বিস্মৃত পূর্ব তুর্কিস্তান : উইঘুরদের ইতিহাস

বিস্মৃত পূর্ব তুর্কিস্তান : উইঘুরদের ইতিহাস

রাগিব রব্বানি :

মধ্য এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্য ছিল পূর্ব তুর্কিস্তান। অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে ইসলাম আগমনের পূর্বেও এর রাজধানী ছিল কাশগড়। এর উত্তর পাশজুড়ে অবস্থান বর্তমান রাশিয়ার, যা সে সময় খণ্ড-খণ্ড রাজ্যে বিভক্ত ছিল। পশ্চিমে বর্তমান তুরস্ক। সেটা সে-সময় পশ্চিম তুর্কিস্তান হিসেবে পরিচিত ছিল। দক্ষিণে হিন্দুস্তান। অর্থাৎ বর্তমানের পাকিস্তান এবং কাশ্মীর। আর পূর্ব-দক্ষিণে চীন; মানে প্রাচীন চীনের অবস্থান এবং অন্যপাশে তিব্বত নগরী। আর এর মধ্যবর্তী স্থানেই ছিল আজকের বিস্মৃত পূর্ব তুর্কিস্তান।

ইসলাম আগমনের আগ অবধি পূর্ব তুর্কিস্তানের শাসক ছিল কুলতুর্ক রাজবংশ। তাদের রাজধানী ছিল কাশগড়। পূর্ব তুর্কিস্তানের অধিবাসীদের অধিকাংশই ছিল উইঘুর জাতিভুক্ত। উইঘুররা মূলত তুর্কি বংশোদ্ভূত একটি জাতিগোষ্ঠী। প্রায় ৪ হাজার বছরের পুরনো সভ্যতার সঙ্গে জড়িত উইঘুরদের ইতিহাস। তবে কোনো কোনো ঐতিহাসিক বলেন, ৯৬ হিজরিতে মুসলিম সেনাপতি কুতায়বা বিন মুসলিম এই অঞ্চল বিজয় করার পর তাঁর সঙ্গে আগত সেনাবাহিনীদের একটি অংশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের ইসলামগ্রহণকারীদের সমন্বয়ে উইঘুর জাতির সৃষ্টি। কিন্তু এ মতটি দুর্বল। কারণ ইসলাম আগমনের পূর্বেও এখানকার বড় জাতিগোষ্ঠীটির উইঘুর-পরিচিতি স্বীকৃত। তাঁদের ভাষা ছিল তুর্কি।

ইসলামের আগমন

হিজরি প্রথম শতাব্দীর একদম শেষ দিক। খলিফা ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান তখন উমাইয়া খেলাফতের মসনদে সমাসীন। খেলাফতের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলে আসা ধ্বংসাত্মক ও রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ এখন আর নেই। চারদিক শান্ত। সর্বদা উন্মাদনায় ভরা ইরাকের প্রতিটা অলি-গলিও তখন হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কঠোর শাসনে সুস্থির। ফলে ইসলামি সাম্রাজ্য বহির্বিশ্বে ইসলাম প্রচারের প্রতি একনিষ্ঠভাবে মনোনিবেশ করতে সক্ষম হয়। যার ধারাবাহিকতায় তখন মুসলমানরা একদিকে আফ্রিকা হয়ে ইসলাম ছড়িয়ে দিতে যাচ্ছিল স্পেনে; অন্যদিকে কিশোর সেনাপতি মুহাম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে ইসলাম জয় করে নিচ্ছিল সিন্ধু সভ্যতার জনমানুষের মন-হৃদয়। জয় করে যাচ্ছিল দেবল উপত্যকা। আর অন্যখানে ঠিক একই মুহূর্তে মধ্যএশিয়ায় ইসলামি ঝাণ্ডা দুর্দণ্ড প্রতাপে উড্ডীন করছিলেন কুতায়বা বিন মুসলিম।

কুতায়বা বিন মুসলিম তাঁর সেনাদল নিয়ে ৯৪ হিজরিতে পাড়ি দেন ইতিহাস বিখ্যাত সেই আমু দরিয়া, ইতিহাসের পাতায়-পাতায় যা নহরে জায়হুন নামে সুপ্রসিদ্ধ। এরপর তিনি সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে জয় করে নিতে থাকেন একের পর এক শহর-নগর-বন্দর-গ্রাম।

