
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রাচীন ভারতের আদর্শ বলতে শুধু সনাতন শিক্ষাই নয়, বরং মুসলিম প্রভাবও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ২০২০-র নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে প্রতীচী ট্রাস্টের উদ্যোগে আলোচনাচক্রে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
তিনি বলেন, প্রাচীন ভারতে সনাতন ধর্ম যেমন ছিল, তেমনই লোকায়ত বা চার্বাকের পরম্পরাও ছিল। তার মধ্যে ঈশ্বরহীনতা, ধর্মহীনতা বা ধর্মবিরোধিতা এবং সম্পূর্ণ যুক্তিনিষ্ঠ বিশ্লেষণও গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের আদর্শের প্রতি একনিষ্ঠ হওয়া কখনওই সেই আদর্শের একটি ধারার প্রতি একনিষ্ঠ থাকা নয়। এ দেশে মুসলিম প্রভাবও গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রাচীন ভারতের আদর্শ বলতে শুধু সনাতন শিক্ষার কথা মনে রাখব, কিন্তু ভারতের সামগ্রিক ইতিহাসের ধারা উপেক্ষা করব, এটা ঠিক নয়।
শিক্ষা নীতি-সংক্রান্ত আলোচনায় এ দিন প্রধানত প্রাথমিক ও প্রাক-স্কুল স্তরের শিক্ষা নিয়েই কথা বলেন শিক্ষাবিদেরা। অমর্ত্য বলেন, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ ছাড়া বাকি প্রায় সব দেশের থেকেই বেসরকারি স্কুলশিক্ষার দিকে ঝোঁক বেশি ভারতের। বাংলাদেশও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সাহায্যে এই খামতি অনেকটা সামলেছে। শিক্ষা বেসরকারি স্কুলনির্ভর হলে, তা পণ্য হয়ে ওঠে। সরকারি পরিসেবা বা নাগরিকের অধিকার থাকে না। এই বিষয়টা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তো বটেই, জাপান, তাইওয়ান, কোরিয়া, চীন সকলেই বুঝেছে। সরকারি স্কুলের নেটওয়ার্ক গড়ার কাজটা খুব জরুরি।
একেবারে প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি যত্নে স্কুলশিক্ষাকে আরও বেশি সর্বজনীন করে তোলার উপরেও জোর দিয়েছেন অমর্ত্য।