ফাতেহ ডেস্ক:
স্কুলগুলোর জন্য নিম্নমানের বই ছাপার অভিযোগ পেয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ৯টিরও বেশি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। তারা নিম্নমানের বই ছাপিয়ে এনসিটিবিকে হস্তান্তরও করতে যাচ্ছিলো। পরে সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রায়-প্রস্তুত ৫০ হাজার পাঠ্যবই ও ছাপানো ফর্মা কেটে বিনষ্ট করা হয়েছে।
এদিকে প্রাথমিকের বই ছাপার কাজ শুরুই করতে পারেনি দশবিশা ও জাহানারা প্রেস।
অভিযোগে জানা গেছে, বেশ কিছু মুদ্রণ মালিক কাগজ সংকটের সুযোগ নিয়ে নিম্নমানের বই সরবরাহ করেছেন। খবর পেয়ে নিয়মিত পরিদর্শনে গিয়ে এনসিটিবি ওইসব ছাপা বই বাতিল করে কেটে ফেলে। বই আকারে বাইন্ডিংয়ের আগেই ছাপানো ফর্মা কেটে ফেলা হয়েছে।
এনসিটিবি দাবি করেছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ৮০ শতাংশ বই ছাপা এবং সরবরাহ সম্ভব হবে। তবে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাগজ সংকটের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানে বই ছাপার অগ্রগতি নেই। জাহানারা প্রেস ব্যাংক ঋণ না পেয়ে বই ছাপার কাজ শুরু করতে পারেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, গ্যাস ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাবে কাগজ সংকট চলছে কিছুদিন আগে থেকেই। এদিকে ডলার সংকট মেটাতে ভার্জিন পাল্প আমদানি করার সুযোগ পায়নি কাগজকল মালিকরা। ফলে রিসাইকেলের মাধ্যমে তৈরি কাগজে পাঠ্যবই ছাপার সুযোগ দেওয়া হয়েছে মুদ্রণ মালিকদের। এ কারণে পাঠ্যবইয়ের মান এমনিতেই বেশি ভালো হবে না। অন্যদিকে আগামী ১ জানুয়ারি পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির মুদ্রণ মালিক সবচেয়ে নিম্নমানের কাগজে বই ছেপে সরবরাহের চেষ্টা করছে।