দুবছর পর ৯৬ হিজরিতে পূর্ব-তুর্কিস্তান বিজয়ের এরাদা করেন কুতায়বা বিন মুসলিম। তার আগে বিগত একদশকে মুসলমানদের হাতে পদানত হয়েছে পশ্চিম তুর্কিস্তানের প্রায় সবগুলো অঞ্চল। পশ্চিমাঞ্চল জয় হয়েছে, এবার পূর্ব তুর্কিস্তানকেও ইসলামি খেলাফতের অধিভুক্ত করতে হবে। কুতায়বা বিন মুসলিম প্রথম ধাপে জয় করে নেন পূর্ব তুর্কিস্তানের ফারগানা শহর। এবার ফারগানাকে টিকিয়ে রাখতে হলে পূর্ব-তুর্কিস্তানের রাজধানী কাশগড় বিজয় করা ছাড়া উপায় ছিল না। কারণ ফারগানা ছিল কাশগড়ের রাজবংশ কুলতুর্কের অধীনে একটা গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল পুনরায় ফিরিয়ে নিতে কুলতুর্ক রাজা যেকোনো সময় মুসলিম বাহিনীর ওপর আক্রমণ করতে পারে। তাই কুলতুর্ক রাজাকে কাশগড় থেকে উৎখাত করাই ছিল এ সমস্যার একমাত্র সমাধান। তাছাড়া কাশগড় জয়ও কিন্তু একটা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে মুসলমানদের জন্যে। চীনা সীমান্তে বা চীনা রাজার উপর চাপ তৈরি করা বা চীন-বিজয়ের একটা ক্ষেত্র তৈরি হবে কাশগড় বিজয়ের মধ্য দিয়ে। এ ছাড়াও কাশগড়ের অবস্থানের বিচিত্রতার কারণে সেখান থেকে বহির্বিশ্বে বাণিজ্যিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে মুসলমানদের জন্য এ শহর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ বাণিজ্যের মাধ্যমেই অন্যান্য দেশে মুসলমানদের ইসলাম প্রচারের পথ সাবলীল ও সুগম হবে।

কাশগড় শব্দটা সেখানে বাসরত উইঘুরদের দেয়া নাম। ঐতিহাসিকদের মধ্যে অনেকের মতেই কাশগড় সে-সময়ে পূর্ব-তুর্কিস্তানের রাজধানী ছিলো। উইঘুর ভাষায় এর অর্থ হলো ‘রেশমের বাজার।’ এই নামকরণের কারণ হলো, তখন এ কাশগড় ছিল পুরো মধ্যএশিয়ার একমাত্র শহর, যেখান থেকে পুরো বিশ্বজুড়ে রেশমের বাণিজ্য হতো। চীনা রাজা ও রাজবংশীয় পরিবারগুলোর জন্যে প্রয়োজনীয় সকল রেশম এখান থেকেই রফতানি হতো। তাছাড়া যারা রেশম বণিকরা এখান থেকে রেশম নিয়ে গিয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতো। এছাড়া কাশগড় তখন ছিলো যোগাযোগের এক গুরুত্বপূর্ণ রুট। যার ফলে এর একটি পথের নামই হয়ে যায় সিল্করুট; আরবিতে তরিকুল হারির; বাংলায় রেশমি পথ। সে পথ আজও অক্ষুণ্ণ রয়েছে তার ঐতিহাসিক নাম নিয়ে।

পুরো কাশগড় ও তার পাশজুড়ে ছিল প্রায় চল্লিশের উপর নদী। প্রায় সাতশো’ কিলোমিটার বর্গমাইল জুড়ে একে আগলে রেখেছিলো এক ধু-ধু মরুভূমি। কাশগড়ের এ ঐতিহাসিক অবস্থানের ফলেই মুসলমানদের জন্যে তা বিজয় করা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।

কাশগড়-সভ্যতা-সামাজিকতা তখন প্রায় এক হাজার বছরের পুরোনো। বর্তমানের হিসেবে আড়াই হাজার বছর। ঐতিহাসিকগণ ধারনা করে থাকেন, এ-সভ্যতার গোড়াপত্তন হয়েছিলো আর্য-সভ্যতা ও ব্যাবিলনীয় সভ্যতার মিশেলে। সেই স্মরণাতীত কাল থেকেই সেখানকার জন-মানুষের প্রধান উপজীব্য ছিল কৃষি এবং পশু-পালন। পাশাপাশি তাদের তুমুল আগ্রহ ছিল সমরবিদ্যায়। জাতি হিসেবে ছিল তারা তুখোড় সাহসী এবং তুমুল আত্মমর্যাদাবোধ-সম্পন্ন। যে-জন্যে তখন পর্যন্ত চীনা রাজাদের প্রবল আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও এবং বারবার সেনা অভিযান পরিচালনা করেও তারা কাশগড়কে প্রাচীন চীনের অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়নি। তাই কাশগড় বা পূর্ব তুর্কিস্তানের মূল ভূখণ্ড বিজয় মুসলমানদের জন্য সহজ কোনো ব্যাপার ছিল না।

