জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং সেক্যুলারিজমের ধোঁকাবাজি

মাহমুদ সিদ্দিকী

সেক্যুলার সমাজ রাষ্ট্রব্যবস্থা আমারআপনার মনে খুব করে একটা চিন্তা ঢুকিয়েছে— ‘দুটি সন্তানের বেশি নয়; একটি হলে ভালো হয়।কারোর দুইয়ের অধিক সন্তানের কথা শুনলেই এখন ব্যাপকভাবে উঠতি প্রজন্ম ভ্রু কুঁচকে ফেলে, কপালে পড়ে গোটাপাঁচেক ভাঁজ, চুয়াল ঝুলে পড়ে নিচের দিকে। যেই প্রজন্মটি অধিক সন্তানের কথা শুনলেই নাকমুখচোখভ্রু কুঁচকে চিড়িয়াখানাথেকেপালিয়েআসা প্রাণীর মতো ভাব করে, তাঁর পিতামাতা কিংবা দাদাদাদির সন্তানের সংখ্যা মোটামুটি গড়ে আটদশজন করে। অতি আপডেটেড মানসিকতার এই প্রজন্মটির চোখে তারা ব্যাকডেটেড, মূর্খ, ইত্যাদি।

সেক্যুলারিজমের প্রধান টার্গেটই হলো, ইসলামের যেকোনো ভ্যালিড চিন্তাকে মুসলিমদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করে উপস্থাপন করা। ভাষা, উপস্থাপন বাহ্যিক অবস্থার আলোকে অপরিণামদর্শী মুসলিম সমাজের কাছে যেটাকে মনে হবে অতি উত্তম চিন্তা; ইসলামের চিন্তা মধ্যযুগীয়, পশ্চাতপদ, ব্যাকডেটেড ইত্যাদি।

অধিক সন্তান গ্রহণকে ইসলাম সবসময় উদ্বুদ্ধ করেছে। আবু দাউদ সহিহ ইবনে হিব্বানের হাদিসে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বলল, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমি একজন সম্ভ্রান্ত বংশের ধনী নারীর সন্ধান পেয়েছি। কিন্তু তার সন্তান হয় না। আমি কি তাকে বিয়ে করব?’ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাকে নিষেধ করলেন। লোকটি দ্বিতীয়বার আসল, নবিজি দ্বিতীয়বারেও নিষেধ করলেন। লোকটি তৃতীয়বার আসল, তৃতীয়বারেও তাকে নিষেধ করলেন। এরপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তোমরা অধিক ভালোবাসাপরায়ণ অধিক সন্তান জন্মদানকারিনী নারীকে বিয়ে করো। কেননা, অবশ্যই আমি তোমাদের আধিক্য নিয়ে (কেয়ামত দিবসে) অন্যান্য উম্মতের সাথে গর্ব করব।  উক্ত হাদিসের ভাষ্য স্পষ্ট। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম অধিক সন্তান গ্রহণের ব্যাপারে সরাসরি উদ্বুদ্ধ করেছেন।

সেক্যুলারিজমের মেইন টার্গেট হলো, মুসলিমদের মাথায় এই চিন্তাটাকে প্রশ্নবিদ্ধভাবে উপস্থাপন করে বিপরীত একটা চিন্তা আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা। ইসলামের অন্যান্য চিন্তার মতো অধিক সন্তানে উদ্বুদ্ধকরণ নিয়েও একই পদ্ধতি তারা অবলম্বন করেছে। সেক্যুলারিজম আপনাকে বোঝাচ্ছেজনসংখ্যাস্ফীতি একটা বিরাট সমস্যা। একই পরিবারে অধিক সন্তান মানে না খেয়ে মরতে হবে, উন্নত শিক্ষাচিকিৎসা পাবে না, ইত্যাদি। সর্বোপরি অধিক জনসংখ্যা একটি পরিবার রাষ্ট্রের জন্য বোঝা অভিশাপ। সেক্যুলারিজম এখানে সরাসরি ইসলামকে সামনে টেনে না আনলেও কার্যত এই চিন্তার গোড়া তারা কেটে দিতে চেয়েছে। অধিক জনসংখ্যা অধিক সন্তানকে বোঝা অভিশাপ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা গেলে আবশ্যকীয়ভাবে ইসলামের অধিক সন্তানে উদ্বুদ্ধ করার চিন্তাটি জনগণের কাছে খেলো হয়ে যায়। কারণ, সাধারণ মুসলিম এইসব সূক্ষ্ম বিষয়াদি নিয়ে সঠিকভাবে ইসলামের চিন্তাকে যাচাই করবার মতো জ্ঞান রাখে না।

