|| তাসনিফ আবীদ ||
কওমি সনদের কার্যকারিতা বাস্তবায়ন, ছাত্রদের পড়াশোনায় আরো মনোযোগীকরণসহ নানা কারণ দেখিয়ে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় যুক্ত হয়েছে ‘কাফিয়া’ জামাতের সমাপনী পরীক্ষা। বেফাক জানায়, ‘১৪৪৬ হিজরি সনে অনুষ্ঠিতব্য বেফাকের ৪৮তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় যুক্ত হবে সানাবিয়্যাহ-২ (কাফিয়া- দশম শ্রেণি সমমান) জামাতের সমাপনী পরীক্ষা।
এছাড়া কওমি সনদের কার্যকারিতার জন্য প্রাথমিক, মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শোনা যাচ্ছে কাফিয়া ও শরহে বেকায়ার মাঝে নতুন একটি ‘জামাত’ চালু হতে পারে। কওমি নেসাবে বর্তমানে মানতেক শাস্ত্রের কিতাবাদি কমে যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে সেই জামাতে মানতেকের বেশকিছু কিতাব যুক্ত হতে পারে।
বিষয়গুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কওমি শিক্ষাঙ্গনে নানা বিতর্ক চলছে। ভাবিয়ে তুলছে কওমি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অনেক শিক্ষাবিদ আলেমকে।
ঢাকার স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার নায়েবে মুহতামিম, গবেষক ও শিক্ষাবিদ আলেম মাওলানা আব্দুল গাফফার বিষয়টি নিয়ে বিস্তর কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, বেফাকের সাম্প্রতিক একটি সার্কুলার ‘কাফিয়া জামাতের পরীক্ষা বোর্ডের অধীনে হবে।’ সরকারকে দেখাতে হবে, আমাদের শিক্ষার্থীদের শ্রেণি বিন্যাস স্কুল কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই। কাজেই যেনতেনভাবে শ্রেণি বিন্যাস করা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে পাঠ্যসূচি প্রণয়ণ করা হচ্ছে। কথা নাই বার্তা নাই, হুটহাট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে এবং বলা হচ্ছে যে, মজলিসে খাসের সিদ্ধান্ত। কওমী শিক্ষা ব্যবস্থাকে করে তোলা হচ্ছে পশ্চাদগামী।
শরহে বেকায়া ও কাফিয়ার মাঝে একটা বছর বৃদ্ধি করতে হবে। কাজেই নাম কা ওয়াস্তে কিছু কিতাব পড়ানোর নামে আরেকটা শ্রেণি খুলে ফেল। কোন সিদ্ধান্ত কেন গ্রহণ করা হচ্ছে তা জানাটা ছিল সকলের অধিকার। অপরিণামদর্শী এসব সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য ভাল কোন ফল বয়ে আনবে না তা নিশ্চিত করে বলা যায়। -জানান মাওলানা আব্দুল গাফফার
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বেফাকের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর সঙ্গে। তিনি বেফাকের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বিষয় উল্লেখ করে বলেন, এ বিষয়ে বেফাকের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফেসবুকে প্রচারিত এসব বিষয়ের সঙ্গে বেফাকের কোনো সম্পর্ক নেই। এসবই অমূলক এবং অপ্রয়োজনীয় চর্চা।’
‘বেফাক সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি/বার্তার ক্ষেত্রে বেফাকের ওয়েব সাইট ও ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজই অনুসরণযোগ্য। অন্যকোনোভাবে প্রাপ্ত এমনসব সংবাদ গ্রহণযোগ্য নয়।’ –জানান তিনি