
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছে ইউক্রেন। সোমবার সেই আবেদনে সই করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জিলেনস্কি।
রাশিয়ার সামরিক অভিযান ঠেকানো দরকার। তাই জরুরিভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্যপদের জন্য এই আবেদন করেন জেলেনস্কি। দেশের প্রতিরক্ষার স্বার্থে এই পদক্ষেপ বলে জানান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার ইউক্রেন পার্লামেন্টের নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। পোস্টে দেওয়া ছবিতে জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ড্যানিস শিমহাল এবং পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান রুসলন স্টিফেনচুককে। তাদের উপস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার আবেদনপত্রে সই করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলছে ইউক্রেন।
পাঁচদিন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর সোমবার বেলারুশে আলোচনায় বসে রাশিয়া ও ইউক্রেন। সেখানে দু’দেশের ঠিক কী আলোচনা হয়েছে,তার আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে রুশ সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা হবে।
ইউক্রেন চেয়েছিল অতিসত্ত্বর তাদের দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করুক রাশিয়া। কিন্তু যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনের দু’টি শহর রাশিয়া কবজা করে নেয় বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেনা কনভয় নিয়ে ইউক্রেন রাজধানীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী।
এই পরিস্থতিতিতে প্রতিরক্ষার জন্য দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর সাহায্য চাইছে ইউক্রেন। পাশাপাশি, রাশিয়ার জন্য আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা আনতে পূর্বের দেশগুলোকে আবেদন করেছেন জেলেনস্কি। তার দাবি, ওই পথেই খারকিভে ঢুকে অনবরত ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করছে পুতিন-বাহিনী।
সূত্র: দ্য হিল, রয়টার্স, টাইমস অব ইসরায়েল