এইক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেকুলারিজমের এই প্রচেষ্টা অনেকাংশে সফল। যার ফলস্বরূপ, দশ সন্তানের জনকের সন্তানটি অধিক সন্তানের কারণে তার পিতামাতাকে দেখছে পশ্চাতপদ, অশিক্ষিত মূর্খ হিসেবে। দাদাদাদি কিংবা নানানানিকে মনে করছে মধ্যযুগীয় অপরিকল্পিত চিন্তাধারার মূর্খ মানুষ। আশেপাশে কারোর অধিক সন্তানের কথা শুনলেই নাকমুখচোখভ্রুসকল কিছু সর্বোচ্চ সম্ভব কুঞ্চিত করে নিষিদ্ধ কৌতুক বলবার ভঙ্গিতে বলছে— ‘হাহাহা, এই যুগেও কেউ এত সন্তান নেয়!’ আশেপাশের কাউকেজন সন্তান নেবেন’-জাতীয় প্রশ্ন করলেই গম্ভীর একটা ভাব নিয়ে বলবে— ‘এই তো, দুইজন। এই যুগে এর বেশি কেউ সন্তান নেয় নাকি?’  দ্যাট মিনস, সেক্যুলারিজম খুব সহজভাবেই তাদের এই চিন্তা আমারআপনার মাথায় সচেতনভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছে।

অধিক সন্তান নিয়ে বিরূপ চিন্তা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্ব যুগেও ছিল। সন্তান পালনে অভাবের ভয়ে তখনও ভূমিষ্ঠ সন্তান কিংবা ভ্রুণ হত্যা করা হত। কুরআনে একাধিকবার এই চিন্তাকে রদ করে বলা হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে অভাবের ভয়ে হত্যা করো না। আমিই তাদেরকে রিজিক দিই এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা জঘন্য অপরাধ।’  আয়াতের ভাষ্য থেকে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, অধিক সন্তানকে তখন মন্দ চোখে দেখা হতো। অর্থাভাব, সন্তান পালন দারিদ্র্যের ভয়ে সন্তানকে তারা হত্যা করত। সেই সন্তান হত্যার আপডেটেড ভার্সন হলো ভ্রুণহত্যা।

কুরআন এই আয়াতে তাদের মূল সমস্যাটি ফাইন্ড আউট করেছেরিজিকের ভয়। ইসলামে রিযিকের ধারণা বেশ প্রশস্ত। রিজিক বলতেই যে কেবল দুলোকমা অন্নের ছবি চোখে ভাসেরিজিক কেবল এটুকুই নয়। আরবি অভিধানআলমুজামুল মুগনিতে রিজিকের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে এভাবেএকজন মানুষ জীবন যাপন করতে যাযা প্রয়োজন, তার সবকিছুকে রিজিক বলে। বাংলায় একশব্দেজীবিকা। মজার বিষয় হলোইসলামকে পশ্চাদপদ মধ্যযুগীয়বলেআস্ফালনকরা সেক্যুলারিজম অধিক সন্তান বা অধিক জনসংখ্যাকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করার মূল কারণ হিসেবে যেটিকে উপস্থাপন করেছে, তা আরও পশ্চাতপদ; বরং ইসলামপূর্ব যুগের চিন্তারিজিক জীবিকার ঘাটতি। একেই বলে হিপোক্রেসি। তারচেয়েও মজার বিষয় হলো, সেকুলারিজমের ধ্বজাধারীরা যাদের থেকে সেক্যুলারিজম ধার করে এনে এদেশে প্রচার করে, তাদের সেই গুরুস্থানীয় দেশগুলোর ব্যক্তিবর্গ কিন্তু অধিক সন্তানের বিরুদ্ধে মুখ খোলে না। বরং একেকজনের / জন করে সন্তান।

সমস্যাটি ফাইন্ড আউট করার পর আল্লাহ তাআলা কুরআনে এর সমাধান পেশ করেছেনযত বিচরণশীল প্রাণী পৃথিবীতে আছে, তার রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ্ উপর।  প্রথমেই রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ তাআলা নিজের ওপর নিয়ে নিয়েছেন। সেই রিজিক কীভাবে উপার্জন করতে হবে, কুরআনে সেই সমাধানও মৌলিকভাবে দিয়ে দিয়েছেন। অধিক সন্তান ধারণের মৌলিক যেসমস্যার কথা বলা হয়, কুরআনের এই আয়াতের সামনে তা টেকে না। যিনি ননমুসলিম, তার সাথে তাত্ত্বিক আলোচনার প্রয়োজন হলেও একজন মুসলিমের চিন্তাগত সমাধানের জন্য এই একটি আয়াতই যথেষ্ট।

এই আয়াতের ছোট্ট একটা উদাহরণ হতে পারে এমনরিজিকের সমস্যা বাহ্যত প্রকট আকারে তুলে ধরা হলেও, বাস্তবে জনসংখ্যার সাথেসাথে খাদ্যব্যবস্থা এবং আবাসনব্যবস্থার ক্রমে উন্নতি সাধিত হচ্ছে। আগে যতটুকু জমিতে যা ফসল ফলত, বর্তমানে একই জমিতে ফসল ফলছে চারপাঁচ গুণ বেশি। ফলে, যেই জমি থেকে আগে চাহিদা পূরণ হত দশজনের, একই জমি থেকে এখন পূরণ হচ্ছে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশজনের চাহিদা। এক বিঘা জমিতে যেখানে বসবাস করত সর্বোচ্চ তিনচারটি পরিবার, একই জমিতে বর্তমানে বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে অবস্থান করছে তিনচারশো পরিবার।

অধিক সন্তান ধারণের ইসলামি চিন্তাকে বুঝতে হলে প্রথমে আপনাকে ইসলামের রাষ্ট্রচিন্তাকে বুঝতে হবে। খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওয়াহ সম্পর্কে যিনি ন্যূনতম ধারণা রাখেন তিনি জানেন, ইসলাম কোনো রাষ্ট্রীয় বা ভাষাগত জাতীয়তাবাদ সমর্থন করে না। ইসলামের রাষ্ট্রচিন্তা হলো খিলাফত, খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওয়াহর সারকথা হলোইসলামি রাষ্ট্রের ভিত্তি কোনো ভাষা বা জাতীয়তাবাদের উপর হবে না; বরং এর ভিত্তি হবে ইসলামের উপর। সকল মুসলিম এক খিলাফতের অধীনে থাকবে। কেন্দ্রীয় খিলাফতের অধীনে ছোটছোট উপকেন্দ্র থাকবে। এভাবে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে আভ্যন্তরীণ কোনো সীমারেখা সীমান্তবাধা থাকবে না। ফলে, ভৌগোলিকভাবে ইসলামি খিলাফতের পরিধি হবে ব্যাপক বিস্তৃত। ফলত, সেখানে জনসংখ্যার দোহাই দিয়ে কোনো ভৌগোলিক বা আবাসন সমস্যা দাঁড়াবে না।

সেক্যুলারিজম অধিক সন্তান বা অধিক জনসংখ্যার প্রধান সমস্যা হিসেবে যেটিকে দাঁড়া করাচ্ছেরিজিকের সমস্যা; এটিও মূলত সেক্যুলার রাষ্ট্রব্যবস্থারই সীমাবদ্ধতা। সীমান্তবাধা, ছোটছোট জাতীয়তাবাদকে কেন্দ্র করে দুর্বল রাষ্ট্র গড়ে ওঠার ফলে খাদ্য আবাসন ব্যবস্থার সমস্যা দুর্বল রাষ্ট্রগুলোতে তৈরি হচ্ছে। শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো দখল করে আছে বিশালবিস্তৃত আয়তন আর দুর্বল রাষ্ট্রগুলো কোনোরকম একটা আয়তন নিয়ে বেঁচে আছে। ফলে, দারিদ্র্য বিভিন্ন সমস্যা ব্যাপকভাবে তৈরি হচ্ছে। তখন বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছেঅধিক সন্তান অধিক জনসংখ্যা একটি রাষ্ট্রের জন্য সমস্যা অভিশাপ। শ্লোগান দিতে হচ্ছে— ‘দুটি সন্তানের বেশি নয়; একটি হলে ভালো হয়।এই সমস্যা তৈরি হওয়ার বড় আরেকটি কারণ হলোজনসংখ্যাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারা।

মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলে দেয়া বুদ্ধুর কাজ। বুদ্ধিমানের কাজ হলো, মাথাব্যথার চিকিৎসা করা। ব্যয় বাড়লে বুদ্ধিমান ব্যক্তি অপ্রয়োজনীয় ব্যয় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আয় বাড়ায়; আর বুদ্ধু চেষ্টা করে শুধু ব্যয় সংকোচনের। অধিক সন্তান হওয়াকে যদি সাময়িকভাবে দারিদ্র্যের কারণ হিসেবে মেনে নিই, তাহলে কাজ হবে এই অধিক সন্তানকে কীভাবে প্রোডাক্টিভ কাজে লাগিয়ে অর্থনীতি সমৃদ্ধ করা যায় সেই চেষ্টা করা। প্রোডাক্টিভ কাজে লাগাতে পারলে বোঝা না হয়ে অধিক জনসংখ্যা হবে আশির্বাদ। এটা হলো বুদ্ধিমানের কাজ। আর বুদ্ধুর কাজ হলো ভ্রুণ হত্যা করা, সন্তান গ্রহণের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো। এগুলো হলো সেকুলার রাষ্ট্র সেক্যুলার চিন্তার সীমাবদ্ধতা কিংবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

কার্যত জনসংখ্যা বা অধিক সন্তান গ্রহণের চিন্তা একটি অবাস্তব অপ্রয়োগযোগ্য চিন্তা। শিক্ষিতসমাজ সাধারণ মুসলিমদেরকে বিভিন্ন প্রচারপত্র চটকদার পরিসংখ্যান, শ্লোগান ইত্যাদি দিয়ে এটাকে একটা ফ্যাশন আকারে রূপ দেয়া গেলেও, গ্রামীণ কিংবা শহুরে অনুন্নত সমাজের কাছে এই চিন্তা পৌঁছায় না। পৌঁছালেও এইসবের খুব একটা গুরুত্ব তাদের কাছে পায় না। ফ্যাশন মনে করে সেকুলার মতে প্রভাবিত কতক সাধারণ মুসলিম বুঝেনাবুঝে অধিক সন্তানকে বিরূপ চোখে দেখলেও গ্রামীণ সমাজে বরং কম সন্তানকে দুর্বলতা মনে করা হয়। যদ্দরুন বিশ ভাগ মানুষদুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়’-শ্লোগান মেনে চললেও বাকি আশিভাগ মানুষ প্রাকৃতিক নিয়মে স্বাভাবিকভাবে সন্তান গ্রহণ করছে। ফলে, সেকুলারদের এই অবাস্তব চিন্তা বাস্তবিক ক্ষেত্রে খুব একটা প্রয়োগ হচ্ছে না।

পৃথিবীতে যেজন আদমসন্তান আসার কথা, যেদেশে যতজন আদমসন্তান জন্ম গ্রহণ করার কথা, ঠিক ততজনই জন্ম গ্রহণ করবেএটাই আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত সিস্টেম। যতভাবেই একে রোধ করার চেষ্টা করা হোকস্রষ্টার সিস্টেম পরিবর্তনের ক্ষমতা কোনো সৃষ্টির নেই। তাদের এই প্রচেষ্টা যে সফল হবে না, এই কথা হাদিসেই বলা আছে। জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য আযল করবে কিনাসাহাবাদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আযল না করলে সমস্যা নাই। পৃথিবীতে কিয়ামত পর্যন্ত যেটি প্রাণ আসার কথা নির্ধারিত রয়েছে, ততজন আসবেই।’  

তো, সারকথা হলো, অধিক সন্তান ইসলামের দৃষ্টিতে প্রশংসনীয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিক সন্তান গ্রহণের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছেন। অধিক সন্তান গ্রহণের কারণে কারুর প্রতি তাচ্ছিল্যভাব পোষণ করা, হাসিঠাট্টা করা মূর্খতা। ইসলামের চিন্তার বাইরে গিয়ে আপনি যতই সন্তান কম নেয়াকে অ্যাপ্রিশিয়েট করেন, ইউ হ্যাভ টু রিমেম্বারআপনি এই বিষয়ে ইসলামের চিন্তার বাইরে অবস্থান করছেন। অধিক সন্তানের জনকজননীকে কিছু বলার অধিকার আপনার নেই।

লেখক : তরুণ আলেম

আগের সংবাদ`বাংলাদেশকে নাগরিকবান্ধব মানবিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের লড়াইটাই বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ’
পরবর্তি সংবাদকারাগারে ঈদের স্মৃতি