অনেক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির পর ৯৬ হিজরিতেই কাশগড়ের উপত্যকায় পূর্ব-তুর্কিস্তানের রাজবংশ কুলতুর্ক সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হন কুতায়বা বিন মুসলিম ও তাঁর সৈন্যদল। অজেয় পূর্ব তুর্কিস্তানিদের সঙ্গে প্রবল লড়াইয়ের পর অবশেষে তাদেরকে পদানত করতে সক্ষম হন মুসলমানেরা। রাজবংশের পুরুষদের উপর গোলামির মোহর অঙ্কিত হয়। হস্তগত হয় অসংখ্য বন্দী। আর এভাবেই কাশগড় জয়ের মধ্য দিয়ে পূর্ব-তুর্কিস্তান পূর্ণভাবে মুসলমানদের অধিকারে আসে।

পূর্ব তুর্কিস্তানের উল্লেখযোগ্য মানুষ ছিল উইঘুর সম্প্রদায়ের। তবে উইঘুর ছাড়াও এখানে বসবাসরত জাতি হিসেবে ছিল কিরগিজ, তাজিক, তুর্কি, উজবেক এবং মঙ্গোলিয়ান। তারাও কিন্তু উইঘুরদের তুলনায় কোনো অংশেই সংখ্যালঘু ছিল না। কুতায়বা ইবনে মুসলিমের হাত ধরে সর্বপ্রথম এ-ভূখণ্ডে ইসলামের আগমন ঘটে। এবং তার সফল বিজয়ের পর এখানকার প্রচুর মানুষ ইসলামে দীক্ষা লাভ। তবে পরিসংখ্যান হিসেবে তা ছিল নিতান্তই অল্প।

পূর্ব-তুর্কিস্তানে ইসলাম আগমনের কথা বলতে গেলে কুতায়বা বিন মুসলিমের আলোচনা বাধ্যতামূলকভাবে আসে। এবং এখানে ইসলাম আগমনের সর্বপ্রথম মাধ্যম তিনিই ছিলেন। দ্বিতীয় ধাপে এখানে ইসলামের চর্চা হতে থাকে আরব বণিকদের হাত ধরে। তাদের চলন-বলন, কথা-বার্তা, আচার-ব্যবহার ও সামাজিকতায় আরও বেশ কিছু লোক ইসলামে দীক্ষিত হয়। এবং এভাবে এ অঞ্চলে ইসলামের প্রচার-প্রসার চলতে থাকে। তবে পুরোপুরিভাবে উইঘোর, উজবেক, তাজিক─এ সকল জাতির ইসলামে প্রবেশ করার কথা বলতে গেলে সম্রাট সাতাক বোঘরা খানের আলোচনা করতেই হবে। তার আলোচনা ছাড়া পূর্ব-তুর্কিস্তানের ইসলাম প্রচারের কথা পূর্ণ হবে না। সাতাক বোঘরা খান খাকান কুরাখান রাজবংশের রাজা ছিলেন। ৩২৩ হিজরিতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তার এ ইসলামগ্রহণের ফলে তার সাম্রাজ্যের সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে রাজবংশের জনমানুষও ইসলাম গ্রহণ করে। তার নাতি হারুন বুগরা খান ৩৩২ হিজরিতে নিজস্ব নামে মূদ্রার প্রচলনও করেন এবং ঠিক সে বছরই হারুন বোঘরা খান তার উপাধী গ্রহণ করেন ‘শিহাবুদদৌলা’ এবং ‘জাহিরুদ দাওয়াত’ নামে। তার শাসনামলেই সর্বপ্রথম তুর্কিভাষা আরবি হস্তাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়।

