
ফাতেহ ডেস্ক :
গত এক সপ্তাহে ভারতে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার দুটি ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে অভিযুক্ত ধর্ষককে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে পুলিশ। অনেকেই এর বিরোধিতা করছেন আবার অনেকেই এর পক্ষে কথা বলছেন।
চলুন জেনে নেই কোন দেশে ধর্ষণের কী শাস্তি নির্ধারিত আছে।
ফ্রান্স : ধর্ষণের ঘটনায় ১৫ বছরের কারাদণ্ড। তবে ঘটনায় ক্ষতি ও নৃশংসতার বিচারে তা ৩০ বছর পর্যন্ত বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে।
চীন : ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড। তবে এই শাস্তি নিয়ে বিরোধিতাও রয়েছে। কারণ, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর অভিযুক্ত নির্দোষ ছিল এমনও দেখা গেছে। আরেকটি শাস্তি রয়েছে পুরুষাঙ্গচ্ছেদ।
সৌদি আরব : ধর্ষণের জড়িত থাকলে প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ।
উত্তর কোরিয়া : ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করানো হয়। অপরাধীকে গুলি করে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয়।
আফগানিস্তান : আদালত রায় দেওয়ার চারদিনের মধ্যে অভিযুক্তকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় কিংবা ফাঁসি দেওয়া হয়।
মিসর : সে দেশে ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি।
ইরান : শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ফাঁসি অথবা প্রকাশ্যে পাথর মেরে কার্যকর করা হয়।
ইসরায়েল : দোষ প্রমাণ হলে ১৬ বছরের কারাদণ্ড। সে দেশে ধর্ষণের সংজ্ঞা আরো ব্যাপ্ত। অন্য যৌন নির্যাতনও এর অন্তর্ভুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্র : স্টেট ও ফেডারেল আইন অনুযায়ী ধর্ষণের বিচার ভিন্ন। ফেডারেল আইন অনুযায়ী দোষীর সাজা কয়েক বছরের কারাদণ্ড থেকে যাবজ্জীবনও হতে পারে।
রাশিয়া : ধর্ষকের তিন থেকে ছয় বছরের কারাদণ্ড। তবে পরিস্থিতির বিচারে তা ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। যদি ধর্ষকের আচরণ অত্যন্ত নৃশংস হয়ে থাকে, তবে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
নরওয়ে : সম্মতি ছাড়া যে কোনো যৌনতা ধর্ষণের মধ্যে পড়ে। নৃশংসতা অনুযায়ী দোষীর তিন থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়।