ফ্রান্সে ৭৬টি মসজিদ ‘বন্ধের পরিকল্পনায়’

ফাতেহ ডেস্ক:

ফরাসি সরকার ধর্মীয় চরমপন্থা বন্ধের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে জানিয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বলেছেন, সেটির অংশ হিসেবে ৭৬টি মসজিদকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদের’ উৎপত্তিস্থল বলে সন্দেহ করা হয়েছে।

গত অক্টোবরে এই মসজিদটি বন্ধ করে দিয়েছিল ফরাসি সরকার আজ বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় তিনি এ কথা জানান। এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই এই মসজিদগুলোতে তদন্ত করা হবে। যদি সন্দেহগুলো সত্যি হয়, তাহলে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।
ইতোমধ্যে মৌলবাদ সন্দেহে ৬৬ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে নির্বাসিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁন সরকার সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ডারমানিন যা বলেছে ‘অভ্যন্তরীণ শত্রু’ রোধ করা, তা সেটিরই প্রতিশ্রুতি।

গত অক্টোবরে ম্যাক্রোঁন মুসলমানদের ‘ইসলামপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদ’ বলে অভিহিত করে একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ইসলামকে বিশ্বজুড়ে সঙ্কটের একটি ধর্ম হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। তার এমন মন্তব্য ফ্রান্স এবং বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

গত ২০ অক্টোবর, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনকারী শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে হত্যার পর ফ্রান্স সরকার হিংসা ছড়ানো লোকদের সন্দেহ করা শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসেবে প্যারিসের বাইরে একটি মসজিদ অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার নির্দেশও দিয়েছিল।

আগের সংবাদ‘হেফাজত-খেলাফতকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে’
পরবর্তি সংবাদ‘অপশক্তির মোকাবেলায় ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে’