বিএনপির কমিটি নেই কয়েকটি জেলায়

ফাতেহ ডেস্ক:

প্রায় দেড় বছর ধরে কমিটি নেই ফরিদপুর জেলা বিএনপির। জেলা কমিটি বিলুপ্ত করায় ফেব্রুয়ারি থেকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিও চলছে নেতৃত্বহীনভাবে। আর মাদারীপুর জেলা কমিটি ভেঙে ২০১৯ সালের জুনে আহবায়ক কমিটি করলেও কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করায় চলতি বছরের মার্চে সে কমিটিও স্থগিত করা হয়।

তৃণমূলের নেতাদের মতে, এমনিতেই নেতৃত্বের কোন্দল স্থানীয় রাজনীতির বড় বাধা। তার ওপর দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় সাংগঠনিকভাবেও দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ১০ বছরের পুরোনো ফরিদপুর জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে আহবায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয় কেন্দ্র। তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া বলেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ মৃত্যুর আগেই একটি কমিটি করে রাখেন এবং নেতৃবৃন্দের কাছেও দিয়েছিলেন। এর আগেও উনি একটি পূর্ণ কমিটি দিয়েছিলেন ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে। খালেদা জিয়া সেটি অনুমোদন দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কি কারণে অনুমোদন পেলো না সেটা আমি বলতে পারবো না।”

গত ফেব্রুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়, নতুন কমিটি করা হয়নি এখনো।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, “অনেকেই আছেন কাজ করেন না। সরকারি দলের সাথে লিয়াজু করেন।এমন লোকদের কমিটিতে না এনে রাজপথের লোক বাছাই করা হচ্ছে।”

একদশক পর মাদারীপুর জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে ২০১৯ সালের জুনে আহবায়ক কমিটি করা হয়। তবে, চলতি বছরের মার্চে কেন্দ্র থেকে সেই কমিটিও স্থগিত করা হয়।

মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া বলেন, “কিছু লোকের ভুল ধারণায় কেন্দ্র আমাকে আত্মসমর্পণের কোনো সুযোগ না দিয়ে এটা করেছে। এই স্থগিত আদেশটা অনতিবিলম্বে তুলে নেয়া উচিৎ।

এই তিনটি জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাদের দাবি, স্থানীয় নেতৃত্বের কোন্দল নিরসনের মাধ্যমে শিগগিরই নতুন কমিটি না হলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বলেন, “এই দ্বিধা যদি আমাদের মধ্যে বিরাজমান হয়। চলতেই থাকে তাহলে একটা সময় এই সংগঠনের প্রতি মানুষ বিমুখ হয়ে যাবে, সংগঠন নেতৃত্বহীন হয়ে পড়বে।”

ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল বলেন, “কমিটি না থাকায় নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দ্রুত জেলা বিএনপি’র কমিটি প্রয়োজন।”

ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ জানালেন, করোনা মহামারির কারণে দলীয় কাজ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে, দ্রুতই সমস্যার সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন জেলার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডগুলো স্থগিত ছিল কেন্দ্র থেকে। সে কারণে আমরা ফরিদপুর জেলা কমিটির কাজ গুলো করতে পারিনি, হয়তো শিগগিরি হবে।”

আগের সংবাদঅযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণ নিয়ে মতানৈক্য
পরবর্তি সংবাদ২০২০: মুসলমানদের ওপর করোনার দায় চাপাতে চেয়েছে ভারত