের তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তার সন্তানেরাও পরিচিত এবং স্ব স্ব অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত। দেশের যেকোনো নাগরিকের ব্যাপারে মিথ্যা সংবাদ প্রচার দণ্ডণীয় এবং মানহানীকর। শায়খুল হাদিস বা তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে এ অন্যায় কাজটি আরও উদ্বেগের।

দায়হীন ভূয়া সংবাদ প্রচার করে ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের ‘চরিত্র হননের’ যে সংস্কৃতি সময় টিভি চালু করেছে, সামনের সময়ে এই ধারা জারি থাকবে না; এটা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। মাওলানা মাহফুজুল হকের পরে হয়ত আরও গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি হয়ত সময় টিভি-ই বা অন্য কোনো চ্যানেলের টার্গেটে পরিণত হতে পারেন।

ফেসবুকের ভার্চুয়াল জগতের বাইরে ( বর্তমানে মত উৎপাদন বা তথ্য সরবরাহে এটির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ) যমুনা টিভির উদ্দেশ্যমূলক প্রচার এবং সময় টিভির মিথ্যাচারের প্রতিবাদে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সরব ভূমিকা পালন করেছে ইসলামি ভাবধারার ‘নগণ্য’ কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল। বিভিন্নজনের বিবৃতি-মন্তব্য, ঘটনার বাস্তবতা-প্রকৃতি এবং ‘ভিক্টিমে’র প্রতি মুহূর্তের প্রতিবাদী অবস্থান তারা প্রকাশ করেছে। ইসলাম টাইমসও এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করেছে। জাতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমকেও অবশ্য পক্ষ-বিপক্ষ কোনো মন্তব্য ছাড়া ঘটনা দু’টির সরল উপস্থাপন করতে দেখা গেছে।

 ৪ 

সময় টিভির এই মিথ্যাচারের ঘটনার দিন কয়েক পরে বেফাকের কোনো মিটিং পরবর্তী সিদ্ধান্ত বিষয়ে তথ্য জানতে আমি মাওলানা মাহফুজুল হকের সাথে কথা বলেছিলাম। সেদিন তিনি ইসলাম টাইমসের কিছুটা প্রশংসা করেছিলেন, আমাকে উৎসাহ দিয়েছিলেন এবং আমাদের সম্পাদকের কৃতজ্ঞতা আদায় করেছিলেন। এর আগে বিভিন্ন প্রয়োজনে আরও কয়েকবার তাঁর সাথে কথা বললেও সেদিন কেন আমাকে উৎসাহ দিয়েছিলেন বা আমাদের পোর্টালের প্রশংসা করেছিলেন, তা তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়নি। তবে আমার মনে হয়েছে সময় টিভি কাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান তাকে হয়ত কিছুটা মুগ্ধ করেছিল। ছোট্ট একজন মিডিয়াকর্মী হয়ে রাহমানিয়া মাদরাসার পরিচালকের ধন্যবাদ আদায় করতে পারা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তবে সময় টিভির এই ‘দুর্ঘটনা’ ঘটানোর প্রাক্কালে মাওলানা মামুনুল হকের ফেসবুক পেজে বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলোর এ বিষয়ক একটি খবর প্রচার হতে দেখেছিলাম। জাত্যাভিমানের জায়গা থেকে বললে—ব্যাপারটিতে একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আমি আহত বোধ করেছি। মাওলানা মামুনুল হকের ফেসবুক পেজে তাদের হয়ে ‘লড়াই করা’ আওয়ার ইসলাম, ফাতেহ বা ইনসাফ কিংবা এ ধারার অন্য কোনো পোর্টালের এ বিষয়ক কোনো নিউজ শেয়ার হতে দেখলে আমরা বেশ উৎসাহ বোধ করতাম।

হেদায়াতুন্নাহু, কাফিয়া পড়াকালে আমাদের জেলাশহর নেত্রকোণা থেকে বন্ধু-বান্ধব কয়েকজন মিলে একজন উস্তাদের সহযোগিতায় একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছিলাম। তিনটা সংখ্যা প্রকাশ হয়েছিল ম্যাগাজিনটির। পরে পড়াশোনায় বিশেষ ব্যস্ত হয়ে পড়ায় ম্যাগাজিনটি নিয়মিত করা সম্ভব হয়নি। পরে দাওরা ফারেগ হলে বন্ধু-বান্ধব আবার মিটিং করলাম—নেত্রকোণা থেকে নতুন পত্রিকা কিছু করা যায় কি না! পারিপার্শ্বিক নানা কারণে এবারও কিছু করা হলো না।

মিডিয়া-কেন্দ্রীক স্বপ্ন এবং এর সঙ্কট, সীমাবদ্ধতা বিষয়ে অনেক আগ থেকেই কিছু কিছু ধারণা ছিল। তবে ইসলাম টাইমসে একবছর কাজ করে সঙ্কট-সীমাবদ্ধতা আরেকটু গভীরভাবে বুঝতে পেরেছি। অনেক সময় দেখা গেছে, কোনো সপ্তাহের শুরুতে আমাদের সম্পাদক সাহেব এবং অন্য কর্মীরা মিলে কিছু নতুন কাজের পরিকল্পনা করেছি। কিন্তু নানাকারণেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এজন্য সপ্তাহ শেষে মাঝেমাঝে হতাশ এবং বিমর্ষ লাগতো।

‘কন্ট্রোল সি, কন্ট্রোল ভি’ তো প্রশংসনীয় কিছু নয়। তারপরেও এটি জারি থাকা সঙ্কটেরই অংশ। একটি মিডিয়া হাউসের জন্য দক্ষ লোকবল এবং পর্যাপ্ত অর্থ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ইসলামি ভাবধারার সবগুলো মিডিয়াতেই এ দুটি বিষয়ের চরম ঘাটতি। ফলে তারা নিজেদের পরিকল্পনা বা মানুষের প্রত্যাশা কোনোটাই পুরোপুরি পূরণ করতে পারে না।

 ৬ 

দক্ষ লোকবলের ব্যাপারে প্রথমেই আলোচনা হয়েছে। মিডিয়া-ধারণা মেধাবীদের মধ্যে সহজ করে তুলতে পারলে বিষয়টির কিছুটা সমাধান হয়। বাকী থাকে অর্থের সঙ্কট। এর মূল কারণ বলা যায়, মিডিয়া-ধারণা বা এর প্রয়োজনীয়তা বড় আকারে ধর্মীয় মহলে পরিচিত না। কিংবা বলা যায় মিডিয়াকর্মীরা এই অঙ্গনটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে পারেনি। নতুবা বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান তো ধর্মীয় অঙ্গনের লোকদেরও কম নয়। কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক হলেও উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মাদরাসায় তো মানুষ কম দান করছে না? এসব অনুদানের অতি সামান্য অংশও বিজ্ঞাপন বাবদ পাওয়া গেলে ইসলামের পক্ষে কথা বলবার মতো ছোট ছোট কিছু মিডিয়া হাউস টিকে যেতো। আসলে মিডিয়া-ধারণা ধর্মীয় মহলে এখনও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেনি।

একবছরের ব্যবধানে দুইবার মিডিয়ার টার্গেটে পরিণত হওয়া শায়খুল হাদিস রহ.-এর পরিবার যদি তাদের অবস্থান এবং পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে চেষ্টা করতো, তাহলে মাসিক রহমানি পয়গাম থেকে আরও বৃহৎ এবং শক্তিশালী মিডিয়া হাউস গড়ে তুলতে পারতো বলে আমার বিশ্বাস। শুধু শায়খুল হাদিস পরিবার কেন? রাজনীতি এবং জাতীয় অনেক ক্ষেত্রেই তাদের অবদান অনেক। এ পরিবারের বাইরেও তো দেশে প্রতিষ্ঠিত অনেক পরিবার বা ব্যক্তিত্ব বিদ্যমান; যারা আন্তরিক হলে মেইনস্ট্রিম মিডিয়াকে চ্যালেঞ্জ করার মতো বিকল্প মিডিয়া গড়ে তোলা যেতো।

সামান্য একজন মিডিয়াকর্মীর এভাবে কথা বলা অস্পর্ধার শামিল হয়তো। তবে দীর্ঘ প্রচেষ্টায়ও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা ইসলামি ধারার মিডিয়াগুলোর অনিশ্চিত ভবিষ্যত দেখে যাতনা ও কষ্টে কথাগুলো বলা।

৭ 

আমাদের সম্পাদক মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ। মনন ও চিন্তাশীল প্রবীণ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। মিডিয়ার অতীত-ভবিষ্যত নিয়ে নানা সময়েই আমাদের সাথে দিক নির্দেশনামূলক আলাপ করেন। মাঝেমাঝে তার কণ্ঠে হতাশা ও আক্ষেপের গল্প শুনা যায়। তবে পরক্ষণেই আশা ও সম্ভাবনার বাণী শুনিয়ে তিনি আমাদেরকে উজ্জীবিত করেন। তার ভাষ্যমতে, ‘মুরুব্বীরা মেধাবী তরুণদের দিক নির্দেশনামূলক মূল্যায়ন করলে এবং সামর্থবানরা দরদ ও আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসলে, এদেশে ইসলামি ধারার সাংবাদিকতার ভবিষ্যত খুবই উজ্জ্বল। অনলাইন এই পথকে সহজ করে দিয়েছে’।

আগের সংবাদমিশরে বাঙালী ছাত্রদের ঈদ : দিন যাপনের গল্প
পরবর্তি সংবাদআমার বাবা মাওলানা আনসারী