
ফাতেহ ডেস্ক:
ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ হত্যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবও জড়িত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সৌদি আরব।
গতকাল মঙ্গলবার সৌদি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের নিজের টুইটার পেজে বলেন, ইরানে নেতিবাচক কিছু ঘটলেই তার জন্য রিয়াদকে দোষারোপ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরবর্তীতে বন্যা বা ভূমিকম্প হলেও কী আমাদেরকে দায়ী করবেন তিনি?
এর আগে গত সোমববার ইন্টাগ্রামে দেয়া এক পোস্টে জারিফ বলেন, সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য সফরে এসে মার্কিন পরাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরপরই ইরান-বিরোধী আরেকটি ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেন নেতানিয়াহু, যা বিজ্ঞানী ফাখরিজাদেহ হত্যায় পরিষ্কার হয়।
এদিকে, ফাখরিজাদেহ হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক, কাতার, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ। কিন্তু ওই অঞ্চলের আরেক প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব ঘটনার নিন্দা প্রকাশ তো দূরের কথা, টু শব্দটিও করেনি।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানী তেহরানের অদূরে দামাভান্দ কাউন্টির আবসার্দ শহরের একটি সড়কে ফাখরিজাদেহকে বহনকারী গাড়িতে হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইরানি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান সোমবার দাবি করেন, স্যাটেলাইটের সাহায্যে নিয়ন্ত্রিত রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইসের মাধ্যমে মোহসেন ফাখরিজাদেহর গাড়িতে গুলিবৃষ্টি করে তাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। গোয়েন্দা বিভাগ আগেই সতর্ক করলেও যেভাবে এ হামলা চালানো হয়, তা ঠেকানো নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে সম্ভব ছিল না।
এদিকে, মোহসেন ফাখরিজাদেহ হত্যায় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের জড়িত থাকার কথা নিশ্চিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলি এক সাংবাদিকের একটি পোস্ট নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে রিটুইট করে এ কথা জানান তিনি।
এর পরই ফাখরিজাদেহর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে ইসরায়েল বলছে, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছুই জানা নেই। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ দেশটির বসতি স্থাপন মন্ত্রী তাজাচি হানেগবি আরো বলেন, ফাখরিজাদেহ হত্যার কোনো ক্লু আমাদের হাতে নেই।