
ফাতেহ ডেস্ক:
১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমায় আগতদের জন্য বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন মাঠের জিম্মাদার ও তাবলিগের পুরনো সাথীরা। সেগুলো হলো
ইজতেমায় জামাতবদ্ধ হয়ে আসা, একাকী না আসা। ছোট বাচ্চাদের না আনা। মোনাজাতে অংশ নিতে নারীদের আসতে বারণ করা। যারা তিন দিনের জন্য মাঠে আসবেন, তারা মনোযোগ সহকারে বয়ান শোনার জন্য মোবাইল বন্ধ রাখবেন।
শুধু লোক দেখতে, ঘুরতে অথবা জুমার নামাজ আদায় করতে কিংবা দোয়ায় অংশ নিতে ইজতেমার মাঠে আসবেন না। আসলে কমপক্ষে ভোর থেকে এশা পর্যন্ত আসবেন, মনোযোগ দিয়ে বয়ান শুনবেন।
ময়দানে কিছু হারিয়ে গেলে বা পেলে হারানোপ্রাপ্তির কামরায় যোগাযোগ করবেন। কোনো সমস্যা তৈরি হলে দ্রুত স্বেচ্ছাসেবক, জামাতের আমির, খিত্তার জিম্মাদার অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবেন।
অসুস্থ হলে দ্রুত খিত্তায় অবস্থানরত চিকিৎসক, মাঠের পাশে স্থাপিত মেডিকেল ক্যাম্প অথবা চিকিৎসক টিমের শরণাপন্ন হবেন। শুকনো খাবার ও পানি সঙ্গে রাখবেন।
স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, শিক্ষক, আলেম ও রাজনীতি-সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে আলাদা আলাদা গুরুত্বপূর্ণ বয়ান হবে ইজতেমার ময়দানে। এসব বয়ান কখন হবে তা জানতে সংশ্লিষ্ট খিত্তায় খোঁজ নিন।
রাতে যারা ময়দানে থাকবেন, প্রয়োজনীয় বিছানা ও শীতের কাপড় সঙ্গে আনবেন এবং মাঠের ম্যাপ দেখে আপনার এলাকার সাথীদের সঙ্গে থাকবেন।
প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখবেন। গ্যাস সিলিন্ডার ও রান্নার সরঞ্জাম সাবধানে রাখবেন। সম্মিলিত মাল-সামানা, হাঁড়ি-পাতিল, রান্নার সামগ্রী ইত্যাদি যথাসম্ভব গুছিয়ে অল্প জায়গায় রাখবেন। যেন সাথী ভাইদের বেশি জায়গা দেওয়া যায়, তাদের চলাচলে কষ্ট না হয়।
অজু-বাথরুম শেষে হাতে করে জুতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করলে, জুতার পানি মানুষ কিংবা অন্যের মাল-সামানার ওপর পড়ে, আর জুতা হারায়ও বেশি। তাই বাড়ি থেকে পলিথিন বা কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে যাওয়া জুতা রাখার জন্য।
নামাজের সময় কাতার সোজা করা জরুরি। এক কাতার থেকে পরের কাতারের দূরত্ব ৬ ফুট। এর মধ্যে ৪ ফুট নামাজের জন্য এবং ২ ফুট মাল-সামান রাখার জন্য। কিছু কিছু ভাইকে দেখা যায় কাতারের দাগের ওপর সামান রেখেছেন, ফলে কাতার বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এজন্য নামাজের ৫/১০ মিনিট আগেই সাথীদের খেয়াল রাখা, কাতারের ওপর সামানা রাখা হলে তা সরিয়ে কাতার সোজা রাখার ব্যবস্থা করা।
নামাজের জামাতের সময় কাতারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। কোনো অবস্থাতেই খণ্ড খণ্ড কাতার না করা।