বঞ্চনার সূচনা

তুর্কি সালতানাতের পতন অবধি দীর্ঘকাল পূর্ব-তুর্কিস্তান তুর্কি মুসলিমদের শাসনাধীনেই ছিল। গেলো শতাব্দীর চল্লিশের দশকে এক গৃহবিবাদের সুযোগে মুসলিম অধ্যুষিত বিশাল এই অঞ্চলটি চীন দখল করে নেয়। দখল করে নেয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও খনিজ সম্পদের শহর কাশগড়ও। কাশগড়সহ পূর্ব-তুর্কিস্তানের সংখ্যাগুরু উইঘুর মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে জারি করা হয় নানা কিসিমের নিষেধাজ্ঞা। চীন যে-বছর পুর্ব-তুর্কিস্তান অধিকার করলো, তার পরের বছরই কাশগড়সহ এই ভূখণ্ডের মুসলিম নেতারা ‘পুর্ব-তুর্কিস্তান প্রজাতন্ত্র’ নাম দিয়ে এখানকার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য স্বতন্ত্র একটি জাতীয় সঙ্গীত এবং চাঁদ-তারা খচিত পতাকাও তৈরি করে ফেলেন। কিন্তু চীনা সেনাবাহিনী সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে তাদের এই স্বপ্ন-সাধ চুরমার করে দেয়। নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও সাধারণ উইঘুরদের উপর চালায় নির্যাতনের স্টিম রোলার।

১৯৬৬ থেকে ৭৬ ইংরেজির মধ্যকার সময়টাতে চীনে সাংস্কৃতিক বিপ্লব সংঘটিত হয়। এই সময়টাতে পূর্ব-তুর্কিস্তানে সবধরনের ধর্মীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে দেয় চীন। তালা লাগিয়ে দেয় অসংখ্য মসজিদ-মাদরাসায়। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি মানসিকভাবেও পর্যুদস্ত করতে থাকে উইঘুর মুসলমানদেরকে। নির্যাতনের সেই ধারা আজও অব্যাহত আছে। বরং দিনদিন বাড়ছে এই পাশবিকতা। চিন্তা করা যায়, চীনা আইনে একজন চীনা যুবক ফ্যাশনের জন্য দাঁড়ি রাখলে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু একজন মুসলমান কোনো অবস্থাতেই দাঁড়ি রাখতে পারবে না! দাঁড়ি রাখলে ছয় বছরের কারাদণ্ড! মুসলিম মেয়েরা বোরকা তো দূর কি বাত, মাথায় হিজাবটা পর্যন্ত পরতে পারবে না।

অফিস-আদালতে যারা চাকরি-বাকরি করবে কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করবে, রমজানের দিনে তারা রোজা রাখতে পারবে না। আঠারো বছরের নিচের কেউ জামাতে নামাজ পড়তে পারবে না। এই হলো আধুনিক চীনের অত্যাধুনিক আইন।

এতো কিছুর পরও উইঘুরদের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেমে নেই। ১৯৯০ ইংরেজিতে স্বাধীনতার জন্য উইঘোররা ব্যাপকভাবে আন্দোলন গড়ে তুললে চীনা সেনাবাহিনী ৫০ জন স্বাধীনতাকামীকে নির্বিচারে হত্যা করে আন্দোলনকে সাময়িকভাবে স্তব্ধ করে। কয়েক বছর পর সাতানব্বইতে উইঘুররা স্বাধীনতার জন্য আবারও মাথা উঁচু করলে চীনা প্রশাসন প্রায় দুইশো জন স্বাধীনতাকামীকে গ্রেফতার করে। এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে পুরো পূর্ব-তুর্কিস্তান জুড়ে। চীনা সরকার বড়ো নির্দয় এবং বর্বরভাবে দমন করে এই আন্দোলন। নির্মমভাবে শহিদ করে দেয় মুক্তিপাগল প্রায় একহাজার মানুষকে। আরো প্রায় চারহাজার উইঘুরকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করে আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে। এমনকি উইঘুর মুসলমানদের ঘর-বাড়িতেও হামলা চালায়। বাজেয়াপ্ত করে প্রচুর ইসলামি বই-পত্র। এরপর থেকে উইঘুরদের স্বাধীনতা আন্দোলন বাহ্যিকভাবে কিছুটা স্তিমিত হলেও ভেতরে ভেতরে তারা আগুন পুষছে সেই আগের মতোই। যে-আগুন একদিন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে। যে-আগুন একদিন পুড়িয়ে ছারখার করবে জালিমের সিংহাসন।

আগের সংবাদকেনিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় নিহত ১২০, গৃহহীন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ
পরবর্তি সংবাদজিংজিয়াং-এ একদিন : উইঘুররা যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন