
ফাতেহ ডেস্ক :
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, ‘কাদিয়ানিরা খতমে নবুওয়াতকে অস্বীকার করে। সুতরাং, তারা কোনক্রমেই মুসলিম নয়। তারা অমুসলিম বা বিধর্মী। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করার আগ পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলবে।”
আজ (২৯ নভেম্বর) খতমে নবুওত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সূরা আহজাবের ৪০ নং আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদ সা. সকল মুমিনের রুহানি পিতা এবং শেষ নবী। যার মাধ্যমে রেসালাতের পর্ব শেষ হয়েছে। যেহেতু আল্লাহ কুরআনে নিজেই বলে দিয়েছেন মোহাম্মদ সা. আমার পক্ষ থেকে প্রেরিত শেষ নবী, সুতরাং এরপর আমি আর কোন নবী পাঠাবো না। অর্থাৎ, আজ আমি তোমাদের ধর্মের বিধানাবলী পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপর নেয়ামতকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছি এবং ধর্ম হিসেবে ইসলামকে তোমাদের জন্য পছন্দ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এই আয়াতের সাবলীল তরজমা দারা স্পষ্ট একথাই বুঝে আসে- আমাদের জন্য ধর্মের বিধানাবলী এবং ধর্ম পরিপূর্ণ করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং ধর্মকে পরিপূর্ণ করে দেওয়ার পর আর কোনো নবী পাঠানোর কোনো প্রশ্নই আসে না। সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম কাদিয়ানিরা কাফের এতে কোন সন্দেহ নেই। এমন কি কেউ যদি কাদিয়ানিদের মুসলিম মনে করে, তাহলে সেও আর মুসলমানের কাতারে থাকবে না। সে অবিশ্বাসীদের কাতারে পড়বে।’
আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী আরও বলেন, আকিদায় খতমে নবুওয়াত ঈমানের অঙ্গ। ইসলামের যাবতীয় সমস্ত বিধানাবলি মেনে নিলেও মুমিন হতে পারবে না যদি খতমে নবুয়াতে বিশ্বাসী না হয়। সুতরাং আকিদায় খতমে নবুওয়াত রক্ষা করা সর্বস্তরের মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এটা শুধুমাত্র আলেম-ওলামাদের দায়িত্ব নয়। আপনারা একযোগে কাদিয়ানিদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন। কাদিয়ানীদের সকল প্রতিষ্ঠানকে ভয় করুন।’